পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬৮

3هد سوا ও বড়লাট ব্রিটিশ পালেমেন্ট, মন্ত্রিমণ্ডল ও ভারত-সচিবের অধীন। ভারতের প্রাদেশিক গবন্মেণ্টগুলি—বঙ্গীয় ও অন্তান্ত গবল্পেষ্টগুলি—ভারত-গবন্মেন্টের অধীন। এই অধীনের অধীন, অর্থাৎ তন্ত অধীন, প্রাদেশিক গবয়েন্টগুলির নিজস্বশক্তিহীন মন্ত্রীরা বৎসরে ৬৪,••• ( চৌষটি হাজার ) টাকা বেতন পান। জাপানের প্রধান মন্ত্রী পান বৎসরে ৭৫১২ (সাত হাজার পাচ শত বার ) টাকা । সে দিন আমাদের এক বন্ধু বলিতেছিলেন, ভারতবর্ষে ৰেতন কমাইবার কথা তুলিবেন না—বেশী বেতন না দিলে উৎকোচ গ্ৰহণ আরম্ভ হইবে বা বাড়িবে। কিন্তু আমাদেরই দেশে ত শাসন-পরিষদের সদস্ত ও মন্ত্রীদের চেয়ে খুব কম বেতনে মুন্সেফ সদরালার উৎকোচ গ্রহণ না করিয়া কাজ করেন । তাহাদের স্বখ্যাতি, শিক্ষা ও যোগ্যতা উচ্চতর বেতনভোগী চাকর্যেদের চেয়ে কম নয়। প্রকৃত কথা এই, যে, ব্রিটিশ শাসকেরা বেতন চান ও পান বেশী। কতকগুলি—অধিকসংখ্যক নয়—দেশী লোককে বেশী বেতন না দিলে ব্রিটিশ ও ভারতবর্ষীয় কৰ্ম্মচারীদের মধ্যে বেতনের প্রভেদটা চোখে বড় বেশী লাগে ; এবং বেশী বেতনভোগী কতকগুলি পোষমানান দেশী লোকের দরকারও আছে ৷ কংগ্রেসে যে প্রস্তাব হইয়াছিল, ভারতবর্ষে কোন সরকারী কর্মচারীর বেতন মাসিক পাচ শত টাকার বেশী হইবে না, জাপানী দৃষ্টাস্তের সহিত তাহার সামঞ্জস্ত আছে। ভারতবর্ষের লোকদের জনপ্রতি গড় আয় জাপানীদের জনপ্রতি গড় আtয় অপেক্ষা কম। স্বতরাং আমাদের এই দরিদ্রতর দেশে সরকারী চাকর্যেদের বেতন জাপানী চাকর্যেদের চেয়ে কম বই বেশী হওয়া উচিত নয়। জাপানে বহুসংখ্যক সরকারী চাকর্যেকে বেশী বেতন দিতে হয় না, এবং তাঁহাদের জীবনযাত্র-প্রণালী আড়ম্বর ও বিলাসবিহীন অথচ শোভন, মার্জিত ও স্বাস্থ্যবৰ্দ্ধক বলিয়া জাপান অত্যাবস্তক শিক্ষাব্যয়, কৃষির উন্নতির ব্যয়, শিল্পোন্নতির ব্যয়, বাণিজ্যোতির ব্যয় প্রভৃতি অধিক করিতে পারে। আমাদের দেশেও আমরা সরকারী সব ব্যাপারে এবং গাছপ্ত ও ব্যক্তিগত জীবনে মিতব্যয়ী ন হইলে কখনও জাতীয় জীবনের সর্বাঙ্গীন উন্নতি করিতে পারিব না। প্রবাসী SN93R উচ্চ কতকগুলি পদের ৰেতন ভারতবর্ষে আইন দ্বারা নির্দিষ্ট । যদি বা ৰুচিৎ তাহার কোনটিতে অধিষ্ঠিত কোন কর্মচারী তার চেয়ে কম বেতনে কাজ করিতে চান, তাহ হইলেও আইন না বদলাইলে তাহ সম্ভবপর হয় না। কিন্তু আইন বদলাইবার ক্ষমতা তাহার বা অন্ত কোন ভারতীয়ের নাই। এ অবস্থায় বিহারের অন্ততম মন্ত্ৰী সত্ব গণেশদত্ত সিংহের দৃষ্টাস্ত অনুকরণীয়। তিনি মন্ত্রিত্বের বেতন যাহা পাইয়াছেন, তাহার অধিকাংশ দেশহিতার্থ দান করিয়াছেন। ইহা কি ভারতহিত-প্রচেষ্টার আনুকূল্য ও প্রগতিসাধন ? খবরের কাগজে দেখিলাম এবং একটি মুদ্রিত পত্রীতেও তাহা আছে, যে, কলিকাতা গৌড়ীয় মঠের “ত্ৰিদণ্ডী স্বামী বি এইচ বন মহারাজ” ব্রিটেনে ও ইউরোপে যে কাজ করিয়াছেন তাহার দ্বারা ভারতহিতচেষ্টা খুব সাহায্য পাইয়াছে • wopia otte (“the cause of India has been grently helped and advanced”) i się stą co লণ্ডন গৌড়ীয় মিশন সোসাইটীর পরিচালনায় সম্পন্ন হইয়াছে, তাহার প্রেসিডেন্ট খ্ৰীষ্টীয়ধর্মাবলম্বী লৰ্ড জেটল্যাও এবং তাহার sf#&tie; &#5#R (“Preacher-in-charge” ) *t# fN . এইচ বন । তিনি ধৰ্ম্মোপদেশ কি দিয়াছেন এবং কি ধৰ্ম্মমত প্রচার করিয়াছেন জানি না, এবং যদি জানিতাম তাহা হইলেও তাহার সমালোচনা করিতাম না। কিন্তু তিনি নিজ রাজনৈতিক যে মত লওনে একটি সভায় ব্যক্ত করিয়াছেন, তাহ সৰ্ব্বসাধারণের জানা আবগুক ; কারণ, কাগজে দেখিয়াছি সৰ্ব্বসাধারণ কর্তৃক তাহার অভ্যর্থনা হইবে। বিলাতে ঈষ্ট ইণ্ডিয়া এসোসিয়েশুন নামক একটি সভা আছে। ভারতবর্ষে বড় চাকরী করিবার পর মোট পেন্সান লইয়৷ যে-সব ইংরেজ স্বদেশে গিয়া আরামে থাকেন ও ভারতের মুনের গুণ গান করেন, প্রধানতঃ র্তাহারা ইহার সভ্য। ভারতীয় কতকগুলি রাজা মহারাজা নবাবও সভ্য। ভারতবর্ষে স্বীজাতিক ( stosuffrè) Brfxtafsy zew (National Liberal Federation ), 'কংগ্রেস প্রভূতি জনপ্রতিনিধিসমষ্টি ষে সব রাজনৈতিক মত ব্যক্ত ও আদর্শ পোষণ করেন,