পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

یی سو ۹ প্রবাসী $Ness স্কুলের বড় বড় ছেলেরা, নিজের আলাদা ক'রে পুজো করবে বলে চাদ তুলতে বেরিয়েছে, স্বন্দর স্থসজ্জিত পোষাক, হাতে রূপোর একটি বাটি, মুখে মিষ্টি হাসি এবং মিষ্টি কথা, দেখলেই স্নেহের উদ্রেক হয়, সবাই এদের অন্যত্র যা দেয় তার চেয়ে বেশীষ্ট কিছু দিয়ে থাকে। সেগুলো দিয়ে এরা সাধারণতঃ ফায়ার বিস্তৃত অঙ্গনটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ক'রে নিয়ে, মনোমত ভাবে সাজিয়ে তাতেই পূজো করে। শহরের লোক নিজেদের পূজো শেষ ক'রে ওদের ওখানেও দেখতে যায়। ফায়ার সম্মুখস্থ বেদীটি ( বল বাহুল্য বৰ্ম্মাদেশে মন্দিরকেও ফায়া বলে, এবং বুদ্ধদেবকেও ফায়া বলে ) নানা রকম খাদ্যে এবং ফুলফলের নৈবেদ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে, নানা রকম কেক বিস্কুট চকলেট এবং আরও যা-কিছু পাওয়া যায়, সকল কিছুই ফায়ার সম্মুখে ভোগের জন্য দেওয়া হয়। কাছে বসে ছেলেরা সব গান-বাজনা করছে ; অতিথি-অভ্যাগতকে সসম্মানে সরবং পান করতে দিচ্ছে, আরও ছোটখাটো উৎসবের আয়োজন আছে । সানন্দে এবং ভক্তিপুত চিত্তে অতিথিরাও এ পূজোয় যোগদান করেন। অতি গম্ভীর সরল উদার, আকাশচুম্বী বিশাল ফায়া, নীচে অর্থই জলে কানায় কানায় ভরা স্বচ্ছ স্বন্দর ইরাবতী, এর মাঝে এই তরুণদের এই পূজার আয়োজন,—কি স্বন্দরই যে লাগে ! ফায়ার সঙ্গে পরিচয় এদের অতি ছোট বয়স থেকেই করানো হয়ে থাকে। আমাদের দেশে যেমন ব্রাহ্মণ ছেলেদের উপবীত দেওয়া হয়ে থাকে, এদের তেমনই প্রত্যেকটি ছেলেরই ‘সিমপিউ হয়ে থাকে। এ বিষয়ে গরিব-দুঃখীদের ঘরেও যেমন ওরা সৰ্ব্বস্ব ব্যয় করেও আয়োজন ক’রে থাকে, বড় বড় জমিদার বা উকিল ব্যারিষ্ট্যার জজদের ঘরেও তেমনই ছেলেদের এই সিমপিউতে যথেষ্ট ব্যয় করা হয়। আমাদের দেশে বিবাহাদি উৎসবে ষেরূপ খরচ করা হয় এদের সিমপিউতেও তেমনই করা হয়ে থাকে। এই সিমপিউ হচ্ছে বুদ্ধদেবের অনুকরণে সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাসগ্রহণ, এবং সন্ন্যাসীদের আশ্রমেই দিনকয়েক থেকে, প্রভাতে ভিক্ষে ক’রে এনে একবেলা ক'রে খাওয়া । এই সিমপিউতে বড়লোকদের ঘরে ক'দিন ধরেই যে রাজোচিত উৎসব হয়ে থাকে, তা দেখবার জিনিষ । বঙ্গদেশে ক্ষয়রোগ ঐধীরেন্দ্রচন্দ্র লাহিড়ী, জাৰ্ম্মেনী ক্ষয়রোগ বঙ্গদেশে যে-ভাবে ক্রমশই বৃদ্ধি পাইতেছে তাহাতে ভয় হয় যে ইহাও অচিরে বাঙালী জাতির ধ্বংসের এক কারণ হইয়া দাড়াইবে । ম্যালেরিয়া-প্ৰপীড়িত, বিশাল প্লীহাযুক্ত উদর ও অস্থিচৰ্ম্মসার দেহ বাংলার জনসাধারণের সাধারণ রূপ বলিয়া বহুদিন হইতেই জানা আছে । বহু ডিট্ৰিক্ট বোর্ড ও ‘অগণিত পোষ্ট-আপিসের কুইনাইন থাকা সত্ত্বেও বাংলার এই রূপ পরিবৰ্ত্তিত হইতেছে না। কালাজর আসাম ও উত্তর-বঙ্গে জনক্ষয় করিয়া এখন একটু প্রশমিত হইয়াছে। কলেরা, বসন্ত প্রভৃতি মহামারীর কৃপাও মাঝে মাঝে বিকট রূপেই দেখা যায়। ইহার উপর যদি ক্ষয়রোগ কৃপা প্রকাশ করেন, তবে বোধ হয় বঙ্গদেশে শতকরা এক জন লোকও আর স্বস্থ থাকিবে না । প্রতি জেলাবোর্ডেই ম্যালেরিয়া, কালাজর, কলেরা, বসন্ত প্রভৃতি নিবারণের ও জনসাধারণের বিশুদ্ধ প্ৰব্যাদি পাইবার ব্যবস্থা আছে। কতক বোর্ডে ফুষ্ঠনিবারণ এবং চিকিৎসারও স্থব্যবস্থা আছে। কিন্তু অধিক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ক্ষয়রোগ নিবারণের কোন ব্যবস্থা নাই। ইহার হয়ত একমাত্র কারণ এই যে, ক্ষয়রোগের প্রতিষেধক কোনও ঔষধ বা ইনজেকৃষ্ঠান নাই। থানায় থানায় স্তানিটরী ইনস্পেক্টরগণ কুইনাইন বিলাইয়া এবং টীকা ও কলেরার ইনজেকৃগুন দিয়াই রোগনিবারণের কার্য্য সমাধা করেন। জনসাধারণকে রোগ