পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و ہ سراً গভীর ভাবে ভাবিবার কথা যথেষ্ট ছিল । এই কথাগুলি কেবলমাত্র ইংরেজী বাক্য শিক্ষার উপযোগী ছিল, এমন নহে । ইহাদের মধ্যে প্রাণবান সত্য ছিল,—সেই সত্য মুলুর মনকে সে আলোড়িত করিয়া তুলিত তাহার প্রমাণ এই যে, এইগুলি কেবলমাত্র জানিয়া ইহার অর্থ বুঝিয়াই সে স্থির থাকিতে পারিত না ; ইহাতে তাহার নিজের রচনা-শক্তিকে উদ্রিক্ৰ করিত। কাঠে অগ্নি সংস্পর্শ সার্থক হইয়াছে তখনি বুঝা যায় যপন কাঠ নিজে জলিয় উঠে। ছাত্রদের মনে শিক্ষা তখনি সম্পূর্ণ হইয়াছে বুঝি, যখন তাহার কেবলমাত্র গ্ৰহণ করে এমন নহে, পরস্তু যখন তাহাদের স্বজনশক্তি উদ্যত হঠয় উঠে। সে শক্তি বিশেষ কোনো ছাত্রের যথেষ্ট আছে কি নাই, সে শক্তির সফলতার পরিমাণ অল্প কি বেশী, তাহ বিচাৰ্য্য নহে, কিন্তু তাহা সচেষ্ট হইয়। ওঠাই আসল কথা । মুলু যখন তাহার নবলব্ধ ভাবগুলি অবলম্বন করিয়া দিনে দুটি তিনটি প্রবন্ধ লিপিতে লাগিল, তখন এণ্ডজ সাহেব তাঙ্গর মনের সেই উত্তেজন| লষ্টয় প্রায় আমার কাছে বিস্ময় প্রকাশ করিতেন। এই স্বাতস্থাপ্রিয় মানসিক উদ্যমশীল বালক অল্প কিছু দিন আমার কাছে পড়িয়াছিল। আমি বুঝিয়াছিলাম, ইহাকে কোনো একটা বাপ নিয়মে টানিয়া শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত কঠিন ; ইহার নিজের বিচার-বুদ্ধি ও সচেষ্ট মনকে সহায় না পাইলে ইহাকে বাহিরে বা ভিতরে চালন কর। দুঃসাধ্য। সকল ছেলে সঙ্গন্ধেষ্ট একথা কিছু ন কিছু খাটে এবং এই জন্যই প্রচলিত প্রণালীর শিক্ষাব্যাপারে সকল মানবসন্তানই ভিতরে ভিতরে বিদ্রোহী হয় এবং জবরদস্তি দ্বার। তাহার সেই স্বাভাবিক বিদ্রোহ দমন করিয়৷ তাহাকে পীড়া দেওয়াই বিদ্যালয়ের কাজ । বাহ শাসন সম্বন্ধে মুলুর সেই বিদ্রোহ দমন করা সহজ হইত ন। বলিয়া আমার বিশ্বাস এবং ইহাও আমার বিশ্বাস ছিল যে, অন্তত ক্লালে ইংরেজী পড়া সম্বন্ধে আমি তাহার মনকে আকর্ষণ করিতে অকৃতকাৰ্য্য হইতাম না । শান্তিনিকেতনে প্রসাদের শ্রাদ্ধ-বাসরে আচাৰ্য্য রবীন্দ্রনাথের বক্তৃত। ৪ঠা আশ্বিন, ১৩২৬। - এখানে যারা একসঙ্গে এসে মিলেচি, তাদের অনেকেই প্রবণসী $Nరీss একদিন পরস্পরের পরিচিত ছিলুম না ; কোন গৃহ থেsে কে এসেচি, তার ঠিক নেই । যে দিন কেউ এসে পৌঁছয়, তার আগের দিনেও তার সঙ্গে অসীম অপরিচয় । তার পরে একেবারে সেই ন-জানার সমুদ্র থেকে জানা-শোনার তটে মিলন হ’ল । তার পরে এই মিলনের সম্বন্ধ কতদিনেপ কত না-দেখ+শুনোর মধ্যে দিয়েও টিকে থাকৃবে। এই জানাটুকু কতই সঙ্কীর্ণ, অথচ তার পূর্বদিনের না-জানা কত বৃহৎ । মায়ের কোলে যেম্নি ছেলেটি এল, অম্নি মনে হ’ল এদের পরিচয়ের সীমা নেই ; যেন তার সঙ্গে অনাদি কালের সঙ্গ, অনস্তকাল যেন সেই সঙ্গন্ধ থাকৃবে। কেন এমন মনে হয় ? কেননা, সত্যের ত সীমা দেখা যায় না । সমস্ত বিলুপ্ত করেই সত্য দেখা দেয়। সম্বন্ধ যেখানেই সত, সেখানে ছোট হয় বড়, মুহূৰ্ত্ত হয় অনন্ত ; সেখানে একটি শিশু আপন পরম মূল্যে সমস্ত সৌরজগতের সমান হয়ে দাড়ায়, সেখানে কেবল জন্ম এবং মৃত্যুর সীমার মধ্যে তার জীবনের সীমা দেখা যায় না, মনের মধ্যে আকাশের ধ্রুবতারাটির মত সে দেখা দেয়। যার সঙ্গে সম্বন্ধ গভীৰ হয় নি, তাকে মৃত্যুর মধ্যে কল্পনা করতে মন বাধা পায় না, কিন্তু পিতামাতাকে, ভাইকে, বন্ধুকে যে জানি, সেই জানার মধ্যে সত্যের ধৰ্ম্ম আছে--সেই সত্যের ধৰ্ম্মষ্ট নিত্যতাকে দেখিয়ে দেয়। অন্ধকারে আমরা হাতেয় কাছের একটুখানি জিনিষকে একটুখানি জায়গার মধ্যে দেখতে পাই। এঞ্চ আলো পড়বামাত্র জানতে পারি যে, দৃষ্টির সঙ্কীর্ণত এ তার সঙ্গে সঙ্গে যা-কিছু ভয়ভাবনা, সে কেবল অন্ধকার থেকেঃ হয়েচে । সত্য সম্বন্ধ আমাদের হৃদয়ের মধ্যে সেই আলে ফেলে এবং এই আলোতে আমরা নিতাকে দেখি । হৃদয়ের আলো হচ্চে প্রীতির আলো, অপ্রীতি হণে অন্ধকার । অতএব এই প্রীতির আলোতে আমরা .ে সত্যকে দেখতে পাই, সেইটিকে শুদ্ধ করতে হবে; বাহিরে: অন্ধকার তাকে যতই প্রতিবাদ করুক, এই শ্রদ্ধাকে যেন বিচলিত না করে। সত্যপ্রীতির কাছে অল্প বলে কিছু নে, সত্যপ্রীতি ভূমীকেই জানে। সংসার সেই ভূমার বিরুণে সাক্ষ্য দেয়, মৃত্যু সেই ভূমার বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে থাকে, & o? sl . কিন্তু প্রেমের অন্তরতম অভিজ্ঞতা যেন আপনার স.ে i আপনি বিশ্বাস না হারায় ।