পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գg নয় শত বাহান্ন টাকার চিনি গ্রেট-ব্রিটেনে রপ্তানী হইয়াছিল। ঐ বৎসর কলিকাতা হইতে ইংলণ্ডে প্রেরিত সমগ্র জিনিষের মূল্য ছিল এক কেট বাহান্ন লক্ষ চৌর্যটি হাজার সাত শত আটার টাকা । ইংলগু হইতে কলিকাতায় ঐ সালে সৰ্ব্বসমেত এক কোটি সাতন্নি লক্ষ একচল্লিশ হাজার আট শত কুড়ি টাকার জিনিষ আমদানী হইয়াছিল। ১৮৩৬ খ্ৰীষ্টাব্দ হইতে ১৮৪৭ খ্ৰীষ্টাব্দের মধ্যে ভারতীয় চিনির অভূতপূৰ্ব্ব প্রসারহেতু বাংলা দেশের লোক ১৮৩৫ খ্ৰীষ্টান্ধ অপেক্ষ শতকরা ১৬৯ ভাগ বিলাতী দ্রব্য খরিদ করিবার ক্ষমতা লাভ করিয়াছিল। ১৮৪৬-৪৭ খ্ৰীষ্টাব্দে কলিকাতা হইতে বিলাতে এক কোট পর্যটি লক্ষ এক হাজার এক শত আটানব্বই টাকার চিনিই রপ্তানী হইয়াছিল। কলিকাতা হইতে বিলাতে রপ্তানী সমস্ত দ্রব্যের মুল্য ছিল চার কোট গয়তাল্লিশ লক্ষ চুরানব্বই হাজার দুই শত একুশ টাকা । বিলাত হইতে ঐ বৎসর যে-সকল দ্রব্য কলিকাতায় আমদানী হইয়াছিল তাহার মূল্য হইয়াছিল চার কোটী চব্বিশ লক্ষ দশ হাজার সাত শত উনত্রিশ টাকা । দেড় কোট টাকার জিনিষ হইতে সওয়া চার কোিট টাকার জিনিষ যে বাংলা প্রদেশ কিনিতে সমর্থ হইয়াছিল তাহার প্রধান কারণ চিনির ব্যবসায়ের উন্নতি । - ১৮৩৫-৪৭ খ্ৰীষ্টাব্দ পর্যন্ত কত পরিমাণ চিনি ৰাংলা দেশ হইতে বিলাতে রপ্তানী হইয়াছিল তাহার বিবরণ নিম্নলিখিত হিসাব হইতে পাওয়া যাইবে। ७,७v,१४० भ* יל 38 מכל רגל) V,28,"be as 警贸 • • : ولافون k,8ప్మిగyతి , וי כישל,8ש, ו"ג «و ۹ ده «RR , » . 2ు, ఆ "కి 5 , وو لاط هو 98وع لا $8,లిని, 33 )*84=8● :ly్బతిన్యాతి$8 , iyg:48 Sh,) , ) , (১৮৪৮ খ্ৰীষ্টাব্দের সিলেক্ট কমিটির রিপোর্ট, ২৭-২৮ পূঃ জষ্টৰা ) বিলাত ছাড়া অন্তান্ত দেশেও বাংলার চিনি রপ্তানী 2ly (ఆలిస్ట్రీ byడి ఆశ్రి yచి ఆశిy by Sy= :: Sly కిసిఆ8 ఆ }w8 ses 3 Ֆե83-8Հ ysఫి=gu 8 Rكانها yty8 }ly88-8& •ា ៖ SNS8* হইত। চিনির ব্যবসায়ী মিঃ আলেকজানার তাহার সাক্ষ্যে বলেন যে অনুমান হয় ৭•,••• টন বাংলার চিনি পঞ্জাবের ভিতর দিয়া তাতার, পারস্ত ও রূৰ দেশে রপ্তানী হয় (১৮২• সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর ) । কলিকাতার আশপাশে চিনির ব্যবসা এতটা প্রসার লাভ করিয়াছিল যে কারখানায় চিনি তৈয়ারির উপযোগী পাত্রাদি ( যথা vacuum pan) কলিকাতায় প্রস্তুত হইত (৭১ সংখ্যক - প্রশ্নের উত্তর ) । পালামেণ্টের সদস্য মিঃ ব্যাগণ বলেন যে চিনির কারখানার জন্ত ষ্টীম এঞ্জিন ও অন্তান্ত যন্ত্রপাতিও কলিকাতায় প্রস্তুত হইত, যদিও ঐ সব জিনিষ তৈয়ারির খরচ বিলাতের চেয়ে কিছু বেশী পড়িত। তিনি আরও বলেন যে কলিকাতায় অনুমান পঞ্চাশ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি চিনি তৈয়ারীর জন্ত খরচ করা হইয়াছে (২৮৫ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর ) । বাংলা দেশ গড়ে ষাট হাজার টন চিনি বিলাতে পাঠাইত। এই পরিমাণ চিনি তৈয়ারির জন্ত ইক্ষু উৎপাদন করিতে কত জন লোকের কাজ জুটিত তাহারও ইঙ্গিত উক্ত রিপোট হইতে পাওয়া যায়। কুক সাহেব বলেন যে প্রতি-একর জমিতে চার হুন্দর পরিমাণ চিনি হইতে পারে। সুতরাং ষাট হাজার টন চিনির জন্ত তিন লক্ষ একর জমি চাষ করিতে হইত। তিন জন লোক এক একর জমি চাষ করিলে নয় লক্ষ লোক বিলাতের জন্ত চিনি-রপ্তানীর উপযুক্ত ইক্ষুক্ষেত্রে নিযুক্ত থাকিতে পারিত। লিওনার্ড রে সাহেব তাহার সাক্ষ্যে বলেন যে, অনেক কৃষক এক কাঠা মাত্র জমিতেও ইক্ষু চাষ করিত, তবে গড়ে আধ একর জমিতে প্রত্যেক কৃষক তাহার স্ত্রীপুত্ৰ লইয়া কৃষিকৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইত, সুতরাং নর লক্ষের চেয়ে বেণী লোকই বিলীতে চিনি-রপ্তানীর হবিধা থাকায় কাজ পাইত । প্রবন্ধে বাংলা দেশের কথা বলিয়াছি। তবে যেসময়ের কথা বলিতেছি সেসময়ে বিষ্কারও বাংলার অন্তভুক্ত ছিল এবং ব্রিন্থতেও অনেকটা চিনি তৈয়ারী হইত এ-কথ} স্মরণ রাখিতে হইবে।