পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

విరిశ్రీ প্রবণসী SN98总 বিদ্যালয়সকলের উল্লেখ করিয়াছি। প্রাচ্যে ঐ স্বাধীন দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাতে পর্য্যস্ত বেসরকারী উদ্যম বিশেষ উৎসাহ পাইয়া থাকে। সংখ্যা লউন – জাপানে ৪৬ ( ছেচল্লিশ)টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে । তাহার মধ্যে ১৯টি গবয়েন্টের, তিনটি “পক্লিক”—“সাধারণ", এবং ২৪ ( চব্বিশ)টি প্রাইভেট বা বেসরকারী। সরকারীগুলির ছাত্রসংখ্যা ২৭,৪২৮, সাধারণগুলির ১৫৩২, এবং প্রাইভেটগুলির ৪১,১২৫ ৷ বদীয় গবয়েন্ট শিক্ষার জন্ত খুব কম ব্যয় করেন। অতএব বঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাইভেট উদ্যম খুব বেশী থাকা আবখক। অথচ, গবয়েন্টের প্রস্তাবসমূহ এরূপ যে তারা প্রাইভেট উদ্যমের নাভিশ্বাস উপস্থিত হইবে । , 4 জাপানে ইংরেজা শিখান জাপানের মত স্বাধীন দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়েও ষে ইংরেজী শিখান হয়, তাহার উল্লেখ আগে করিয়াছি । বলা বাহুল্য, উচ্চতর বিদ্যালয়গুলিতেও ইংরেজী শিখান হয়। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলি, মধ্যবিদ্যালয়গুলিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি শিখান হয় :--- “Morals, civics, the Japanese language and Chinese telassics, history (both Japanese and foreign), geography, ge (either one of English, German, a foreign lang: o & French or Chinese), mathematics, science, technical studies, drawing, music, practical work (carpentering, gardening, etc.) and gymnastics.” “নীতি, পৌরজানপদকৰ্ত্তব্য বিদ্যা, জাপানী ভাষা ও প্রাচীন চৈনিক সাহিত্য, জাপানী ও বিদেশী ইতিহাস, ভূগোল, ইংরেজী, জামান,ফ্রেঞ্চ ও ४कमिक खांबांब्र ७क8, भनिष्ठ, दिछांन, जिब्रविबङ्गक किडू, cब्रथांकन, সংগীত, সুত্রধরের কাজ, উচ্চানপালকের কাজ প্রভৃতি কাবা, এবং יין הדוח> একটা অবাস্তর কথা এখানে বলিতে চাই । জাপানীরা চীনদেশের অধিবাসী বা চীনবংশোদ্ভূত নহে। তথাপি, তাহাদের সভ্যতা বহু পরিমাণে চীন সভ্যতা হইতে উৎপন্ন বলিয়া, চীনের সহিত জাপানের . বিরোধ সত্বেও জাপানে প্রাচীন চৈনিক সাহিত্য জাপানী মধ্যবিদ্যালয়ে পৰ্য্যম্ভ অধীত হয়। ভারতবর্ষে ভারতীয় হিন্দুবংশোদ্ভূত এবং সংস্কৃত হইতে উৎপন্ন ভাষাভাষী মুসলমানের প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যের চর্চা করিলে তাঁহাদের এবং সমগ্রভারতীয় মহাজাতির উপকার হইবে। ইংলণ্ডে ইংরেজরা খ্ৰীষ্টীয়ান বলিয়া পুরাতন ইংরেজীর পরিবর্তে হীরু ও গ্রীক পড়ে না, কেহ কেহ অবত পড়ে—যেমন ভারতবর্ষে অনেক হিন্দুও ফারসী ও আরবী পড়ে। তাঁহা ভাল । ছেলেমেয়েদিগকে বিদ্যালয়ে চারি বৎসর পড়িতে বাধ্য করা শিক্ষামন্ত্রীর ২৫শে আগষ্টের বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, তেত্রিশ লক্ষ বালকবালিকার প্রাথমিক শিক্ষার বন্দোবস্ত করা হইবে। ১লা আগষ্টের বিবৃতিতে এবং ২৪শে আগষ্টের বিজ্ঞপ্তিতে আছে, ষে, কোন বালক বা বালিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একবার ভৰ্ত্তি হইলে তাহাকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ হওয়া পৰ্য্যস্ত বিদ্যালয়ে থাকিতে হইবে, এবং দরকার হইলে এই উদ্দেশুে আইন করা হইবে। আমাদের প্রশ্ন এই, যে, বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত তেত্ৰিশ লক্ষ ভাবী ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদিগকে বাধ্য করিবার জন্ত আইন করা ও কাজে লাগান যদি সম্ভবপর হয়, তাহা হইলে ১লা আগষ্টের বিবৃতি অনুসারে এখনকার ২১ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকদিগকে বাধ্য করিবার নিমিত্ত আইন কেন করা হয় নাই ? বর্তমান প্রাথমিক শিক্ষাপ্রণালীর বিরুদ্ধে প্রধান একটা সরকারী নালিশ এই, যে, উহাতে বড় ওয়েষ্টেজ বা হয়, অর্থাৎ যত ছাত্রছাত্রী পাঠশালায় ভৰ্ত্তি হয়, . অধিকাংশ প্রথম বৎসরেই লেখাপড়া ছাড়িয়া দেয়, এবং দ্বিতীয় তৃতীয় বৎসর অতিক্রম করিয়া চতুর্থবৎসরে পৌছে অতি সামান্ত অংশ। প্রশ্ন এই, চারি বৎসর পড়িতে আইনের দ্বারা বাধ্য করিবার এই সোজা উপায়টা থাকিতে তাহা আগে কেন অবলম্বিত হয় নাই ? মক্তবীকরণ শিক্ষাবিষয়ে আধুনিক সময়ে . বলীয় মুসলমানদের উল্লেখযোগ্য কোন কৃতিত্ব নাই। র্তাহারা বিদ্যাশিক্ষায় ঙ বিদ্যায় অন্তান্ত সম্প্রদায়ের চেয়ে অগ্রসর নহেন, শিক্ষার জন্ত অন্তান্ত সম্প্রদায়ের চেয়ে বেশী স্বাৰ্থত্যাগ, দান, বা কষ্টস্বীকারও করেন নাই। অথচ, উপযুপরি বঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী হইতেছেন মুসলমান। যোগ্যতম ব্যক্তি যদি কখনও মুসলমানষ্ট থাকেন বা হন, শিক্ষামন্ত্রী তাহাকেই অবগু করা