পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ হবে । ওর জন্ত আমার বড়-একটা ইয়ে নেই।•••যাক গে সে কথা । শোনো সমর! আমি কিন্তু আগে থাকতেই বলে রাখছি, এবার আমি কোন কথাই শুল্ব না, ছোট বুড়িকে কয়েক দিনের জন্ত নিয়ে যাবই। সেই জন্তই আমি এসেছি। বাবার শরীরে কিছু নেই। কবে আছেন কবে নেই তার ঠিক কি ?” বেচারী দাদা ! ভাগ্নেদের কাছে মান বাচাইবার জন্ত এত মিথ্যাও বলিতে হইতেছে । বিকালে দাদা ও সমরেশ চাকুরীর তদ্বির করিতে বাহির হইয়া গিয়াছে । আজ আর বড়মার কাজে মন লাগিতেছে না, কত কথাই মনে আসিতেছে । বাবার কথা মনে পড়ে । কত বছর তাহীর সহিত দেখা হয় নাই, ও; কত বছর । বাবা যে আছেন তাই প্রায় ভুলিয়া গিয়াছিলাম । সে—ই যে গুলুর অন্নপ্রাশনের সময় দেখা হইয়াছিল তাহার পর আর হয় নাই।•••আচ্ছা, এখনও কি তিনি সেই রকমই আছেন ? সেই রকম হাসিয়া হাসিয়া কথা বলেন, সেই রকম থাইতে পারেন, সেই রকম বিনা-চশমায় বই পড়িতে পারেন ? না বোধ হয়, তাহ বোধ হয় আর পাবেন না । দাদা যে বলিলেন বাবার শরীর একেবারে ভাঙিয়া গিয়াছে । কেমন হইয়া গিয়াছেন তিনি ? এখন বোধ হয় তাহাকে আর চেনা যায় না । চোখে কম দেখেন বলিয়া বোধ হয় তাহার পড়িতে কষ্ট হয়, চলিতে গিয়া বোধ হয় তাহার পা কঁাপিতে থাকে—হাত ধরিয়া ঘরের বাহির করিতে হয়, জোর করিয়া কেহ খাওয়ায় না বলিয়া বোধ হয় কোনদিন পেট ভরিয়া খাওয়াটাও আর হয় না ---কেই বা খাওয়াইবে? বার মাসের রোগী বৌঠান ত থাকিয়াও নাই, আর মা ত চলিয়াই গিয়াছেন । বাবার হয়ত এটা-সেটা একটু খাওয়ার ইচ্ছা হয়, কিন্তু টাকা-পয়সার টানাটানি বুঝিরা চুপ করিয়াই থাকেন। সংসারে বাবা এখন প্রায় অতীতেব কোটায়, বৰ্ত্তমানদের ফেলিয়া তাহার অভাবের কথা ভাবিবার কারই সময় আছে। সন্ধ্যার পর দাদা ও সমরেশ ফিরিয়া আসিল । স্কুলকমিটির মেম্বারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরিয়াও কোন আশ্বাস *il७ब्रां यांग्र नाहे । cनcबBांद्रौ उ व्wiठेई रुजिब्रांtझ्म &icभब्र স্কুলের বুড়া মাষ্টার-টাষ্টার তাহাদের পেষাইবে না, শহরের স্বপ্ন 电@ চালাক-চতুর ‘আপ-টু-ডেট ছোকরা-মাষ্টার ছাড়া আর কাহারও উপর তাহাদের বিশ্বাস নাই। দাদা নাকি একটু ‘রোধ করিয়া’ দুই মাস বিনা-বেতনে থাটিয়া দেখাইতে চাহিয়াছিলেন, সেক্রেটারীবাবু তাঁহা ঠাট্টা করিয়া হাসিয়া खेङ्कांदेब्रl मिग्रांtछ्न । দাদার দিকে আর তাকাইতে সাহস হয় না। কিন্তু দাদা যেন বড় বেশী বেশী আরম্ভ করিয়াছেন। ফিরিবার সময় বাজার হইতে ছেলেমেয়েদের প্রত্যেকের জন্ত দুইটি করিয়া কমলালেবু আনিয়াছেন, মক্কুটার জর বলিয় তাহার জন্য আনিয়ছেন দুইটি ডালিম । এতগুলি ছেলেপিলের ঘরে বেচারী শুধু হাতে আসেনই বা কি করিয়া ? দাদার নাকি আর একদিনও দেরি করিবার উপায় নাই। রাত পোহাইতে ন-পোহাইতেই তাহার রওনা হইতে হইবে। "ছোটবুড়ি' যেন তৈয়ার হইয়া থাকে। দেখা হইতেই দাদা বলিলেন, “রাত পোহালেই যেতে হবে কিন্তু, জিনিষপত্র ঠিকঠাক ক’রে নাও।” বড়মার মন কেম্ন করিতেছে । যাইতে ইচ্ছা করে বড়। কিন্তু ওখানকার অবস্থা ত জানা আছে সবই । এখনই কি কষ্টে উহাদের সংসার চলে, ইহার উপর বোঝা চাপিলে উহাদের অচল হইবে। থাক কাজ নাই এখন যাইয়া । কপালে থাকিলে পরে যাওয়া হইবে। বলিলেন, “এখন থাক না দাদা, তোমার চাকরি হোক, তার পর একদিন যাব।” দাদা মুখ কাচুমাচু করিয়া বলিলেন, “কিন্তু কবে আর যাবে বল। বাবা কি আর তত দিন থাকবেন ?..আদরযত্ব অবিশ্যি কিছুই করতে পারব না, কিন্তু তুমি গেলে দুটো শাকভাতের যোগাড় হবেই। এই গরিবের ঘরেরই ত মেয়ে তুমি, সেটা মনে রেখো । বড়মার চোখে জল আসিল । দাদা যে র্তাহার কথায় কষ্ট পাইবেন তাহা তাহার মনই হয় নাই। দাদা আরও বলিতেছেন, “আদরধত্ব করবার কে-ই বা আছে। তৰু যদি একবার যাও বাবার সঙ্গে দেখাটা হ’তে পারে, মা’র সঙ্গে ত শেষদেখা হ’লই না। অমুখের সময় শুধু তিনি কঁতেন আর তোমার কথাই ব’লতেন ।” আবার চোখে জল আসিল । শেষদেখা আর কই হইল