পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՀ8 বিরক্তি হ’ত না, কেবল একটি বিষয় ছাড়া । সে আর কিছু নয়, ভুল স্বর তার কানে গেলে তিনি সইতে পারতেন না। যত ক্ষণ সেটাকে শুধরে ঠিক স্বরে গাওয়াতে না পারতেন তত ক্ষণ যেন শিশুর মতই চঞ্চল হয়ে পড়তেন। গানে তার ক্লাস্তি কখনও দেখি নি । তিনি কারও সাম্নে নিজেকে জাহির করতে ভালবাসতেন না। অতবড় সঙ্গীতজ্ঞ হয়েও গান করতে বললে যেন কতকটা সঙ্কুচিত হয়ে পড়তেন। তার মধুর গম্ভীর কণ্ঠ যে শ্রোতার পক্ষে এক অপরূপ বিস্ময় ছিল, এ কথা স্পষ্ট করে বলতে গেলেই যেন অত্যন্ত সঙ্কোচবোধ করতেন। অনেক বলেকরেও যখন গান তাকে দিয়ে গাওয়াতে পারা যেত না, তখন একটা ওষুধ ছেলেরা বের করেছিল। রবীন্দ্রনাথের একটা গান অত্যন্ত বিকৃত ক’রে গাইতে আরম্ভ করলেই আর রক্ষা ছিল না, খানিক ক্ষণ ছট্‌ফট্‌ ক’রে শেষে আর থাকৃতে না পেরে, “থাম থাম, ও কি হচ্ছে ?” ব’লে চেচিয়ে উঠতেন,—তার পর গানের পালা মুরু হ’তে আর বিলম্ব ঘটতে না । ছল চাতুরী কপটতা তাকে কখনও স্পর্শ করে নাই। শিশুর স্বচ্ছতা তার চোখে-মুখে জল জল করত, সেই চিরনবীন শৈশব নিয়েই তিনি চলে গেছেন । গানের ক্লাস করতে গিয়ে শুধু গানই হ’ত না। তাকে ক্লাস বললে ক্লাসের চপলতাপরিশূন্ত স্তন্ধ গাম্ভীৰ্য্য এবং ক্লাসের কর্ণধার-মহাশয়ের অভ্ৰভেদী মধ্যাদা এবং শব্দভেদী প্রতিষ্ঠার মাহাত্ম্য নিশ্চয় ক্ষুন্ন হবে । গান শেখ হয়ে যাবার পর দিনদী নানা রকমের গল্প করতেন ; শুধু দিনাই নয় আমরাও তার সঙ্গে গল্প করতাম ; অসঙ্কোচে গল্প করতাম। কোথাও বাধা ছিল না--না বয়সের, না জ্ঞানের, না অনুশাসনের । ছোটদের সঙ্গে তিনি এমনই প্রাগ খুলে গল্প করতে ভালবাসতেন । আমি একদিন জিজ্ঞাসা করেছিলাম, “হ্যা দিনদী, আপনি ত অতবড়, তবে আমাদের মত ছোটদের সঙ্গে গল্প করতে ভালবাসেন কেন?” হেসে বললেন, “দেখ, ছোটদের সঙ্গেই আমার বেশী মেলে ; ধারা খুব প্রবীণ, খুব পাক, তাদের কাছে গেলেই ভয়ে আমার কেমন সব খুলিয়ে যায়।” গানের ক্লাস করতে গিয়ে অনেক সময়ে তার কাছে অনেক বইও গড়েছি। দিনেজনাথকে লঙ্কলে গীতবিশারদ প্রবাসী ... " అతితి" दप्लट्टे छांप्नन, किरू श्रट्नट्कहे झग्नङ छांट्नन ना cष डिनि. নানা ভাষাবিৎ ছিলেন, নানা বিষয়ে তার অভিনিবেশ ছিল। অধ্যয়ন তার জীবনের একটা বিশেষ আনন্দের আশ্রয় ছিল। কয়েকটি ভাষা তিনি নিপুণভাবে আয়ত্ত করেছিলেন। তার মধ্যে ফরাসী, ইংরেজী, সংস্কৃত ও মৈথিলী ব্রজবুলি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। শাস্তিনিকেতন ছেড়ে আসবার বছর দুই আগে প্রায় পঞ্চাশ বৎসর বয়সে তিনি ফারসী পড়তে আরম্ভ করেন এবং হাফেজ থেকে কবিতা বাংলা-কবিতায় অনুবাদ করেন। সে কবিতায় বড় চমৎকার স্বর দিয়েছিলেন । দিনেন্দ্রনাথের বিশেষ উৎসাহের বিষয় ছিল নানা দেশের ইতিহাস ও ভূগোল । “Geographical Magazine” gai Rai cwrtā Fēts পড়তেন, ছবি দেখতেন আর বলতেন, “দেখ, দেশভ্রমণ করবার বড় সৰ্থ ছিল। সে তো আর পূর্ণ হ'ল না, তাই এই সব দেখেই দুধের সাধ ঘোলে মেটাই ।” নাট্যকলায় তার দক্ষতার কথা আগেই বলা হয়েছে । “ফান্ধনী,” “বিসর্জন,” “রাজা” প্রভৃতি নাটকে তাকে রঙ্গভূমির উপরে যিনিই দেখেছেন তাকে আর এ বিষয়ে কিছু বলা বাহুল্য মাত্র। আবৃত্তিও যে তার আশ্চৰ্য্য স্বন্দর হবে সে ত সহজেই অনুমান করা যায়। কত কবিতা তার মুখে শুনেছি। তিনি অত্যন্ত কাব্যানুরাগী ছিলেন। বই খুলে একবার বলেই হ’ল “পড়ুন না দিনা!” কি আশ্চৰ্য্য ক’রেই না তিনি আবৃত্তি করতেন ! তীর মুখে কবিতা শুনলে সেটি আর ব্যাখ্যা করে বুঝবার দরকার হত না । আমরা ছিলাম যেন তার মধুচক্র। নিজে তিনি কবিতাটির প্রাণের মধ্যে প্রবেশ করতেন, এবং কাব্যমঞ্জরীর অনাস্বাদিত মধুরস আহরণ করে আমাদের শিশুচিত্তকোষের রন্থে রক্কে, পরিপূর্ণ করে তুলতেন সেই মধু রস। - , - কেবল তাই নয়। সময়ে সময়ে তার ক্লাসে রুসনাতৃপ্তিকর রস-পরিবেষণেরও ব্যবস্থা হ’ত —শুধু চাওয়ার অপেক্ষ । এমন ক্লাস আর কোথাও কেউ পায় নি। এমুনি ভাবে গানে-গল্পে হালিতে-জামোঙ্গে পাঠেআবৃত্তিতে সব কি দিয়ে তিনি একটি রসচক্র রচনা করে তাৰিলে কেন কেউ মনে না করেন, তার ক্লালে গুৰুষজাই