পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অণশ্বিন তাহার বিরোধিতা করা এই সভার একটি প্রধান কাজ । এই সভায় গত ২৬শে জুন পালেমেন্টের সভ্য হিউ মলসন সম্প্রতি আইনে পরিণত ভারত-গবন্মেন্ট বিল সম্বন্ধে একটি প্রবন্ধ পাঠ করেন। তাহা ঐ সভার মুখপত্র এশিয়াটিক রিভিয়ুর চলিত ( জুলাই-সেপ্টেম্বর ) সংখ্যায় মুজিত হইয়াছে। তাহাতে ভারত-গবন্মেটি আইনটির সমর্থন ও প্রশংসা আছে। প্রবন্ধটি পঠিত হইবার পর তৎসম্বন্ধে আলোচনা হয়। এই আলোচনায় স্বামী বি এইচ বনও যোগ দেন। তিনি বলেন – “I am not a politician, nor have I much interest in politice. On the other hand, I have come from India and have travelled as a religious monk all over my country, so constantly coming in contact with , the people, not so much the politicians, but knowing the mentality and outlook of the peoplc in general. , What has been talked of the present Constitution that is coming into force very soon in our country 7. The common people think a little differently from the great politicians, who give so much of their time and brain to think out the best good of the country.” “Those people in India who have some education, who can read English fairly well, but do not give so much time to politics as the ple hero give, have a general knowledge of what is going on in ihc world, and especially Indian politics. Most of them think that reform has been very good and very practical under the present circumstances in our country, that fnrther results will be very good provided there is enuinenesa ... and sincerity ou th sides. That ms to be the general mentality uow in our country, that the new Constitution will work very well provided the Ministers show their willingness to rise above party politics and really look on all the people of the country as their brothers and seek their real good.”—Page 468. বন স্বামীর এই অমূল্য কথাগুলির অনুবাদ করিব না। ভারতবর্ষের মুরুব্বি ইংরেজরা যাহা বলে ইহা তাহারই প্রতিধ্বনি। স্বামীটি বলিতেছেন, যে, (রাজনীতিচর্চাকারীরা - ছাড়া ) দেশের অধিকাংশ লোক মনে করে, শাসনসংস্কারটা * sin otos (“the reform has been very good” ) । এবং স্বামীটি বলিতেছেন যে দেশের লোকদের সঙ্গে মিশিয়া নাকি তিনি ইহা জানিতে পারিয়াছেন । বড় বড় পলিটিশিয়ানরা তাহা করেন না কিনা, তাই তাহারা তাহা জানিতে পারেন না । কিন্তু স্বামীটি নিজেই যাহা বলিয়াছেন, তাহাতেই তাহার জানাড়িত্ব ও অনধিকারচর্চা বুঝা যায় । তিনি বলিয়াছেন, তিনি যে শুধু পলিটিশিয়ান নহেন তাহা নহে, পলিটিয়ে তাহার বড় একটা রুচি নাই। বিবিধ প্রসঙ্গ—বিদ্যালয়ে শিক্ষা সম্বন্ধে ভৰিষ্যৎ সরকারী নীতি ৮৯৫ বন স্বামীটিকে খুব জড়িম্বরের সহিত অভ্যর্থনা করা হইবে, শুনিতেছি। লর্ড জেটল্যাও এখন ভারতসচিব, এবং স্বামীটির মুকবিও বটে। তার কাছে অভ্যর্থনাটার খবর পৌছিবে, এবং তিনি ও অন্ত ইংরেজরা তাহা হইতে বুঝিবেন, যে, স্বামী বন যে বলিয়াছিলেন, যে, দেশের অ-পলিটিশিয়ান অধিকাংশ লোক ভারতশাসন-সংস্কার আইনটাকে খুব ভাল মনে করে, তাহাই ঠিক এবং স্বাঞ্জাতিক (স্কাশন্তালিষ্ট) কংগ্রেগণ্ডালা ও উদারনৈতিকরা যাহা বলে, তাহা মিথ্যা । বিদ্যালয়ে শিক্ষা সম্বন্ধে ভবিষ্যৎ সরকারী নীতি গত ১লা আগষ্ট বহু সংবাদপত্রে বাংলা-গবন্মেন্টের শিক্ষাবিভাগ হইতে বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষা সম্বন্ধে ভবিষ্যতে গবন্মেন্টের অভিপ্রায় সূচক নানা মন্তব্যসহ একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়। তাহার অনেক সমালোচনা হয়। ভাত্রের প্রবাসীতেও হইয়াছিল। তাহার পর গত ২৫শে আগষ্ট কলিকাতার আলবার্ট হলে সত্ব প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ও তদনন্তর সবু নীলরতন সরকারের সভাপতিত্ত্বে সায়ংকালে ভবিষ্যৎ সরকারী শিক্ষানীতির প্রতিবাদ ও সমালোচনার্থ একটি সভার অধিবেশন হয়। তাহাতে বহু বিধান, মনস্বী ও শিক্ষাভিজ্ঞ ব্যক্তি যোগদান করেন। হল ও গ্যালারী পূর্ণ হইয়া গিয়াছিল। অত্যন্ত বেশী ভীড় হইয়াছিল। সেই দিন যে সভা হইবে, তাহ পূৰ্ব্বেই বিজ্ঞাপিত হইয়াছিল। যাহারা সভায় কিছু বলিবেন স্থির ছিল, র্তাহার ১লা আগষ্ট প্রকাশিত বিবৃতিটিরই সমালোচনা করিতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু সে দিন সকালেই দেখা গেল, কোন কোন দৈনিকে সরকারী অন্ত একটি শিক্ষাবিষয়ক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হইয়াছে, যাহার সহিত ১লা আগষ্টের বিবৃতিটির কোন কোন প্রধান বিষয়ে বিশেষ প্রভেদ আছে। সুতরাং বক্তাদিগের পক্ষে আবার দুটিই মিলাইয়া পড়িয়া তদনুসারে নিজ নিজ বক্তব্য সম্বন্ধে চিস্তা করা আবশ্বক হইল। - সকলের তাহা করিবার অবসর হইয়াছিল কিনা জানি না, কিন্তু সভার সমক্ষে একটি প্রস্তাৰ উপস্থিত করিবার তার আমার উপর থাকায় আমাকে স্বাস্থ্যের বর্তমান