পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

でラiエ বিবিধ প্রসঙ্গ—প্রাথমিক বিদ্যালয় কমাইবার প্রস্তাৰ 882 ttttt tLt TlllllllllS BBB BBBBB BBB BB BBBB BBBB BBBB BB BBB gাপাইয়াছেন । তাহাতে রাশিয়ানদের সম্বন্ধে লিখিয়াছেন – in spile of the clouds we can see that they are making amazing progress: for instance, their literacy has zone up from thirty-five per cent in 1913 to eighty-five ser ceni today; instead of 3,500,000 pupils in 1912 there are now over 25,000,000 pupils and students: the circulaion of daily papers is twelve times what it was in the rarist days. তাৎপৰ্য্য। মেঘমালা সত্ত্বেও আমরা দেখিতে পাইতেছি যে তiহীদের প্রগতি বিস্ময়কর। দৃষ্টান্তস্বরূপ, তাহাদের লিখনপঠনক্ষমত্ব ১৯১৩ সালে শতকরা ৩৫ ছিল, এখন হইয়াছে শতকরা ৮৫ - ১৯১২ সালে ছাত্রছাত্রী ছিল পয়ত্ৰিশ লক্ষ, এখন হইয়াছে ভাড়াই কোটির উপর . দৈনিক কাগজগুলির কাটতি সম্রাটের আমলে যাহা ছিল এখন তাহাব লারে। গুণ হইয়াছে । বঙ্গে ইংরেজ প্রভৃত্বের আরম্ভ ১৭৫৭ সাল ধরিলে এ পর্য্যস্ত উহার স্থায়িত্ব ১৭৮ বৎসরব্যাপী হঠয়াছে । সালে গত সেন্সস গুঙ্গীত হয় । তথম উহার স্থায়িত্ব ছিল ১৭৭ বৎসরব্যাপী । তখন বঙ্গে শতকর। ১১ জল পুরুষ-নারী লিখনপঠনক্ষম ছিল । సె\ు প্রাথমিক বিদ্যালয় কমাইবার প্রস্তাব শিক্ষাবিভাগ প্রাথমিক, মধ্য ও উচ্চ সব রকম বিদ্যালযুক্ত কমাইবার অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়াছেন । আমরা কেবল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি কমাইবার প্রস্তাবটারই আলোচন। করিব । ১৯৩২ সালে ৬১১৬২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল, এখন কিছু বাড়িয়া থাকিবে । তাহা কমাইয়। শিক্ষাবিভাগ মাত্র ১f •• প্রাথমিক বিদ্যালয় রাখিতে চান । আমরা আগে দেখাইয়াছি, যে, ব্রিটিশ-অধিকারের আগে প্রাথমিক শিক্ষালাভের যে সুবিধ ও স্বযোগ বঙ্গের বালকবালিকাদের ছিল, তাহার সমান স্থবিধা ও সুযোগ দিতে হইলে এখন ১,২৫,০০০এর উপর পাঠশাল চাই । কিন্তু শিক্ষাবিভাগ বলিতেছেন, ১৬• ০০ই যথেষ্ট হইবে । আমরা তাহ সম্পূর্ণ "অবিশ্বাস করি । সরকারী মন্তব্যে আছে, ১৯৩২ সালে পাঠশালা-সমূহে ১ ১ লক্ষ ছাত্রছাত্রী ছিল । শিক্ষাবিভাগ আশা করেন, ইহাদের ১৬eee পাঠশালায় ১৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রী হইবে। হাহা যদি হয়, তাহা হইলেও তাঁহাদেরই হিসাবমত জুই লক্ষ &াত্রছাত্রী শিক্ষার স্থযোগ হইতে বঞ্চিত হইবে । কোথায় శ్రీ-= SR s?ଣା হইবে, কোথায় অন্ততঃ ক্রমশঃ অধিক হইতে অধিকতর ছাত্রী শিক্ষার স্বযোগ পাহবে, না কলমের এক আঁচড়ে ৪৫ হাজার পাঠশালা লুপ্ত হইবে ও দু-লাখ ছাত্রছাত্রী শিক্ষার স্বযোগ হইতে বঞ্চিত হইবে । কৰ্ত্তারা যে বলিতেছেন, তাহাদের প্রস্তাবিত প্রত্যেক পাঠশালায় ১২০ জন ছাত্রছাত্রী হইবে ( এবং তবে মোট ১৯ লাখ ছাত্রছাত্রী প্রাথমিক শিক্ষার স্বযোগ পাইবে ), তাহার নিশ্চয় কি ? ছোট ছোট ছেলেমেয়ে এক দুই তিন চারি মাইল হাটিয়৷ পাঠশালা যাইবে ও আবার অতটা ইণটিয়া বাড়ি আসিবে, কৰ্ত্তাদের হিসাব এইরূপ অদ্ভূত অনুমানের উপর প্রতিষ্ঠিত। র্তাহারা সকলকে বা অধিকাংশকে অবৈতনিক শিক্ষা দিবেন না, অথচ নিয়ম করিবেন, যে, একবার কোন ছেলে বা মেয়ে পাঠশালায় ভৰ্ত্তি হইলে তাহাকে অন্ততঃ চারি বৎসর পড়িতেষ্ট হইবে । এইরূপ কড়া নিয়মের ভয়েই ত অনেক বাপ-ম। শিশুদিগকে পাঠশালায় ভৰ্ত্তি করিতে ইতস্ততঃ করিবে । কৰ্ত্তার পাঠশালার সংখ্যাহ্বাস, শিক্ষালাভের সুযোগ সঙ্কোচ, ও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাঙ্গাসু এই অজুহাতে করিতেছেন, যে, তাহাদের প্রস্তাবিত বন্দোবস্তে যাহারা শিক্ষা পাইবে, তাহারা ভাল শিক্ষা পাইবে—এখনকার শিক্ষা অকেজো, এমন কি অনিষ্টকর। দুর্ভিক্ষের সময় যদি কোন দেশের কৰ্ত্তা বলেন, আমি কতকগুলি লোককে রাজভোগ দিব, বাকী লোকেরা অনশনে থাকু না কেন, মরুক না কেন ? তাহা হইলে এরূপ প্রস্তাব সঙ্গন্ধে কি মনে হয় ? তার চেয়ে সকলকেই মোটা ভাত ও মুন দেওয়া ভাল নহে কি ? আমাদের দেশে জ্ঞানের ও শিক্ষার দুর্ভিক্ষ বিদ্যমান । এ অবস্থায় শিক্ষা-বিভাগের প্রস্তাব আমাদের বিবেচনায় গৰ্হিত । বৰ্ত্তমানে, যে* ৬১১৬২টি পাঠশালা আছে, তাহার মধ্যে কোন কোন গ্রামে ও শহরে কয়েকটা অনাবশ্বক হইতে পারে, তেমনি আবার অন্য অনেক গ্রামে ও শহরে নূতন পাঠশালার প্রয়োজন . অাছে। স্বতরাং হরেন্দরে পাঠশালার সংখ্যা আবশ্বকের অধিক বলা যায় না। একেবারে ৪৫০০০টা ছাটিয়৷ ফেলা দরকার ইহা কোন মতেই বলা যায় না । জোর এই কথা বলিতে পারেন, যে, আর বেশী পাঠশালার প্রয়োজন নাই, এবং \