পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سوار ۹ বুঝি ? মাস গেলে দেড়-শ টাকা ক’রে নিয়ে আসি ছাতা বিক্ৰী ক'রে ? পণ্ট, টাল সামলাইতে না পারিয়া ওদিকের আলমারীর গায়ে পড়িয়া গিয়াছিল। হাতের লজেঞ্জের কোঁটাটি তাহার কোন সময়ে পড়িয় খুলিয়া গিয়াছে। পিতার ক্ৰোধোন্দ্রেকের অর্থ সে খুজিয়া পাইতেছে না, করুণ দৃষ্টিতে তাহার দিকে চাহিয়া হয়ত অবশ্যম্ভাবী প্রহারের আতঙ্কে র্কাপিতে লাগিল । কিন্তু তাহার অদৃষ্ট স্বপ্রসন্ন ! কোঁটার ভিতর হইতে একখানি ভাজ-করা খাম নির্গত হইয়া বিধদা’র পদপ্রান্তে নিপতিত ! সেখানিকে কুড়াইয়। বলিল—এ কার চিঠি ? না জানি আবার কি নির্যাতন স্বরু হইবে ? পণ্ট ভয়ে ভয়ে অস্ফুট স্বরে বলিল—মৗসীমা তোমায় দিতে বলেছে, - বিধ দা এক গাল হাসিয়া ফেলিল ; মুথের বিরক্তিরেখাগুলি নিমেষে মিলাইয়া গিয়াছে । এই আকস্মিক পরিবর্তন না দেখিলে বিশ্বাস করা যায় না । থামখানিকে সযত্বে খুলিতে খুলিতে বিধদা বলিল—তোমাকে খুব লেগেছে না কি পন্ট, উঠে এস লক্ষ্মী বাবা আমার । নানান দিকের ঝামেলায় মাথার ঠিক থাকে না কি না... বিধদা'র চক্ষু দুইটি ঠিক্রাইয়া বাহির হইয় আসে বুঝি ! রুদ্ধশ্বাসে সে পড়িতেছে — “প্রিয়তম, কি নিষ্ঠুর তুমি ! একেবারে নীরব হয়ে রয়েছ, আর আমি এদিকে মুহূৰ্ত্ত গুণছি। ওগো, কিছুই যে ভাল লাগে না আমার ! . পারু—” হমোচ্ছ,াসে বিধদা’র বত্রিশটি দাত বাহির হইয়া গেছে, শ্মশ্রীবহুল মুখখানি হইতে আহলাদ যেন ঝরিয়া পড়িতেছে। পণ্টর দিকে চাহিয়া বলিল—তোমার মাসীম তোমায় খুব ভালবাসে, না পণ্ট । - ছোট ঘাড়টিকে অতিরিক্ত আনত করিয়া পণ্ট বলিল— པཱམ་མ་ཙེམག། 1 - —আমিও তোমাকে কত ভালবাসি, না । এ বিষয়ে পন্টুর প্রকৃত সন্দেহ, কিন্তু ক্ষণ পূর্বের নিদারুণ षदशद्वै बब्र१ कब्रिग्न बलिन-न-ई, फूभिe । প্রৰণসী SNe8హ్ని —হঁ্য, তুমি খুব লক্ষ্মীছেলে। তোমাকে একটা হাওয়াগাড়ি’ কিনে দেব’খন, এই মেঝেয় চালাবে, জেমন ? অপেক্ষাকৃত নিম্নস্বরে বলিল—তোমার মাকে যেন এই চিঠির কথা বলে না ? পণ্ট অভয়দান করিল, বলিবে না। সেদিন আর বিধ দা’র দোকান যাওয়া হইল না। সন্ধ্য পৰ্য্যন্ত উৎকট চেষ্টা করিয়া নিরতিশয় কষ্টে একটা প্রত্যুত্তর খাড়া করিল এবং পরদিনই পন্টুর দৌত্যে যথাস্থানে পাঠাইয়া দিল । চা পান করিতে করিতে নিৰ্ম্মল সকালের ডাক দেখিতেছিল। একখানি চিঠি পড়িতে পড়িতে সে বিজলীম্পূষ্টের মত স্থির হইয়া গেল, পেয়াল-সমেত তাহার দক্ষিণ হস্তটা ত্রিশঙ্কুর ন্যায় টেবিল ও মুখের মধ্যবর্তী পথে অচল, অটল । কিছুক্ষণ এই ভাবে কাটিয়া গেলে সে হা-হা করিয়া হাসিয়া উঠিল । ক্ষুদ্র একখানি চিঠি--- “দেখুন ভদ্রত শেখাবার জন্যে আমাকেই হয়ত একদিন চাবুক নিয়ে যেতে হবে আপনার বাড়ি। ছিঃ ” সুপরিচিত হস্তাক্ষরে লেখিকাকে তাহার চিনিতে বিলম্ব হয় নাই, এবং কাহাকে উদ্দেশ করিয়া লেখা তাহীও সে বুঝিয়া ফেলিয়াছে । পত্ৰখানিকে পূৰ্ব্ববং ভাজ করিয়া খামে পুরিতে যাইবে, দ্বারদেশে তাহার আপাত গৃহকত্রী বৃদ্ধ দাসী! সরস হাসিতে দস্তহীন মুখখানি তাহার উদ্ভাসিত হইয়া উঠিয়াছে— মা-মণির আমার খোকা হয়েছে, বাৰু ? অপ্রতিভ নিৰ্ম্মল হাসিয়া জবাব দিল—না বিগুর মা ; তবে আজ আমি একবার কোলকাতা যাচ্ছি, কাল-পরশু ফিরবে, বুঝলে ?

鬍 鬍 鬍 নিৰ্ম্মলকে দেখিয়াই পারুল উচ্ছসিত কণ্ঠে বলিয়া উঠিল-- যা ভাবছিলাম তাই, এতে কেউ না-এসে পারে ? শেষটায় তোমার কথাই ফল দেখছি! পণ্টই দৃতের কাজটা করলে ! এই নাও ‘মহাভারত । উ, আমি শুধু ছুটোছুটি করছিলাম, অথচ বলতেও বাধছিল কারুকে !