পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՊՎԵՆ প্রবাসী SNరి83్న উদগ্র বাসনায় মুখখানিকে ধীরে ধীরে স্বামীর মুখের দিকে ऍॐाईल । ব্যাবিক্লিষ্ট অনাদৃতার কয়েকটি লোলুপ মুহূৰ্ত্ত । পরক্ষণেই মুখ নামাইয়া আমোদিনী ধীরে ধীরে পুনরায় গুইয়া পড়িল । অবশেষে পন্টর সঙ্গেই একদিন পারুলের আলাপ জমিয়া উঠিল। মান শীর্ণ ছেলেটির মুখের প্রতিটি রেখায় অবহেলার ছাপ । পারুলের অন্তর একটি নিবিড় মমতায় ভরিয়া গেল। শাশির পাশ্বে তাহাকে দেখিতে পাইয়া পারুল ডাকিল—অ থোকা । খোক একবার মিটমিটি চাহিয়াই মুখ লুকাইল । তারপর ধীরে ধীরে উকি মারিতেই পারুল আবার ডাকিল— অ খোকাবাবু! ওষ্ঠাধরের একপ্রান্তে মৃদু হাস্তরেখা ফুটাইয়া থোকাবাবু আবার মুখ লুকাইল । হাতে কাজ না থাকিলে মানুষ সময় লইয়া ছিনিমিনি খেলে ; পারুল আবার ডাকিল—থোকামণি ! এবারে পণ্টর অনেকখানি লজ্জা কাটিয়া গিয়াছে এবং আহবানকারিণীর সম্বোধনে যেন যথেষ্ট থাতিরের আস্বাদ পাওয়া যাইতেছে, বিস্ময়স্মিত মুখখানি বাহির করিল। —তোমার নাম কি থোকাবাবু ? —আমার নাম ? হি হি, আমার নাম পণ্ট । —বা, বেশ নাম ত ! তুমি আমাদের বাড়ি আসবে ? নেত্রদ্বয় বিস্ফারিত করিয়া পণ্ট বলিল—তোমাদের বাড়ি ! চোখে মুখে যেন তাহার অবিশ্বাসের ছায় । কিন্তু পারুলের মৃদ্ধস্মিত আননে সন্দেহের কিছু পাইল না । বলিল—কোথায় তোমাদের বাড়ি ? হাসিয়া পারুল বলিল—কেন এই যে, তোমাদের এই দরজার স্বমুখেই আমাদের দরজা। আসবে? আও নীচে নামে গে-ধাচ্ছ ? বা, পটুবাবু বড় ভাল ছেলে, আচ্ছ, আমি নীচে যাচ্ছি। নিৰ্ব্বক বিস্ময় কক্ষের চারিদিকে চাহিতে চাহিতে পণ্ট, ইফাইয়া পড়িয়ছে! উঃ কত বড় ঐ অয়নাখানা ! এই, এই এত বঞ্চ, পষ্টর ডবল, তিন,ডবল চার ডবল বড় । গ"িাটা বেঞ্চিখানা কত স্বন্দর, তাহদের বাড়িতে ওখানি থাকিলে পণ্ট সারা দুপুরটা উহাতে কত ডিগবাজি থাইতে পারিত। আলমারীতে কত রকমের কাপড়,– লাল, নীল, সবুজ ! তাহার মায়ের অত নাই। ঘড়িটা মেঝের উপর দাড়াইয়া রহিয়াছে। একেবারে পণ্টর সমান, না বোধ হয় আরও উচ্চ। কোন এক সময় তাহার দৃষ্টি নিবদ্ধ হইয়া গিয়াছে ও-পাশের ছোট একখানি টেবিলের উপর । গভীর আতঙ্কে তাহার ক্ষুদ্র বক্ষখানি কঁপিয়া উঠতেই পাংশুমুখে সে পাশ্ববৰ্ত্তিনী পারুলকে জড়াইয়ু ধরিল। পারুল তাহার দৃষ্টি অনুসরণ করিয়া তাহার ত্রাসের হেতু বুঝিতে পরিল, সস্নেহে মাথায় হাত বুলাইতে বুলাইতে বলিল-- ভয় কি, ওটা তুলোর সিঙ্গী, এই দেখ, আমি ওর গায়ে হাত দিচ্ছি, ও তো জ্যান্ত নয়।--তুমি যদি রোজ আমাদের বাড়ি এস, তোমাকেও আমনি একটা তৈরি করে দেব। পণ্ট, ঘাড় নাড়িয়া তৎক্ষণাং সন্মতি দিল, সে আসিবে। তার পর পারুল-প্রদত্ত লজেঞ্জ চুষিতে চুযিতে পণ্ট এক সময় তাহাদের গাহস্থ্য-জীবন সম্বন্ধে পারুলের বহু প্রশ্নের জবাবদিহি যথাসাধ্য করিয়া ফেলিল । যাইবার সময়ও ছোট একটি কোঁটায় লজেঞ্চ পূর্ণ করিয়া লইয়া যাইতে ভুলিল না। ঈদের ছুটিটা প্রবাসে পড়িয়া থাকিয়া অপব্যয় করিবার মত সংসাহস নিৰ্ম্মলের নাই, ছুটিয়া আসিয়াছে কলিকাতায় । পারুলের কক্ষে পণ্টকে দেখিয়া বলিল—ছেলেটি কে ? - -একটা মজা হয়েছে কিন্তু••• —ত পূর্বেই অনুমান করেছি, এখন বলদিকি ? ওদিকে যে তোমার বাহনটি উস্থুল কবৃছে, ওকে ছুটি দিয়ে ফেল না ? পল্টর দিকে চাহিয়া পারুল বলিল—বাড়ি যাবে ? প্রশ্ন বাহুল্য, পণ্ট সম্মতি জানাইধ তৎক্ষণাৎ পলাইয়া গেল । সোফায় গা ঢালিয়া দিয়া নিৰ্ম্মল চুরুট ধরাইল, অতঃপর ? —সবিস্তারে, না সংক্ষেপে ? —সবিস্তারেই হোক, সম্ভব হ’লে সালঙ্কারে । পারুলও কম যায় না, স্বরু করিল, প্রভাতের মাধুরিম তখনও মুছিয়া যায় নাই, পাপিয়া না ডাকিলেও বায়ুসকুলের