পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रक्षiश्चिञ्प ৰিৰিখ প্রসঙ্গ—আক্সাভাৰে ও ৰন্তীয় ৰিপক্স র্যাকুড়া విes কৰ্ম্মচারীর দরকার, তত লোক রাখিবার মত টাকা বাংল৮গবন্মেন্টের নাই। সুতরাং শিক্ষালয়গুলির সংখ্যা কমাইয়া দ্বিতীয় প্রকারের পুলিস কর্মচারীরা যতগুলির খবরাখবর রাখিতে পারে, ততগুলি রাখা সোজা বুদ্ধি বটে ; কিন্তু তাহাতে দেশের উন্নতি হইবে বা শাস্তি বাড়িবে মনে কয়া ভুল । লিভাই পটেল প্রদত্ত লক্ষ টাক - পরলোকগত ভারতসেবক বিঠলভাই পটেল মহাশয় তাহার উইলে বিদেশে ভারতবর্ষের পক্ষে কল্যাণকর প্রচারকার্য্য চালাইবার নিমিত্ত এবং ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে স্বার্থপর বিদেশীরা যে-সব কুৎসা প্রচার করে, তাহার প্রতিবাদ ও প্রতিকার করিবার নিমিত্ত এক লক্ষ টাকা দান করিয়া গিয়াছেন, এবং সেই টাকা বা তাহার স্বদ উক্ত কাধ্যে ব্যয় করিবার জন্য একমাত্র ঐযুক্ত স্বভাষচন্দ্র বস্থকে ভার দিয়া যান। কিন্তু যদিও পটেল মহাশয়ের মৃত্যু অনেক দিন হইল হইয়াছে, তথাপি স্বভাষ বাবু এখনও ঐ টাকা পান নাই। কয়েক মাস পূৰ্ব্বে বোম্বাই হইতে একটা গুজব খবরের কাগজের মারফৎ প্রচার করা হয়, যে, ঐ টাকা স্বভাষ বাবুকে দিলে গবষ্মেন্ট তাহা বাজেয়াপ্ত করিবেন । অর্থাৎ কি না, গবন্মেন্টের যদি ঐরূপ কোন অভিপ্রায় না-থাকে তাহা হইলেও গুজব ধাহারা রটাইয়াছে তাহারা চায়, যে, যে প্রকারেই হউক টাকাটা বাঙালী এবং গোড়া কংগ্রেসওয়ালাদের দলের বহির্ভূত স্বভাষ বাবু যেন ন-পান । এমন কোন আইন নাই, যাহার বলে গবশ্লেষ্ট ঐ টাকা বাজেয়াপ্ত করিতে পারেন, বিশেষত: | যখন ঐ টাকা আইনবিরুদ্ধ কোন প্রণালীতে বা কাজে খরচ করিবার অভিপ্রায় স্বভাষ বাবুর ছিল না, এবং তিনি তাহা সম্প্রতি প্রকাগুভাবে বলিয়াছেনও। ঐ গুজবটা পড়িয়াই জামাদের মনে হইয়াছিল, এ আর কিছু নয়, স্বভাষ বাবুকে টাকাটা ন-দিবার ফন্দী। তার পর সম্প্রতি কাগজে বাহির হুইয়াছে, পটেল মহাশয় তাহার উইলের যে-ষে বাক্যদ্বারা টাকাটি স্বভাষ বাবুকে দিতে বলিয়া গিয়াছেন, তাহার অঙ্ক অর্থও হয় বোম্বাইয়ের বড় বড় আইনজ্ঞেরা এইরূপ বলিয়াছেন । আমরা উইলের সেই অংশ পড়িয়াছি । আইনজ্ঞ নহি 26 = 3 বলিয়াই বোধ করি উহার সোজা জর্থটাই বুৰিয়াছি, নিগূঢ় লুকায়িত অর্থটা ধরিতে পারি নাই। এবারও আমাদের মনে হইয়াছে, ইহাও স্বভাষ বাবুকে টাকাটি ন-দিবার আর একটা ফন্দী। তিনি কংগ্রেসের নিকট হইতে টাকা না চাহিয়া ও না লইয়া কেবল কংগ্রেসের পক্ষ হইতে বিদেশে ভারতকথা প্রচার করিতে চাহিয়াছিলেন, কিন্তু অল্পমতি পান নাই ; ইহাতেও আমাদের সন্দেহ সমর্থিত হয়। অন্নাভাবে ও বন্যায় বিপন্ন বঁাকুড়া এ বৎসর ভারতবর্ষের অনেক প্রদেশ বঙ্গায় বিপন্ন হইয়াছে, বাংলা তাহার একটি। সবগুলিরই সাহায্য পাওয়া উচিত, এবং বড় বড় সমিতি প্রভৃতি তাহার চেষ্টা করিতেছেন। বঙ্গেরও অনেকগুলি জেলা বিপন্ন। তাহাঁদের সকলকে সাহায্য দিবার চেষ্ট বৃহৎ • বৃহৎ সমিতি প্রভৃতির কৰ্ম্মীরা করিতেছেন। আমাদের ক্ষুদ্র শক্তি অনুসারে আমরা কেবল একটি জেলার— বাঁকুড়ার—কিছু সেবা করিবার প্রয়াসী । কারণ, প্রবাসীর সম্পাদকের বাড়ি বাকুড়া, শক্তি ও অবকাশ কম ; বঁাকুড়া সন্মিলনীর সভাপতি রূপে তাহাকে এই কাজে সাহায্য করিবার ভার দেওয়া হইয়াছে । পাঠকগণ বর্তমান সংখ্যার বিজ্ঞাপনসমূহের মধ্যে বাঁকুড়া সম্মিলনীর আবেদন দেখিতে পাইবেন । টাকা, কাপড়, চাল, ঔষধ যিনি যাহা দয়া করিয়া দিবেন, কতজ্ঞতার সহিত গৃহীত ও ব্যবহৃত হইবে। পাঠাইবার ঠিকানা আবেদনে দেওয়া আছে ৷ ” আবেদনের সঙ্গে ১২ ( বার ) খানি ফোটোগ্রাফের প্রতিলিপি আছে। কয়েকটি ছবি দেখিয়া মনে হইবে, ইহা ত বনজঙ্গলের প্রাকৃতিক দুগু । তাহা নহে ; ওখানে প্রাম ছিল, বন্ত নিশ্চিহ্ন করিয়া ধুইয়া লইয়া গিয়াছে, পাকা ইটের বাড়ি পৰ্য্যস্ত, বিধ্বস্ত হইয়াছে। যে কয়টি গ্রামের ছৰি দেওয়া হইয়াছে তাহা অপেক্ষা অনেক গুণ বেশী গ্রাম বিধ্বস্ত হইয়াছে। গৃহহীন, অন্নবস্ত্রহীন, সৰ্ব্বস্বাস্ত, পীড়িত লোকদের কষ্টের অবধি নাই। অল্পসংখ্যক গৃহহীন গৃহস্থদিগকে সামান্ত চালা বাধিতে · সাহায্য করা হইতেছে । আরওঁ অনেক নিরাশ্রয় লোকের গৃহনিৰ্ম্মাণে সাহায্য করিতে হইবে।