পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

HINෂණූ পুস্তক বাহির করিবার কিংবা প্রত্যেক বিষয়ের বিভাগ ও উপবিভাগে কি কি বই আছে তাহ সহজে ধরিবার উপায় থাকে না । অন্যান্ত বিষয় সম্বন্ধেও এই কথা খাটে। সুতরাং কোন শৃঙ্খলাবদ্ধ, বিজ্ঞানসন্মত উপায়ে পুস্তকের বিভাগ করা দরকার । পুস্তক-বিভাগের নানা প্রথা আছে : তন্মধ্যে চারিটি উল্লেখযোগ্য —যথা ব্রাউন-উদ্ভাবিত “Subject Classification,” FÜH-2s-fŠvs “Expansive Classification, otofota Library of Congress Classifiration s fosfaz “Decimal System of Classification” । ইহার মধ্যে ডিউয়ির দশমিক শ্রেণী বিভাগ পদ্ধতিই সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক প্রচলিত। আমেরিকার লাইব্রেরীপরিচালনা বিশেষজ্ঞ ডক্টর মেলভিল্ ডিউয়ি এই প্রথা উদ্ভাবন করিয়া ছন । এই প্রথানুসারে জগতের বহু লাইব্রেরীর পুস্তকের বিভাগ করা হইয়া থাকে। এই প্রথানুসারে পুস্তক বিভাগ করিতে হইলে দশমিক বিন্দুর সাহায্য লইতে zi fiil öztç* Decimnl System zzi fsef বিশ্বের সমগ্র জ্ঞানভাণ্ডারকে দশটি বিষয়ে ( class ) বিভক্ত করিয়াছেন । বিষয়গুলির নাম ও প্রত্যেকের নম্বর নীচে দেওয়া হইল । • e • সাধারণ গ্রন্থ ( (i.eneral Works ) ) iz} ( Philosophyد ه • د ২০০ ধৰ্ম্ম ( Religion ) ৩ee সমাজতত্ত্ব ( Sociology) ৪e • ভাষাতত্ত্ব ( Philology ) ৫• • বিজ্ঞান ( Natural Sciences ) ৬০০ ব্যবহারিক বিজ্ঞান ( Useful Arts ) ৭০০ ললিতকলা ( Fine Arts ) ৮০০ সাহিত্য ( Literature ) ৯ • • ইতিহাস (History, including ( ভূগোল, জীবনী ও geography, biography & ভ্রমণ-বৃত্তান্ত সমেত ) travels ) প্রত্যেক বিষয়ের নয়টি বিভাগ ও প্রত্যেক বিভাগের উপবিভাগ আছে। বিষয়, বিভাগ ও উপবিভাগ বুঝাইতে হইলে সাধারণতঃ তিনটি রাশি ব্যবহার করিলেই চলে। শতকের ঘর বিষয় স্বচনা করে ; যেমন ৫•• বলিতে বিজ্ঞান বুঝায়। প্রবাসী SNరి3కా দশকের ঘর বিভাগ ( division ) স্বচনা করে ; ও ১০ নং ( ৫••+১০ ) বিজ্ঞানের প্রথম বিভাগ গণিত বুঝায়। cqR### sR ữ*fNst3ị (sub-division ) বুঝায় ; যেমন ৫১১ নং ( ৫ • e + ১০ + ১ ) বলিলে বিজ্ঞানের প্রথম বিভাগ অঙ্কশাস্ত্রের প্রথম উপবিভাগ পাটীগণিত বুঝায়। তিনটির অপেক্ষা বেশী রাশির দরকার হইলে তিনটি রাশির পর দশমিক বিন্দু দিয়া তাহার পর অন্ত রাশি বসাইতে হয় । যেমন ভূতত্বের নম্বর ৫৫০ ; কিন্তু ভারতীয় ভূতত্ত্বের নম্বর হইবে ৫৫৫-৪ । এইরূপ ভাবে পুস্তক-বিভাগ করিলে কোন নম্বরে কোন বই অথবা কোন বইয়ের কত নম্বর হইবে সহজেই বলিয়া দেওয়া যাইতে পারে। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যে, প্রত্যেক বিভাগ কি উপবিভাগের যদি একই নম্বর থাকে-যেমন সব পাটীগণিতের নম্বর ৫১১-—তবে কোন বিশেষ গ্রন্থকারের বই কিরূপে বাহির করা যাইতে পারে ? কারণ, পাটীগণিতের বই অনেক গ্রন্থকারের আছে । ইহার উত্তর এই যে, প্রত্যেক বইয়ের নম্বরের সঙ্গে গ্রন্থকারেরওঁ একটি বিশেষ নম্বর দেওয়া হইয়া থাকে। এই দুইটি নম্বর মিলাইয়। ‘কল্-নম্বর’ বলা হয়। এই নম্বরের সাহায্যে বঙ্গ বাহির করা যাইতে পারে । এই প্রথানুসারে পুস্তকবিভাগ ভারতবর্ষের কোন কোন লাইব্রেরীতে, যথা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে, প্রবৰ্ত্তিত হইয়াছে । কেহ কেই নিজের স্থবিধার জন্ত ইহার কিছু পরিবর্তন করিয়া লইয়াছেন। মাম্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক শ্রীযুক্ত এস. আর. রজনাথন, এম-এ, এফ-এল-এ ‘কোলান সিষ্টেম’ নামে এক অভিনব পন্থা উদ্ভাবন করিয়াছেন। এই পন্থাকুযায়ী মাত্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীর পুস্তকের বিভাগ কর! হইয়াছে। কোলান ( ঃ)-এর সাহায্যে এই পন্থায় পুস্তক বিভাগ করা হইয়া থাকে । পুস্তক-বিভাগ করা হইলে পুস্তকের তালিকা প্রস্তুত করিতে মনোযোগ দেওয়া কৰ্ত্তব্য । পুস্তক-নিৰ্ব্বাচনে পাঠকদের সাহায্য করিতে হইলে ভালরূপে পুস্তকের তালিকা প্রস্তুত করা দরকার। আমরা সাধারণতঃ বইয়ের আকারে প্রস্তুত তালিকার সহিত স্থপরিচিত। ইহাকে ‘বুক-ক্যাটালগ বলা হইয়া থাকে। এইরূপ তালিকার নানা অস্ববিধ আছে। কোন কোন লাইব্রেরীর তালিকা ছাপান থাকে :