পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশ্বিন বিৰিষ প্রসঙ্গ-প্রাথমিক শিক্ষার অপচয় (wastage) 3)oN9 >७०००+७२००० = av००० विद्यांलग्न छ्हेटव ! sजी व्षां★ांडे বলা হইয়াছিল ১৯ লক্ষ ছেলেমেয়ে শিক্ষা পাইবে, ২৫শে আগষ্ট বলা হইতেছে ৩৩ লক্ষ ছেলেমেয়ে শিক্ষা পাইবে । সমস্ত হিসাবই কিন্তু নির্ভর করিতেছে এই অনুমানের উপর যে ছেলেমেয়েরা প্রত্যহ যাতায়াতে নূনকল্পে ৪৫ মাইল গ্রাম্যপথ বা নদীনালা অতিক্রম করিয়া বিদ্যাভ্যাস করিবে *, এবং একবার বিদ্যালয়ে ভৰ্ত্তি হইলে তাহাদিগকে চারি বৎসর পড়িতে আইন অনুসারে বাধ্য করা হইবে, এই বিভীষিকা সত্ত্বেও বাপমার হৃষ্টচিত্তে সোৎসাহে ছেলেমেয়েদিগকে পাঠশালায় ভঞ্জি করিবে + ! শাখা পাঠশালা সমগ্র বাংলা দেশকে যে ১৬০০০ প্রাথমিক শিক্ষা-অঞ্চলে primary school arears ) feof *s or, তাহার প্রত্যেকটির কেন্দ্রস্থলে একটি বড় চারিপ্রেণীবিশিষ্ট পাঠশালা থাকিবে । তা ছাড়া বেশী গটিতে অসমর্থ ছোট ছেলেমেয়েদের স্ববিধার জন্ত প্রত্যেক অঞ্চলের মধ্যে দুটি গ্রাম বাছিয়া লইয়া স্কুইশ্রেণীবিশিষ্ট ছুটি শাখা পাঠশালা স্থাপিত হইবে। এই গ্রামগুলির ভাগ ভাল, এবং এই সংশোধিত প্রস্তাব ১লা আগষ্টের প্রস্তাবের চেয়ে ভাল। কিন্তু অঞ্চলে অন্ত যত গ্রাম থাকিতে পারে, তাহাদের ছোট ছেলেমেয়েদের শিক্ষার কি উপায় হইবে ? তাহারা কি দোষ করিল ? মনে রাখিতে হইবে, বঙ্গে গ্রাম অাছে ৮৬৬১৮টি এবং শহর মাত্র ১৩৯টি। তাহা হইলে গড়ে এক-একটি শিক্ষ+অঞ্চলে প্রায় ৫২টি গ্রাম-নগর থাকিবে । প্রাথমিক শিক্ষায় অপচয় (Wastage) । সমগ্রভারতীয় শিক্ষারিপোর্টে, বঙ্গীয় শিক্ষরিপোটে, এবং আলোচ্য বিবৃতি ও বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে ষে ওয়েষ্টেজ বা অপচয়ের কথা বলা হইয়াছে, তাহার মানে

  • “Each school will serve a population of 3,000 people or alternatively an area of 4 to 5 square miles.” “Each area to serve a population of about 3000, or an area not to exceed 5 square miles.”—Communique of August 25, 1935.

t"Once a boy joins a pri school, he should be compelled to remain at ఫి up to the end of the primarỷ standard.”–The same communique. এই, . যে, পাঠশালাগুলির নিয়তম শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা যত থাকে, উচ্চতর শ্রেণীগুলিতে তাঁহা কমাগত কমিয়া উচ্চতম শ্রেণীতে খুব কম হইয়া দাড়ায়, এবং এই প্রকারে ছেলেমেয়েরা শেষ পর্যন্ত না-পড়ায় সময়ের ও শিক্ষাব্যয়ের অপচয় হয়, কারণ, সরকারী মতে, অনুন তিন বৎসর না-পড়িলে তাহারা লিখনপঠনক্ষম হয় না। প্রমাণু :- - - “The position cannot be regarded as satisfactory; on an average, only 21 per cent of the boys enrolled in Class I reach Class IV (when lite be anticipated) three years later.”—Koducation in India in 1932-33, page 33. অর্থাৎ তিন বৎসর পড়িবার পর তবে ছাত্রেরা লিখনপঠনক্ষম হইয়াছে বলিয়া ধরা যাইতে পারে। কিন্তু আমাদের শিক্ষামন্ত্রী বলেন তিন বৎসরও যথেষ্ট নয়। ১লা আগষ্টের বিবৃতিতে বলা হইয়াছে — “. . . . the overwhelming proportion of primary schools are lower primary schools ႏိုင္ဆိုႏိုင္ငံ three classes, and . . . . the great majority of the pupils never proceed beyond the infant class. Three years of schooling under such conditions, is not sufficient to make a pupil permanently literate.” অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় তিনটি-শ্রেণীবিশিষ্ট নিয়প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবং অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী শিশুশ্রেণীর উপরে উঠে না । এরূপ অবস্থায় তিন বৎসর শিক্ষা ছত্রকে স্থায়ী ভাবে লিখনপঠনক্ষম করার পক্ষে যথেষ্ট নহে । ইহা যদি ঠিক্‌ হয়, ছাত্রেরা তিনশ্রেণীবিশিষ্ট পাঠশালায় তিন বৎসর পড়িয়াও যদি স্থায়ী রূপে লিখনপঠনক্ষম না-হয়, তাহা হইলে শিক্ষামন্ত্রী স্কুইশ্রেণীবিশিষ্ট ة ه ه ه جحاh fপাঠশালা খুলিবার প্রস্তাব কেন করিতেছেন ? বৰ্ত্তমানে যদি তিন বৎসরেও ছেলেমেয়েরা লিখনপঠনক্ষম না-হয় তাহ হইলে ভবিস্ততে এমন কি উৎকৃষ্ট শিক্ষক আমদানী ও এমন কি উৎকৃষ্ট শিক্ষাপ্রণালী প্রবর্তিত হইবে, যে, তারা দুই বৎসরেট ছেলেমেয়েরা লিখনপঠনক্ষম হইবে ? - বলিতে পারেন, ছেলেমেয়েরা দুই বৎসর শাখা-পাঠশালায় পড়িয়া তাহার পর কেন্দ্রীয় বড় পাঠশালায় তৃতীয় শ্রেণীতে ভৰ্ত্তি হইবে ও পরে চতুর্থ শ্রেণীতে উঠবে। কিন্তু তাহার ব্যবস্থা কোথায়? · રજૂન জাগষ্টের বিজ্ঞপ্তিতে দেখিতেছি, ছুটি শাখাবিদ্যালয় সমেত প্রত্যেক কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে চারিটি শ্রেণীতে নিম্নলিখিতসংখ্যক ছাত্রছাত্রী থাকিবে।