পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পশ্চিমষ ত্রিকী b~\LNరి সব চমকে ওপরে উঠতে দিচ্ছে । সিড়ির শেষে আর এক জন আছেন। তিনিও এই কাজ করছেন। টমাস কুকের কুলীর কতক মালপত্র নিয়ে আগেই উঠেছিল, পরে কতক নিয়ে আমর উঠলুম। বন্ধুবান্ধবের দলও জাহাজখানির ভেতর দেখবার জন্য আলাদা টিকিট কেটুে ওপরে উঠে এলেন। জাহাজের এক জন কৰ্ম্মচারী আমাদের সঙ্গে সঙ্গে এসে কেবিন দেখিয়ে দিয়ে গেলেন, কেবিনের নম্বর ১৬১ ও ১৬২ । কয়েক দিনের জন্য ভাড়াটে ঘরটিতে লগেজ মেলাতে বসে গেলুম। ঘরের আসবাব, দুখান বিছান করা খাট, মেঝের সঙ্গে আটকান। কোনমতেই নড়ান যায় না। তিনটি বড় দেরাজওয়ালা একটি টেবিল ( কাপড়চোপড় রাখবার জন্তে ), একটি চা খাবার ছোট টেবিল, একটি আয়নাওয়াল ওয়ার্ডরোব আলমারী, একটি কুশন-সমেত বড় কোচ, একটি ছোট ওয়েষ্ট পেপার বাসকেট । খাটের দু-পাশে দুটি ছোট ছোট আলমারীর মতন । এর ভেতর চেম্বার পট রাখা যায় । ছোট কাচের কুঁজে ও গেলাস । কেবিনের ভেতর পাখা নেষ্ট । অসহ গরম বোপ হ’তে লাগল। দুটি থাটের ওপর ছাদ থেকে দুটি গুঁড়ি ঝুলছে । তার ভেতর দিয়ে ঠাণ্ড হাওয়া আসে । একটি भाऊँ জানল ( nort hole ) তাও বন্ধ ক’রে দিয়ে গেল। যাবার সময় কেবিন-বয় আমার মুখের সামনে দুটা হাত ঘুরিয়ে বলে গেল নে ওপেন । সে বেচারী ইটালীয়ান, ভাল ইংরেজী বলতে পারে না, কি করবে। বলতে ভুলে গেছি, আমাদের জাহাজখানির নাম M. v. Victoria. ইটালীয়ান নাম “মতো নাভে ভিক্তোরিয়া ।” ষ্টীমে চলে না, মোটররোটের মত এনজিন আছে। জাহাজ প্রায় বেলা একটা আন্দাজ ঘাট থেকে ছাড়লো। দশ-পনর মিনিটের মধ্যেই সামনে থেকে বোম্বাই শহরের হাইকোর্ট, তাজমহল হোটেলের চূড়ো, গীর্জা, ঘরবাড়ি, লোকজন সব একাকার হয়ে গিয়ে চারি দিকে নীলজল থৈ থৈ করতে লাগল। ব্যালার্ড পীয়ারের বন্ধুর দল দাড়িয়ে দাড়িয়ে রুমাল ওড়াতে লাগলেন, অনেক দূর থেকে শুধু রুমালগুলি দেখা যেতে লাগলো। ঠিক যেন এক ঝণক সাদা পায়রা উড়ছে । জাহাজের ভেতরট এবার ভাল ক'রে দেখে মনে হ’ল একটি সাজান বড় হোটেল কে যেন জলে ভাসিয়ে দিয়েছে। এমন ওপরে জলের ¢¢gन --म९श्छबांब्लौ সময় দুপুরের পাওয়ার ঘণ্টা পড়লে । জাহাজ তখন রীতিমত দুলছে । খাবার ঘরে গিয়ে চক্ষুস্থির। প্রকাও হল, তাতে নানা জাতের প্রায় জুশে লোক একসঙ্গে থেতে বসেছে। হলের সামনের ও পেছনের দেওয়াল খুব পালিশওয়ালা কাঠের, তাতে পেতলের তৈরি মানুষ, গাছপালা হরিণ এই সব বসিয়ে ছবির মত করা হয়েছে। সামনেই ব্যাও বাজছে। ইটালীয়ান স্থর আমার বেশ লাগলো। খাওয়া-দাওয়া খুব ভাল ; অনেক রকম থাকে, অত খাওয়া যায় না । খেতে বসে খালি মনে হ’তে লাগলো চেয়ারের তলায় কে যেন কেবলই ঠেলা মেরে কাং ক'রে ফেলবার চেষ্টা করছে। বুঝলুম সমুদ্র উৎপাত মুরু করেছেন। খাওয়া সেরে বাইরে ডেকে এলুম। এসেই সমুদ্রের হাওয়াটায় কেমন একটা অসিটে গন্ধ ও গরম ভাপ পেলুম। খাবার ঘরটি সব কুলিং সিস্টেমে তৈরি।