পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অণশ্বিন বালিস থেকে মাথা তুলতে গেলেই মাথা ঘুরে যায়। কাঠের পুলিশ-কর কড়ির ওপর ঢেউয়ের ছায় পড়েছে ; বন্ধ পোর্ট-হোলের র্কাচের ওপর

ঞ্জারে জোরে জলের ধাক্কা

লগতে মুরু হ’ল, শুয়ে গুয়ে তাই দেখছি আর ভাবছি সেই জন্যই বন্ধ করবার সময় বলেছিল “নো ওপেন” । তেতলার উপর কেবিন, তার aানালার ওপরও জল উঠছে মাঝে মাঝে মনে হ’তে লাগল পটখানা আমার বুঝি কাং ক’রে দিলে ফেলে। উত্তর-দক্ষিণ পব-পশ্চিম, সকল দিকই দুলছে । ঘরে একটুও বাতাস নেই। সু-জনেষ্ট পড়ে আছি, উঠে বসবার ক্ষমতা নেই। এক জন থাঠি ও এক জন ছাতার বঁাটের সাহায্যে হাওয়ার ইঁাড়ি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সমস্ত শরীরে বাতাস লাগাচ্ছি । বিছানায় পড়ে পড়ে বাডির নানা রকম সুখ-সুবিধার কথা মনে পড়ছে, তৎক্ষণাৎ মনকে বোঝাচ্ছি একটু কষ্ট না করলে কি ক’রে অতসব দেশ দখব ? জাহাজস্থদ্ধ লোকের ত এই অবস্থা । এই রকম ক’রে আড়াই দিন কেটে গেল । জাহাজে ওঠবার সময় বন্ধু সোমজি কিছু ভাল এলফোঙ্ক আম দিয়েছিলেন, সেগুলি কেবিনেই ছিল । এই দু-দিন খালি আম ও নেবুর সরবং খেয়েছিলাম । আজ ১৬ই জুন, জলের অবস্থা একটু ভাল। আমি কোন রকমে আঁচলখানা কোমরে জড়িয়ে, লিফ টু বেয়ে ওপরে এসে ডেক-চেয়ারে চোখ বুজে বসে আছি । আজ সকলে উঠে বসেছে ও পরস্পরের মধ্যে এই দু-দিন কার কি ভাবে কাটুল সেই কথা আলোচনা ক’রছে । ওপরের ডেকে এসে বসতে পারলে শরীর তবু ভাল মনে হয়। আরব্য-সাগরের ভিতর দিয়ে চলেছি, জলের রং ব্ল্যাক কালীর মত। ঢেউ ভাঙা ফেনার দিকে দেখলে মনে হয় কে যেন বস্ত বস্তা পেজ তুলে জড়াচ্ছে । ভীষণ সৌন্দৰ্য্য, দেখলেই মাথা ঘুরছে। যত বেলা বাড়ছে জলের রং এখন জলের রং এডেন -- কাম্প টাউন তত কালে দেখাচ্ছে । আজ সব কেবিনের পোট-হোল খুলে দিয়েছে । শুনছি রাত ১২টায় জাহাজ এডেন বন্দরে পৌছবে এবং কাল সকাল ৮টায় ছাড়বে। আজ ১৭ই জুন, এখন বেল ২-১৫, মিনিট, আমি লাঞ্চ খেয়ে লিখতে ব'সেছি । জাহাজ কাল রাত ৩টার সময়ে এডেন বন্দরে পৌছেছিল, আজ সকাল ৭টায় ছেড়েছে । শরীরে তেমন যুত না থাকায় ডাঙ্গায় নেমে মোটে দেখি নি । আমরা এখন লোহিত-সাগরের ভিতর দিয়ে চলেছি । এক দিকে আফ্রিকা, অপর দিকে আরবদেশের তীরভূমি দূরে দেখা যাচ্ছে । অনবরত পশ্চিম দিকে চলেছি, জাহাজের ঘডি রোজ আধ ঘণ্টা করে পেছিয়ে দিচ্ছে। শুনছি হাওয়ার উত্তাপ ক্রমশই বাড়বে, কারণ জলের দু-পাশেই মরুভূমি । ফিকে নীল ; লোহিত কথন দেখব জানি না । - আমাদের পরম বন্ধু শ্রীঅবনীনাথ মিত্র মহাশয় সস্ত্রীক তৃতীয় শ্রেণীতে চলেছেন । তৃতীয় শ্রেণীকে এখানে সেকেণ্ড ইকনমিক্‌ বলা হয় । অবনী বাবুর কোন রকম সামুদ্রিক পীড়ার উৎপাত হয় নি, সুতরাং সমস্তষ্ট নিৰ্ব্বিবাদে পেয়ে হজম করেছেন, তবুও পেটে যেটার নিতান্ত জায়গা হচ্ছে না, সেটার জন্ত দুঃখ জানিয়ে বলছেন “তাই ত এটা ত কিছুতেই থেতে পারছি না । বেটার। ত পুরো ভাড়াটা আদায় করছে। ফেরবার আগে উস্থল করতে পাবুলে হয়। তাদের দিকে নানান জাতের