পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশ্বিন সসপিল ع6 جاسوt 8 রাত্রে গুইতে আসিয়া মাধুরীকে ধীরু বলিল—তোমার নাকি বড় লতার ভয় হয়েছে ? তুমি দান্থকে বলেছ এ ঘরে আর থাকবে না । মাধুরী কাদ-কাদ হইয়া বলিল—সত্যি তোমার পায়ে পড়ি, কিছু মনে ক’রো না। আমাকে বাবার কাছে পাঠিয়ে দেবে ? অামার বডড ভয় করে। ধীরু রুখিয়া উঠিল—ভয় করে ? তুমি আচ্ছা ভীতু ত ? আমাদের ত কোনদিন কামড়ায় নি ? অার জান ত, অত ভয় করলে শেষকালে কোন দিন— ঠিক এমনি সময় ঘরের অপর দিকে রক্ষিত সিন্ধুকটি পটু খটু করিয়া নড়িয়া উঠিল। ধীরু চোখ দুটি বড় বড় করিয়া বলিল—শুনতে পাচ্ছ ? মাধুরী বলিল—সত্যি কি বল কিনি ? দিনে রাতে যখন-তখন যে-ভাবে সিন্দুকটা নড়ে ওঠে। আমার যা ভয় করে। কি ক’রে অমন হয় ? লতায় নড়িয়ে দেয়, না ? ধীর হাসিয়া বলিল—লতায় কি ক’রে নড়াবে ? সে ত থাকে ঐ ওপাশের গর্ভের মধ্যে । তা ছাড়া তারা কি অত বড় সিন্দুকটা নাড়াতে পারে ? কি ব্যাপার জান ? লোকে বলে সিন্দুকটার প্রাণ অাছে। আপনি নড়ে-চড়ে। মাধুরী অবাক হইয়া ধীরুর মুখের দিকে তাকাইয়া রহিল ; সিন্মুকের প্রাণ আছে ? কাঠগুলি কি সজীব ? আপনার ইচ্ছায় অঙ্গবিস্তার করিতে পারে ? তাহা হইলে ঐ বিরাট-গহবর সিন্ধুকটি তাহাকে কোনদিন গিলিয়া খাইবে না ত? বলা যায় না, হয়ত ইহারা স্বীকার করিতেছে না—আজ পর্য্যন্ত উহা কত লোককে গিলিয়া . থাইয়াছে! তাহা হইলে ত বড় ভীষণ। যদি এ বাড়িতে সৰ্ব্বদা এইরূপ সশঙ্কিত থাকিতে হয় তাহা হইলে মাধুরীর छौवन फूडीब्र श्छा खेटैिएव । ধীর মাধুরীর দিকে তাকাইয়া হাসিয়া বলিল—বেশ বড্ড ভয় পেয়ে গেছ ত ? খুব মেয়ে যা হোক। শোন প্রাণট্রান ওসব কিছু নয়। সব বাজে। মানে ব্যাপারটা এই যে সিন্দুকটা যে-কাঠের তৈরি তার একটা গুণ হচ্ছে এই যে জোলো হাওয়া লাগলে ঐ কাঠগুলো হঠাৎ ফুলে মোট হয়ে ওঠে। আবার গুৰুনো বাতাস লাগলে সেইটে শুকিয়ে ছোট হয়ে যায়। এই ছোট হয়ে যাবার সময় সিন্মুকটা নড়ে ওঠে আর থটু খটু শব্দ হয় । মাধুরী স্বামীর মুখের দিকে বিহ্বল ভাবে তাকাইয়া রহিল। সে যে ইহার কিছু বুঝিতে পারিল তাহা মনে হইল না। জোলে হাওয়ায় যে কি করিয়া কাঠ বাড়িয়া যায় এবং তাহ আবার ছোট হইয়া গিয়া ঐ অদ্ভূত শম্বের স্বষ্টি করে তাহা তাহার নিকট প্রচ্ছন্ন—প্রহেলিকার স্কায় মনে হইতে লাগিল। সে স্বামীর বাহুর উপর মাথা রাখিয়া কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয় চোখ বুজিয়া ফেলিল। ধীরও আর কোন উত্তর না পাইয়া গুইয়া পড়িল । রাত্রি তখন কত হইয়াছিল, কে জানে ! হঠাৎ তাঁহাদেব ছই জনের ঘুম ভাঙিয়া গেল। দয়াল দরজা ঠেলিতেছিলেন। ধড় ফঢ় করিয়া ধীর উঠিয়া পড়িয়া বলিল—কে দাছ ? কি হয়েছে ? দয়াল বাহির হইতে বলিলেন—একবার বাইরে এসে. শোন ! ধীরু বাহিরের দালানে আসিয়া দাড়াইল। মধ্যরাত্রের চাদ আকাশের একদিকে হেলিয়া পড়িয়াছে। দালানের মধ্যে দেওয়ালগিরির আলোক মিটির, মিটির করিয়৷ জলিতেছে। চারিদিকে নিৰ্ম্মম নিঃশব্দত । দয়াল বলিলেন—শুনতে পাচ্ছিস নে ভাই, বঁাশীর শব্দ– હૈ ૮૧– ধীরুকে আর বলিতে হইল না। সে বাহিরে আসিয়াই বুঝিতে পারিয়াছিল। - ধীরু বলিল—বুঝতে পেরেছি। সেই সাওতালগুলে, না ? আচ্ছা সয়তান ত r বঁাশীর ডাকে বাস্ত চেলে নিয়ে যাবে, না ? কিন্তু ব্যাটারা কি ক’রে জানতে পারলে বলুন ত, গাছ ?--- * দয়াল আপন-মনে বলিলেন–জানতে পারে ওরা। ঠিক সেই সময় আবার পিউ পিউ করিয়া বাণীর শব্দ চারিদিক মাতাইয়া তুলিল। একবার মনে হইল এই নিকটে—বাড়ির পাশেই বাজিতেছে। আবার তখনই সে শৰ মিলাইয়া দূরে চলিয়া গেল। যেন দূরে মাঠ পার হইয় গ্রামের প্রান্ত হইতে করুশ সম্মোহন স্বরটি ভাসিয়া জ্ঞাসিতে লাগিল, কিন্তু অল্পক্ষণ পরে আবার নিকটেই যখন বাণী বাজিয়ী