পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b*Rు প্রৰণসী SNBBR উঠিল তখন যেন মনে হইল স্বরের রেশে সারা বাড়িটি থাকিয়া থাকিয় কাপিয়া উঠিল । ধীরু বলিল—আজ সর্দার থাকলে এখুনি ব্যাটাদের দেখে নিতুম। দয়াল বলিলেন না থাক । আমিষ্ট দেখছি । দে ত লাঠিগাছটা । তাহার পর লাঠি লইয়া দরজা খুলিয়। দয়াল বাহির হইয়৷ গেলেন । ধীরও তাহার পিছনে পিছনে ছুটিল । সার মাঠটার উপর দয়ালের উীক্ষু কণ্ঠস্বর শোনা যাক্টতে লাগিল। ‘আয় কার ঘাড়ে ক’টা মাথা আছে দেপি ? সমস্ত মাঠময় ঘুরিয়াও তিনি কাহারও দেখা পাইলেন না । কিন্তু আশ্চয্যের বিষয় তখনই বঁাশীর শব্দ থামিয় গেল। আর বাজিল ন । দয়াল কিছুক্ষণ চীংকার করিয়া ঘোরাঘুরি করিয়া বাড়ি ফিরিয়া আসিলেন । ধীরুও আসিল । সে রাত্রে আর কোম গোলমাল হইল - । & পরদিন সকালে দয়াল সদর-বাড়ির রকে বসিয়| কথ বলিতেছিলেন । তিনি বলিতেছিলেন যে ঐ সাওতাল সাপুড়েগুলো নাকি ভয়ানক পাজি। তার মা'র বাপের বাড়িতে নাকি একদিন ঐ রকম একটা সাপুড়ে সাপ খেলাইতে আসিয়াছিল। বাঁশী বাজাইয়া ঘুরিয়া ঘুরিয়া যখন সে সাপ পেলাইতেছিল তখন এক জনের দৃষ্টি পড়ে যে বাড়ির ভিতর হইতে বাস্তসাপটি ইত্যবসরে চুপি চুপি আসিয়৷ তাহার অৰ্দ্ধোন্মুক্ত ঝাপিটির ভিতর ঢুকিয় পড়িতেছে।. তখনই গিয়া তাহার সাপুড়েটিকে ধরিল, কিন্তু কিছুতেই সে স্বীকার করিল না। ঝাপি বন্ধ করিয়া, বাণী বাজাইয় আবার সে আপনার পথে চলিয় গেল। সেই হইতে নাকি তাহাদের পড়তা খারাপ হইয়া গিয়াছিল। ঠিক এমনি সময়ে জীৱন গোয়াল আসিয়া বলিল--বড়বাবু একবার গোয়াল-ঘরটার দিকে যাবেন । মা-ঠাকরণ কি বলছেন"r দয়াল তখনই উঠিয়া পড়িলেন। গোয়াল-ঘরের নিকট আসিলে জীবন তাহাকে ভিতরে লইয়া গিয়া একটি গাইকে দেখাইল । গাইটির দিকে তাকাইয় তাহার চক্ষু বিস্ফারিত হইয় উঠিল । তিনি বসিয়া পড়িলেন। ব্যাপারটা আর কিছু নয়। সাপে গরুর বঁটি কাণ| করিয়া দিয়া গিয়াছে। দুগ্ধের লোভ সৰ্পের এতই বেশী ষে গরুর বঁটি হইতে তাহ শুষিয়া লইবার জন্ত এই অদ্ভূত কাও বাধাইয়াছে। দয়াল বলিতেছিলেন-কাল আমি মা’কে আমন ক’বে দ্বধ আর কলা খাইয়ে এলুম, তবুও মার লোভ কমল না শেষে এই রকম একটা কাজ করলেন ! তাহার পর উঠিয়া পড়িয়া ধীরুকে বলিলেন --- তা নয় রে ভাই ! এতদিন ম৷ এই ভিটেয় আছেন কোনদিন কিছু করলেন না, আর হঠাৎ আজ করবেন। তা নয়। ঐ সাওতাল ব্যাটার বঁাশী বাজিয়ে বাজিয়ে মা’র মাথা খারাপ ক'রে দিয়েছে। যাঃ, মা এইবার সর্বনাশ করে ছাড়বেন দেখছি । কিছুক্ষণ কলকোলাহলের মধ্যে কাটিবার পর দয়াল গো-বছি ডাকিবার জন্য গ্রামান্তরে লোক পাঠাইলেন। কিন্তু বন্তি আসিবার বহুপূৰ্ব্বে গাইটি মাটি লইল । বিষের ক্রিয় তাহার সর্বাঙ্গে প্রকট হইয়া উঠিয়াছিল। সেদিন বাড়িতে নানা হটগোলের মধ্য দিয়া কাটিল । গরটিকে ভাগাড়ে পাঠাইবার ব্যবস্থা করিয়া স্নানাহার সারিতে অনেক বেলা হইয়া গেল। কিন্তু বৈকালে আর একটি কাণ্ড বাপিল । জীবনের ছোটছেলেটা দাওয়ায় গুইয়াছিল, হঠাৎ চিলের মত চেচাইয়া উঠিল। কি কামড়াইয়া থাকিবে সন্দেহ হওয়ায় তাহার বউ বিষপাথরটা আনিয়া গায়ে দিতে তাহা নাকি এক স্থানে বসিয়া গিয়াছে। " সংবাদ পাইয় দাল তখনই ধীরুকে সঙ্গে লইয়া সেখানে গিয়া উপস্থিত হইলেন। সত্যই সর্পাঘাতের চিহ্ন পরিস্ফুট। কি ভাগ্য তখনই হাতচালা আসিয়া গিয়াছিল। সে তাড়াতাড়ি হাতে মন্ত্ৰপূত তৈল, লইয়া তাহার গা-ময় বুলাইতে লাগিল । শেষে এক স্থানে জাসিয়া হাত থামিয়া গেল। সেইখানটিতে দংশন হইয়াছিল।