পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুই রাত্রির ইতিহাস ঐআৰ্য্যকুমার সেন ষ্টেশন বাংলা দেশেই বটে, কিন্তু গ্রাম বিহারে । অবগু ঐ এক ষ্টেশনে নামিয়া পুরা ছয়খানা গ্রামের লোক বাড়ি যায়, তাহাদের মধ্যে এইখানি মাত্র বাংলায়, বাকী বিহারে । কিন্তু ঐ পর্য্যন্তই ; গ্রামে যাহারা থাকে তাহারা দেখিতে-শুনিতে সব দিক দিয়াই বাঙালী । ছোট ষ্টেশন। প্লাটফর্ম নাই, ছোট একখানা ঘর, ষ্টেশনের আপিস, বুকিং ঘর, ষ্টেশন-মাষ্টার ও পোর্টারের দিবানিদ্রার কক্ষ, একাধারে সবই । - কত দিন পরে বিজন এই ষ্টেশনে পা দিল ! নয়-দশ— না নয়-দশ কেন-প্রায় বারো বছরের কথা, ম্যাটিক দিয়া গ্রাম ছাড়িয়াছিল, আর তাহার পরে এ গ্রামে ফিরে নাই । বিজন চারি দিকে তাকাইয়া দেখিল । বারো বছরে খুব বেশী পরিবর্তন হয় নাই । এমন কি ষ্টেশনের বহিরে যে চালু রাস্তা নামিয়া গিয়াছে, তাহার পাশের খেজুরগাছটি, আর গজ-কয়েক দূরে ছোট কাঠের সাকোর ধারে খালের উপর হেলিয়া-পড়া অশ্বখগাছ, সব ঠিক তেমনি রহিয়াছে । পরিবর্তনের মধ্যে চোখে পড়িল ষ্টেশনের বাহিরে একটি দোকুন, যেখানে চিনির তৈরি সন্দেশ হইতে আরম্ভ করিয়া পান, বিড়ি, এমন কি গোটা দুই-তিন মরিচাধরা টর্চ লাইট পৰ্য্যস্ত কিনিতে পাওয়া যায় । এ-ষ্টেশনে পরিষ্কার জামা-কাপড় পরিয়া যাহারা আসে, ষ্টেশন-মাষ্টারের অপরিচিত তাহার। কেহই নহে। কিন্তু এলোকটিকে তাহার চেন মনে হইল না। একটু সন্মিথ, অনুসন্ধিৎসু কণ্ঠে তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “মশায়ের নিবাস ?” এধরণের প্রশ্ন পত্নীগ্রামে কেৰ অসঙ্গত মনে করে না। সম্পূর্ণ অপরিচিন্তু লোক রাস্তায় দাড় করাষ্টয় নামধাম, छfठि, *ॉडूब्र'ब्र नाभ, शिडॉभtश्द्र नांभ छांनिग्न जश्व । নিজের উৰ্দ্ধতন পাচ পুরুষের নাম, ব্যবসা, জমিজমা, সকল খবর দিবে-ইহাতে পল্লীগ্রামে অবাক বা বিরক্ত হইবার কিছু কেহ খুজিয়া পায় না। বারো বছর পরে প্রায় নূতন অভিজ্ঞতা হইলেও বিজন বিরক্ত হইল না । মৃদ্ধ হাসিয়া কহিল, “এইখানেই ।”

  • এইখানে ত অস্ততঃ ছখন গা আছে মশায়, মুকুন্দপুর,

মধুখালি—” - “আমার নিবাস শিমুলডাঙা ।” “শিমুলডাঙা? সে কি মশার, শিমুলডাঙার প্রত্যেকটি লোককে আমি চিনি, মীয় বেড়ালটা পৰ্য্যস্ত; কিন্তু আপনাকে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না ত! বোধ হয় সম্প্রতি আর এদিকে—?” প্রশ্ন সম্পূর্ণ না-হইতেই বিজন জবাব দিল ; কহিল, “না, সম্প্রতি ত নয়ই, বারো বছর আন্দাজ এদিকে আসি নাই ।” -夺 ষ্টেশন-মাষ্টারের চোখ স্থানচ্যুত হইয়া প্রায় ললাটে গিয়া পৌছিল। হয়ত আরও কিছু বলিতেন, কিন্তু বিজন গ্রামের দূরত্বের দোহাই দিয়া বিদায় লইল । বাহিরে একটি লোক এতক্ষণ ধরিয়া অতিষ্ঠ হইয়৷ উঠিতেছিল । বিজন বাহিরে পা বাড়াইতেই নিঃশ্বাস প্রায় রুদ্ধ করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “বাবুর গোগাড়ী চাই না ?” গোগাড়ী । বিজনের বিযম হাসি পাইয়া গেল । ঠিক ত এদেশের লোকের কথা ঠিক যে কলিকাতার মত নহে, সে-কথা বিজন এতক্ষণ খেয়াল করে নাই কেন ? কিন্তু গাড়ী একটা হইলে মন হইত না—প্রায় সাত মাইল রাস্তা 1 সাত মাইল । বারো বছর আগের দিনগুলি মনে হইলে অবাক হইতে হয় । ছুটির দিনে কতবার সে দলবলসহ এই সাত মাইল রাস্ত অক্লেশে পার হইয়া আসিয়া প্রায় তেমনই অক্লেশে ফিরিয়া গিয়াছে । আজ সেই রাস্তার জন্ত গাড়ী ! কিন্তু রাস্ত না-হয় ইটিয়াই চলিল, কিন্তু মুটকেসটারও ত একটা ওজন আছে ! একটা লোক দরকার