পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ পা-খানি রোগ এবং বেশ একটু বাকা। রং এককালে হয়ত ফরসাই ছিল, এখন ঘনশ্ৰাম | বাহির হইতে যে-লোকটি আসিয়া দরজায় ট্রাড়াইয়াছে তাহাকে সে চিনিতে পারিল না। পায়ের ধুলীয় জুতা ও কাপড় রক্তিমাভা ধারণ করিলেও তাকাইলে বুঝা যায় ধরণধারণে এতটা অভিজাত্য গ্রামের লোকের থাকিতে পারে না । বিজনের দিকে তীক্ষ দৃষ্টিতে থানিকক্ষণ চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “ক’কে চান ?” दिछन किङ्ग छूषिक ना कब्रिह डिउरब्र श्रांनिब्र বলিল, “আমি বিজন ; এবং তুমি যে অবিনাশ সে-বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই ।” বারো বছরের বিস্তুতির ধোয় কাটাইয়া উঠিতে অবিনাশের আর এক মুহূৰ্ত্তও লাগিল না । খোড়া পা লইয়া যতটা লাফানো যায় লাফাইয়া কহিল, “তুই বিজু ? কতকাল পরে বল্ ত ? তার পরে কি মনে ক’রে এই বেখাপ্পা গায়ে, ব্যাপার কি ?” প্রশ্নের সংখ্যা কিছু বেশী হইয়া গেল। বিজন কহিল, “ভিতরে চল, সব বলছি । বাড়ির ভিতরে অন্ত লোক নিশ্চয়ই আছে ?” বলিয়া চোখ টপিয়া হাসিল । অন্ত লোক অর্থে স্ত্রী এক জন অবশুই ছিল । কিন্তু সেই সঙ্গে আরও গুটিতিনেক প্রাণী আসিয়া দাড়াইল, যাহাঁদের বয়স দুই হইতে সাতের মধ্যে । অবিনাশ বিষম চীৎকার করিয়া কহিল, “প্ৰণাম কর গড় হয়ে, প্রণাম কয়, তোদের বিজু কাকা । উঃ, কতকাল পরে তোর সঙ্গে দেথা, কতকাল পরে ; কতখানি বে * চেহারার দিক দিয়ে বদলে গিছিল |” বিজনের সঙ্গে যে তাহার অনেক কাল পরে দেখা হইয়াছে এইটাই যেন অধিনাশের চিত্ত অধিকার করিয়াছিল । বিজন তত ক্ষণে দাওয়ায় বসিয়া পড়িয়াছে। পার্থোড়া হইলেও অধিনাশ লোকটি কিছু বেশী রকম বাস্তবাগীশ । চীৎকার করিয়া বলিল, “ঐ মাটিতেই ব'সে পড়লি রে হতভাগা ? চল তোর বৌদির সঙ্গে আলাপ করিয়ে দি । ভুলেই গিয়েছিলাম। ওগো শুন্‌ছ ? আমাদর বিজু এসেছে, কতকাল পরে। একবার বাইরে ७म, श्रांजj°-श्रां★irांग्रन कङ्ग !” দুই রাত্রির ইতিহাস ግግ একটি স্বত্র সপ্রতিভ মেয়ে, বয়স কুড়ির চেয়ে খুব বেশী উপরে নয়, বাহিরে আসিয়া দাড়াইল । বিজন নমস্কার করিয়া কহিল, “বোঁদি বলছি বটে, কিন্তু আমার যত দূর মনে পড়ে অবিনাশ আমার চেয়ে দিন-কয়েকের কি মাসখানেকের ছোটই হবে। কি বলিল অবিনাশ ?” অবিনাশ সগর্জনে প্রতিবাদ জানাইল । বারো বছর বিচ্ছেদের পরে দুই বন্ধুর পরিচয় জমির উঠিল। বরে বছর আগে গ্রামের হাই-স্কুল হইতে দুই জনে একসঙ্গে ম্যাটিক পাস করিয়া বাহির হইয়াছিল। বিজন পাস করিয়া কলিকাতায় পড়িতে গেল—অবিনাশ কি করিল সে খবর জানিল না । এই দুটি ছেলে যে গ্রাম ও স্কুলের রত্নবিশেষ সে-কথা গ্রামের আবালবৃদ্ধ এবং মাষ্টারেরা সবাই স্বীকার করিতেন। লাষ্ট ক্লাস হইতে আরম্ভ করিয়া দু-জনে রেষারেবি করিয়া উপরের ক্লাসে উঠিয়াছে, কেনিবারে বিজন ফাষ্ট হইয়াছে, কোনবারে অবিনাশ । কিন্তু বিজন সেই সঙ্গে ছিল থেলার সর্দার । ষোল বছরেই তাঁহার শরীর হইয়াছিল বিশ বছরের জোয়ানের মত লম্বাচওড়া, তাহার ফুটবল-খেলা লইয়া লোকে সগৰ্ব্বে পাশের গায়ের লোকদের সহিত ঝগড়া করিত। আর অবিনাশ ছিল ক্ষীণদেহ, তাহার উপর আবার একটা পা খোড়া । স্কুলগৃহের বাহিরে তাই তাহার প্রতিপত্তি খুব বেণী ছিল না । কিন্তু ক্লাসের ভিতরে। সে কাহারও চেয়ে ছোট ছিল না । বিজন ইংরেজী একটু বেশী ভাল জানিত, সে অঙ্কে সে অভাৰ । পুরাইয়াছিল। দুই জনের মধ্যে আবাল্য প্রতিযোগিতা চলিয়া আসিয়াছে। কিন্তু আশৈশব বন্ধু। কিন্তু সেই যে বারে বছর আগে ছাড়াছাড়ি হইয়া গেল । তাহার পর আর কেহ কাহারও খোজ লয় নাই । তাহার পর অবিনাশের পিতৃবিয়োগে তাহার জীবনে যেন একটা ওলটুপালট ঘটাইয়া দিয়া গেল। কেমন করিয়া যে কি হইল তাহ সে নিজেও ভাল করিয়৷ মনে করিতে পারে না । বছর দুই-তিন কি করিয়া কাটিল