পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواانفسر‘‘ বৃষ্টির জলে পূর্ণ আধারসমূহ হ’ল । জাহাজের পোষ্ট অফিসে চেঞ্জ পাওয় যায়। একটু পরেই স্বয়েজ শহরের আলো জাহাজ থেকে দেখা যেতে লাগল। জলের আত শব্দ ও ঢেউ কমে গেল । রেলিঙের ধারে এসে দেখে মনে হ’ল জাহাজ যেন একটা চওড়া নদীর মোহানায় এসে দাড়িয়েছে। জাহাজের ঠিক তলায় একটি মস্ত বড় কাঠের তক্ত ভাসছে। ওপর থেকে ইলেক্‌টিক আলো পড়েছে। তার ওপরে সিড়ি নামিয়ে দিলে। তখন চারি দিকে খুব চাদের আলে। । জলের ওপর মোটর-লঞ্চ ও তাদের লোকদের আরব্য ভাষায় তর্কাতর্কি, দর-কষাকষি, চেচামিচি শোনা যেতে লাগল। আমরা কায়রো-যাত্রীর দল রাত একটা দশ মিনিটের সময় ( কলকাতা টাইম ভোর সাড়ে চারটা ) সেই সিড়ি দিয়ে নেমে একটা মোটর-লঞ্চের ওপর গিয়ে বসলুম। আরবী বোট-ম্যান তার হেঁড়ে গলায় চীৎকার করে ডাঙা-ভাঙা ইংরেজী ভাষায় আমাদের সকলকে ডেকে জানিয়ে প্রবাসী - অপেক্ষা করছিল । sa«خ٧«ځه TiATeAAAA দিলে যে আমরা যেন কায়রো শহরে নেমে গাইড’ছাড়া কারুর কথায় না বিশ্বাস করি, কারুকে কোন কারণে যেন পয়সা না দিই, কেননা চারি দিকে সেখানে ঠগ-জোচ্চরের দল ঘুরে বেড়ায়। আমাদের যা-কিছু সব করবে টমাস কুক কোম্পানী । মোটর-বোট আমাদের হুস হস ক’রে নিয়ে গিয়ে একেবারে হুয়েজ-বন্দরের মুখে নামিয়ে দিলে। সেখানে আমাদের জন্য চার-পাঁচখানা বুইক মোটর গাড়ী আমরা দলের সকলে ভাগাভাগি ক’রে এক একটা গাড়ীতে উঠে পড়লুম। আমাদের গাড়ীতে আমরা তিন জন বাঙালী ও দু-জন আমেরিকান মহিলা ৪ ড্রাইভার --মোট এই ছ-জন ছিলুম। গাড়ী প্রথমে আমাদের স্বয়েজের কাষ্টম আপিসে নিয়ে গেল । সেখানে আমাদের বক্স-প্যাটরা ঘেটে থানাতল্লাসী ক'রে বুঝলে আমরা কিরকম ধরণের লোক। তার পর পাসপোর্ট দেখে ছেড়ে দিলে। এ সব কারবার আমাদের বেশীর ভাগ ইসারাতে চলতে স্বাগল। কেননা এখানে লোকে ফরাসী ও আরবী ভাস: ছাড়া কথা কইতে পারে না । ইংরেজী খুব সামান্তই জানে। আমাদের গাড়ী এবার খুব জোর ছুটতে স্তর করলে। পরিষ্কার - চাদের আলোয় চারি দিকে দেখতে পেলুম কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়ার দাপটে মরুভূমির ওপর জলের মত বালির ঢেউ খেলে যাচ্ছে। আমরা সাঙ্গার মরুভূমির এক অংশের ভেতর দিয়ে যেতে লাগলুম। এখানে এর সাহার বলে না। . নিউবিয়ান ডেজার্টষ্ট বলে। মাহুষের নেড় মাথায় প্রথমে ছোট ছোট্ট চুল বেকলে । যেমন দেখতে হয়, চাদের আলোতে চারি দিকে মরুভূমির ধূ-ধূ করা বালির ওপর সেই রকম ছোট ছোট কাটাগাছ দেখতে পেলুম। তা ছাড়া আর কোন গাছ তখন মঞ্জরে পড়ল না। অদ্ভুত রকম শীত। হাওয়ার চোটে চোপে-মূপে বালি আসতে লাগল, ঠিক যেন ড়েয়ে-পিপড়ের কামড়। বেশ চলছি, হঠাৎ ফ'ট ক'রে চাকা ফাটল । * পথে নেমে নতুন চাকা পরাতে আধ ঘণ্ট। সময় লাগল। তার পর আবার ছুট। কত মাইল ঠিক মনে নেই, প্রায় আলী হবে, যাবার পর আমাদের মোটর ইজিপ্টের রাজধানী কায়রো শহরেঃ স্তাভয় কণ্টিনেন্টাল হোটেলে এসে থামল। এই হোটেলেই আমাদের খাওয়া-দাওয়ার জন্ত টমাস কুক কোম্পানী ।