পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግ›• -- - কাননে যদিও অনেক তরুজীর্ণপ্রায় কিন্তু নুতন অঙ্কুরোদগম হইতেছে। নূতন অধ্যায় আমাদের চিত্রকলায় আবার স্বচিত হইবে। এই ষে অতিসূতন শিল্পীরা আগতপ্রায় তাহারা চায় প্রকৃতির ভিতর জাবার ফিরিয়া বাইতে প্রেরণালাভের জন্ত। প্রবাসী જોડષ অজণ্ট, এলোর, মোগল রাজপুত শিল্প তাহাজের কৰ্ম্মে দিয়াছে শক্তি, প্রকৃতি দিবে নূতন প্রাণ •

  • তালত্তল। পালনক বাতিসাপেক্ষ

তৃতীয় তরঙ্গ ঐবিমল মিত্র ভাবিয়া দেখিয়াছি ঃ জীবনটা কিছুষ্ট নয়, কেবল বিধিবদ্ধ কয়েকটি দিনের ইতিহাসভর পৃষ্ঠা ! সেই সকালের স্বৰ্য্যোদয়ের ঘটা আর সন্ধ্যার সেই অস্তগমনের নিয়মানুবৰ্ত্তিতা ! কোনও দিন এতটুকু এদিক-ওদিক হইবার জো নাই, অভ্যাসের গণ্ডীর মধ্যে বাধাধরা । সারা জীবনটা তো এমনই কাটিয়া গেছে। পিছন ফিরিয়া দেখিলে সবই অন্ধকার—শুনাইবার মত গল্প তাহাতে নাই ; ক্ষীণাতিক্ষীণ কয়েকটি পায়ের দাগ, তাও আজ বুঝি নিশ্চিহ্ন হইতে বসিয়াছে। স্কুলের বারান্দায় বসিয়া একমনে তাহাই ভাবিতেছিলাম। মফস্বলের স্কুল-হেডমাষ্টার আমি, বেশ তো আছি— পরিবার নাই—ছেলেপুলে নাই-সারা জীবনটা আঙুলের ফাক দিয়া কখন যেন পলাইয়া গেল। ইচ্ছা ছিল সবই করিব। একটি প্রীতিমতী স্ত্রী ; লক্ষ্মীর মত তাহার ছায়াপাতে আমার সংসার স্বৰ্গ হইয়া উঠিবে, আর তাহারই সঙ্গে কয়েকটি শিওর কলগীতিতে ভরিয়া উঠিবে আমার গৃহাজন। সবই ইচ্ছা ছিল। কিন্তু হয় নাই।---সামর্থ্য ছিল কিন্তু অর্থে কুলায় নাই। : পিছনের দিকে মুখ ফিরাইয়া ডাকিলাম-রাইচরণরাইচরণ নিকটেই কোথায় ছিল, শশব্যন্তে উত্তর দিল— জাঙ্গে জান্‌ছি— - অর্থাৎ তামাক সাজিয়া জানিতেছি। জামুৰু— ও-জিনিষটা অভ্যাস করিয়া ফেলিয়াছি, আর ছাড়িতে পরিন। সামনের খোল মাঠের দিকে চাহিয়া স্কুছিলাম। जस्त्रा फेब्रदेश cगरङ्-गिमत्नद्र cऊंङ्कनणाइोब्र ३ोक शि অনেক দূরে ইছামতী নদীটি দেখা যায়। আরও ওদিকে নদীট যেখানে মোড় ঘুরিয়াছে, ঠিক সেই বাকের মুখেই বঁাশতলার শ্মশান । হাওয়াটা সোজাস্বজি সেইদিক হইতেই আসিতেছে।--হঠাৎ যেন কেমন একটা অনচুভূত চেতন অনুভব করিলাম। এমন কিছুই না। ওই দিগন্তবিসারী মাঠ, ওই প্রবহমান নদী আর দূরে বাঁশতলার শ্মশানের অদ্ভুত ঘুমন্ত সৌন্দৰ্য্য—অার এই নিজাব রাত্রি—সব মিলিয়া আমাকে বড় নিঃসঙ্গ করিয়া তুলিল। বড় নির্জন— বড় একা! এমন ভাবনা এই প্রথম নয়—তবু আজই যেন আবার তাহারা পুনরুল্লেখ করিয়া দিল । মনে হইল, আর এক মুহূৰ্ত্তও যেন এখানে থাকিতে পারিব না—যেদিকে ছু-চোখ যায় ছুটিয়া চলিয়া যাই । যেন জাগিয়া জাগিয়া স্বপ্ন দেখিতেছি, •••• কালই ছেলেদের ছুটি হইয়া যাইবে ; গরমের ছুটি । এই নির্জন নিঃসঙ্গ পুরীতে কেমন করিয়া কাটাইব কি জানি । সারাদিন ছেলেদের কলকাকলীর মধ্যে ডুবিয়া থাকি-- টিফিনের সময় ছেলেদের হৈ চৈ–ছেলেদের বন্ধুসোচিত চাঞ্চল বেশ লাগে । আড়ালে থাকিয়া উহাদের প্রত্যেকের গতিবিধি —প্রত্যেকের অস্থিরচিত্ততা লক্ষ্য করি । আমাকে উহার ভয় করে—তৰু উহাদের ছাড়িয়া যেন থাকিতে পারি না। এমন লম্ব একটা ছুটি—রাইচরণকে লইয়া কোথাও বাহির হইয়া পড়ি। যেখানে হোক—বিদেশে, পশ্চিমে ট্রেনে চড়িয় चट्भक शूद्र-जानक घूत्व- - হঠাৎ মনে হইল, ছেলেটি জালিতেছে। মাখাটা কাটির