পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\*SNL প্রবাসী

PNeas్న

না। উপরি উপরি তিনটি গান করিয়া তবে অমর পারে নাই, সেজন্য তাহার বড়ই লজ্জা করিতেছিল ছাড়া পাইল । সন্ধ্যা হইয়া গিয়াছে, আর দেরি করা চলে না। রাত্রিতে খাইবার নিমন্ত্রণ ত নয়, চা খাইবার নিমন্ত্রণ মাত্র। কিন্তু খাওয়ার আয়োজন দেখিয়া অলকার ত চক্ষুস্থির । এই নাকি চা খাওয়া ? সব আছে, খালি চা-টাই নাই। অবশু চাহিলে হয়ত পাওয়া যাইত, কিন্তু চাহিতে আবার যাইবে কে ? পাশের ঘরে, মাটিতে আসন পাতিয়া জায়গা করা হইয়াছে । সেখানে গিয়া সকলে বসিল । ছায়াকে তাহার সজিনীরা ছাড়িল না, তাহাকেও বসিতে হইল বন্ধুদের সঙ্গে । মাসীম এবং অমর পরিবেশন করিতে লাগিলেন। মমতা ভাবিল এ ছেলেটি ত বেশ, কোনো কাজ করিতে বাধা অনুভব করে না। বাড়িতে তাহার বাবা বা ভাই পরিবেশন করিতেছেন, ভাবিতেই তাহার হাসি পাইল । লুচি, বেগুন-ভাজ, ছানার ডালনা আর পায়েস্। সবই মাসীমার হাতের তৈরি, খাইতে ভালই হইয়াছে । আরও আছে, ঘরে তৈয়ারী মালপোয় । এটি ছায়ার নিজের হাতে প্রস্তুত । অলকা বলিল, “ছায়ার এ বিষ্ঠ্যেও আছে দেখছি।” মাসীম বলিলেন, “বাঙালী গেরগু-ঘরে রান্নাবান্না. না শিখলে কি চলে মা ? এখন ত তবু তোমরা সব স্কুলকলেজে যাও, তাই ঘরের কাজ শিখবার তত সময় পাও না, আমরা ত সাত-আট বছর বয়স থেকে মায়ের সঙ্গে সঙ্গে রান্না করতে শিখেছি।” অলকা ভাবিল ভাগ্যে সে ঐ রকম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে নাই । তাহার এত যত্বের এনামেল-করা ছুচলে আঙুলের নখগুলির তাহা হইলে কি দশাই ন হইত। মাগো ! ধীরা বলিল, “আমার দিদি খুব ছোটবেলায় রান্না শিখেছিলেন । সত্যিই সাত-আট বছর বয়সে তিনি এক-এক দিন সংসারের সব রান্নাই ক’রে রাখতেন। তবে ছাড়ি কড়া নামাবার জন্তে অন্য লোক ডাকতে হত।” খাওয়া ত চুকিয়া গেল, মেয়ের আবার উঠিয়া জাসিয়া জাগের সেই ঘরটিতে বসিল । ছায়া সামান্ত কিছু উপহারও পাইয়াছে, সেইগুলি সকলে নাড়িয়া-চাড়িা দেখিতে লাগিল । সে-ই ছায়ার বন্ধুদের মধ্যে সবচেয়ে বড়মানুষের মেয়ে। সকলেই উপহার দিল, অথচ সে কিছু দিল না, ইহাতে ছায়া কি মনে করিয়াছে কে জানে ? অবশু সে নিমন্ত্রণ পাইয়াছেও একটু অসময়ে, কিন্তু তখনও জিনিষ কিনিবার সময় নিশ্চয়ই ছিল । সে ছায়ার কানে কানে বলিল, “কাবার একটু অস্থখ ৰ’লে আমি তোর জন্তে কিছু আনতে পারি নি ভাই। আমি পরে পাঠাব ।’ ছায় বলিল,”আহ, এ কি ট্যান্স নাকি ? না দিলেই বা কি ?” মমতা বলিল, “ট্যাক্স কেন হতে যাবে ? আমার বুঝি আর কিছু দিতে ইচ্ছে করে না ?” অলকা নিজে একটা ‘সিরোপালে’র নেকলেস আনিয়াছিল । মমতা কি দেয় দেখিবার জন্য তাহার বেজায় উৎসাহ ছিল, কারণ সকল ক্ষেত্রেই একমাত্র মমতাকে সে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্য বলিয়া মনে করিত। কিছুই সে আনে নাই দেখিয়া অলকা খানিকট অবাক হইয়া গেল। : আটটা বাজিতে আর দেরি নাই, মমতার গাড়ী হয়ত এখনই আসিয়া পড়িবে । কিন্তু তাহার আগে আসিল অলকার গাড়ী। সকলের কাছে বিদায় লইয়া ছায়াকে অনেক শুভইচ্ছা জ্ঞাপন করিয়া খট-খট করিতে করিতে অলক৷ সিড়ি দিয়া নামিয়া চলিয়া গেল । পাড়ার মেয়েরাও একটিদুটি করিয়া চলিয়া ধাইতে আরম্ভ করিল। মমতা ঘড়ি দেখিল আটটা বাজিয়া গিয়াছে। স্বজিত এখনও আসে না কেন ? বেশী রাত করিলে বাবা আবার রাগারগি না আরম্ভ করেন। আরও পনর মিনিট কাটিয়া গেল, তৰু গাড়ীর দেখা নাই। মমতা বারান্দ হইতে ঝুকি পড়িয়া রাস্ত দেখিবার চেষ্টা করিতে লাগিল। কিন্তু গলিটা সোজা নয়, বড় রাস্তা হইতে খানিকট খুরিয়া আসিয়াছে, এখান হইতে কিছু দেখা शृों★ न ! হঠাৎ বাহির হইতে অমর বলিল, “মুজিতবাৰু আপনাকে নিতে এসেছেন।" - इजिच्रक बांबू यलांब्र वव्रख्छांद्र चडाख शनि ,*ाझेल