পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

丐憧潭 ভারতীয় শিল্প ও তাহার অাধুনিক গতি Aes করিতে সমর্থ হইল। তার পরে তাহার ছুটিল নূতন রাজ্য আবিষ্কারের জন্ত—এশিয়া তাঁহাদের সেই সন্ধান বলিয়া দিয়াছিল । . কিউবিষ্ট-গোষ্ঠীর স্থাপয়িতা পাবলো পিকাসো ছিলেন স্পেন-দেশীয় ; তাহার শিল্প রূপ পাইয়াছিল প্যারিস শহরের আওতায় । তিনি প্রতিভাশালী শিল্পী ছিলেন। র্তাহার শিল্পনীতি চিত্ৰজগতে স্থায়ী আসন পায় নাই, কিন্তু চিত্র ছাড়া অল্পবিধ শিল্পে কিউবিজমের প্রভাব স্বম্পষ্ট। কিউবিজমের সরল রেখা, স্থাপত্যের ও গৃহের আসবাবে এক নূতন পরিকল্পনার সন্ধান দিয়াছে । সেজান, গগ্য, ভ্যানগগ আধুনিক দলের উপর প্রভাব কম বিস্তার করেন নাই। এই তিন জনের উপর, বিশেষ করিয়া ভ্যানগগের উপর, এশিয়া কম প্রভাব বিস্তার করে নাই । ইহাদের চিত্রে বিশেষ করিয়া স্থান পাঠয়াছে ক্যালিগ্রাফি বা লিপিকুশলতা, যাহা এশিয়ার চিত্রকলার বৈশিষ্ট্য। ইহাদের চিত্রের গঠন-পরিকল্পনাও বিশেষ লক্ষ্য করিবার বিষয় । f5rii sterrifrr frș ( decorative element ) ii প্রবল । ংলার আধুনিক চিত্রকলার নব রূপ ইউরোপের এই নূতন দলের প্রভাব বাংলার নয় গোষ্ঠীর অনেকের উপরে পড়িয়াছে। সৰ্ব্বাগ্রে নাম করিতে হয় গগনেন্দ্রনাথের, তিনি কিউবিজম্কে সম্পূর্ণ নিজস্ব করিয়া ভারতীয় করিয়া লইয়াছেন। র্তাহার কিউবিষ্ট-প্রথায় অঙ্কিত চিত্র দেখিলে মনে হয় না যে ইহা ধার-করা । তিনি বিভিন্ন রঙের সমাবেশে মনোহর মায়াজাল রচনা করিয়াছেন । তাহার আর এক ধরণের চিত্র – কালে রঙের বিভিন্ন স্তর ব্যবহার করিয়া চিত্র রচনা,ইহাও ইউরোপ দ্বারা অনুপ্রাণিত। এই চিত্রেও র্তাহার কলাকৌশল ও শিল্প-প্রতিভা লক্ষ্য कङ्गां शीघ्रं । - রবীন্দ্রনাথের অঙ্কিত চিত্রের পক্ষে এবং বিপক্ষে অনেক সমালোচনা হইয়াছে । আমি সে-সকল অভিমত সমর্থন করি না। কবি রবীন্দ্রনাথ ও চিত্রকর রবীন্দ্রনাথ একেবারে . দুই পৃথক ব্যক্তি। র্তাহার ছবির উৎপত্তি হইল তাহার হাতের লেখা কবিতার খাত হইতে । কাটাকুটি লাইন নানা রেখায় সত্ব করিয়া তিনি রূপের তুষ্ট করিয়াছেন। কাজেই চিত্রের মূল হইল ক্যালিগ্রাফি বা লিপিকুশলতায় । চিত্রে রং ও রেখা লইয়া নানারকম খেলা দেখা যায়, কখনও সরল রেখায় অভিব্যক্ত ৰিউবিজমকে স্বরণ করাইয়া দিবে, কখনও রং ও রেপায় কোনো বস্তুর মনের ছাপ দিবে—ইম্প্রেসনিষ্টদের স্মরণ করাইবে। কখনও রং ও রেখার খেলায় বস্তর রূপ হারাইয়া গিয়া কল্পনার য়্যাব স্ট্রাক্ট রূপ প্রকটিত করে। এই শেষোক্ত চিত্র রুশীয়-পোলিশ শিল্পী ওয়াসিলি ক্যানডিনরি ( Wassily Kandinsky) এক্সপ্রেসনিজমকে স্মরণ করাইয়া দিবে। রবীন্দ্রনাথের সমগ্র চিত্র বিচার করিলে আমার মনে হয়, এক্সপ্রেসনিজমের দিকেই ঝোঁক বেশী। পারলো পিকাসোর কিউবিজমকে এক জন ইংরেজ-সমালোচক intellectual pastime ( frfsă fixatwa ) qat poetry of mathematics ( frsa sfrei ) afil উল্লেখ করিয়াছেন। রবীন্দ্রনাথের অনেক চিত্র সম্বন্ধে তেমন কিছু বলা যায় কি ? কবিতার জন্ম হয় হৃদয়ে, কিন্তু এই জাতীয় চিত্রের জন্ম হৃদয়ে নহে, মস্তিক্ষে। রবীন্দ্রনাথকে কোনো ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠীর ভিতরে ফেল যায় না। তাহার ব্যক্তিত্ব এবং গোষ্ঠী পরিচয় নিজের কাজেই। অন্ত কোনো শিল্পীর কাজে এই জিনিষ পাওয়া সম্ভব নহে। তাহার চিত্রাঙ্কণ-প্রণালী অভিনব এবং মৌলিক । নব্যবঙ্গীয় চিত্রকলার শিল্পীরা যে রবীন্দ্রনাথের কাছে ঋণী তাহাতে সন্দেহ নাই ; তাহার নিকট হইতে এবং বিশেষ করিয়া তাহার কাব্য হইতে চিত্রকরের অঙ্গপ্রাণিত হইয়াছে। অবনীন্দ্রনাথ সে-কথা স্বীকার করিয়াছেন। - - ইউরোপের ইম্প্রেসনিষ্ট চিত্র হইতে অনুপ্রাণিত দৃশ্বচিত্র আজকাল মাঝে মাঝে প্রদর্শনীতে দেখিয়া থাকি, তবে ইহার পরিপূর্ণতা এখনও লাভ হয় নাই, কিছুকাল অপেক্ষা । হয়ত এই ধরণের দৃগুচিত্রের পূর্ণ বিকাশ দেখিতে পাইব। এই সকল বৃগুচিত্রে প্রকৃতির সরসতা ও সজীবতা, বিদ্যমান। এসব চিত্র এখনও মনে হয় যেন কতকটা পরীক্ষাধীন।. নয়। গোষ্ঠীর কয়েকটি শিল্প বিশেষ করিয়৷ উল্লেখ করা উচিত। ইহা শিল্পের আধুনিক গতিকে প্রবহমান রাখিয়াছে, এচিং, উজু, এনগ্রেঞ্জি ও লিঙ্গে চিত্রকলার নুতন অধ্যায় চিত্ত করিতেছে।