পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রৰণসী ১N98ই প্রসাধন ( রঙীন উড় কাট ) স্ত্রীরমেন্দ্রনীপ চক্রবন্ত্রী গগরাজ পায় লাজ নাসিক অতুল, বৃষস্কন্ধ, করকমল, চরণকমল, ভূজঙ্গসদৃশ মাথার বেশী, সিংহ-কটা, গোমুখসদৃশ পুষ্ঠদেশ, কবাট বক্ষ, দেহলতা-—ইত্যাদি উপমা সাহিত্য ও শিল্পে মানবদেহের সৌন্দৰ্য্য স্বচিত করিয়াছে । এই যে সাদৃশু আনয়ন কর, ইহা নিছক কবি কল্পনা নয়, ইহা বিশেষ পৰ্য্যবেক্ষণের ফল । ভারতীয় শিল্পের এই যে বিশেষ প্রকাশরীতি, অভিনব প্রকাশভঙ্গি ইহাকে বলা হয় কনভেনশনাল আর্ট। পৃথিবীর সকল প্রাচীন শিল্পই অল্পবিস্তর কনভেনশনাল। আমাদের . প্রাচীন চিত্রের সহিত এ বিষয়ে প্রাচীন ইটালীয়ান চিত্রের বা গথিক শিল্পের তুলনা চলে। গ্ৰীকৃ, শিল্প খুব রিয়্যালিটিক হইলেও কনভেনশনালিজম একেবারে ত্যাগ করে নাই, যেমন গ্ৰীকৃ-মূৰ্ত্তির চক্ষুর তারকা নাই। ভারতীয় শিল্প ও সাহিত্য যে মনোবৃত্তি ও কল্পনা হইতে,ভারতের কাব্য নাটকাদি স্বই হইয়াছে, তাহাই ভারতীয় ভাস্কৰ্য্য ও চিত্র স্বষ্টি করিতে প্রণোদিত করিয়াছে। কালিদাসের কুমারসম্ভব, শকুন্তল৷ কি মেঘদূত পড়িতে পড়িতে অজন্ট এলোরা কিংবা অন্ত কোনো প্রাচীন চিত্ৰ যেন মানসপটে ভাসিয়া উঠে । আবার অজণ্ট কিংবা এলোর গুহার ভাস্কৰ্য্য বা চিত্র দর্শনে মনে হয় যেন কালিদাসের নরনারীর প্রস্তরে বর্ণে জীবন্ত হইয় উঠিয়াছে। কালিদাসের কাব্যে যে আবহাওয়া যে সৌন্দৰ্য্যামুভূতির পরিচয় পাওয়া যায়, তাহাই আমি আমাদের প্রাচীন শিল্পে আরও স্বম্পষ্টভাবে অনুভব করি। অনেকেই কালিদাসের কাব্য উপভোগ করিয়াছেন। মল্লিনাথের সাহায্য ব্যতিরেকেই হয়ত তাহার কাব্যে প্রবেশ করা চলে, কিন্তু শিল্পের সৌন্দৰ্য্য উপভোগ করিতে আমাদের বোধশক্তি কমিয়া আসে কেন ? ভারতীয় শিল্প হীন এই কথা বলিতে অনেকের বাধিতে পারে, তাই শিষ্টাচার-সম্মত মস্তব্য শোনা যায় “বুঝিতে পারি না”।