গুণঞ্জিন বিৰিখ প্রসঙ্গ—সেঙ্কণ্ডৰী শিক্ষা-বোর্ড ఏo^ উচিত। কিন্তু মুসলমানকেই শিক্ষামন্ত্ৰী করিতে হইবে, এরূপ একটা দপ্তর জন্মাইবার কোন স্তাষ্য বা যুক্তিসঙ্গত কারণ নাই। ইহাতে মুসলমানদেরই পক্ষে অনিষ্টকর একটা কুফল কলিতেছে। শিক্ষামন্ত্রী মুসলমান বলিয়া তাহারা অনেকেই গবয়েন্টের অভিপ্রায়প্রস্থত প্রগতি-বিরোধী শিক্ষানীতিরও দোষ দেখিতে পান না। অথচ শিক্ষার সংকোচে, শুধু হিন্দুর নহে, মুসলমানেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হইবে। সরকারী শিক্ষারিপোটে বহু বার ইংরেজ শিক্ষাকৰ্ম্মচারীদের * দ্বারা মক্তব মাত্রাসার শিক্ষার ও শিক্ষাক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতার নানা দোষ ঘোষিত হইয়াছে—যদিও গবন্মেণ্ট এই সাম্প্রদায়িকতারই প্রশ্রয় দিয়া আসিতেছেন । শিক্ষিত মুসলমানদের মধ্যে কেহই ষে এই সব দোষ দেখিতে পান না, তাহাও নহে। দৃষ্টাস্তস্বরূপ বলি, বৰ্ত্তমান ১৯৩৫ সালের ২রা মে অমৃতবাজার পত্রিকায় মিঃ জোহাদুর রহীম লেখেন – “A few words about Maktabs. I consider theiu even more liturmful than the higher educational institutions. They are veritable institutions of segregation and deserve the strongest condemnation. They segregate the rising generations of the two great conmuition at a time when their minds are most pliant, most receptive. and most impressionable and, hence, luost capable of contracting an everlasting friendship whicli might have avel niany connunal troubles in their subsequent కాg у এই মনৰী মুসলমান লেখক আরও বলেন – “Moreover, the money spent on the Muktalos i-only a sheer waste of money. Because, many of these Muktabs, specially for girls, exist only in the registers and in many others the actual attendance falls far short of attendance as shown in the registers. The girls’ classes usually being held within the purdah avoid detection of actual state of affairs by the inspecting officers.” অতঃপর তিনি বলেন : “Much useful purpose will be served by the amalgamation of the Maktubs with the primary schools.” কিন্তু যাহা হইতে যাইতেছে, তাহা ইহার ঠিক উণ্ট । মক্তবগুলিকে অসাম্প্রদায়িক পাঠশালাগুলির মত না করিয়া, অসাম্প্রদায়িক পাঠশালাগুলিকেই ষে অনেক ক্ষেত্রে মক্তবে পরিণত করা হইবে, তাহ আমরা ১লা আগষ্টের বিবৃতি হইতে ভাত্রের প্রবাসীর ৭৫২ পৃষ্ঠায় দেখাইয়াছি। র্যাহার গবন্মেন্টের ভবিষ্যৎ শিক্ষণ-পলিসি সম্বন্ধে আমাদের মত জানিতে চান, তাহারা আশা করি ভান্দ্রের প্রবাসীর বিবিধ প্রসঙ্গও পড়িবেন বা পড়িতেছেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিকে যে, কতকগুলিকে নামত ও বস্তত: এবং অবশিষ্টগুলিকে বস্তুতঃ, মক্তবে পরিণত করা হইবে, তাহ ২৫শে আগষ্টের বিজ্ঞপ্তির নিম্নলিখিত বাক্যগুলি হইতে বুঝা যায় – , “18. The primary school curriculum should be so revised on the lines of the present curriculum of Maktabs, which is , practically identical with that in u general primary school, as to be suitable to both primary schools and Maktabs, and so organized as to provide the necessary variations in studies between primary schools and Maktabs.” সাধারণ পাঠশালা ও মক্তবে শিক্ষশীয় ও পাঠ্য যদি কাৰ্য্যত অভিন্নষ্ট হয়, তাহা হইলে, সংশোধন পূৰ্ব্বক, সাধারণ পাঠশালার শিক্ষণীয় ও পাঠ্যগুলিকে মক্তবের মতই কেন করিতে হইবে ? সৰ্ব্বসম্প্রদায়ের ব্যবহার্ষ্য শিক্ষণীয় ও পাঠ্য বস্তু কেবলমাত্র মুসলমানদের শিক্ষণীয় ও পাঠ্য বস্তুর অল্পরূপ করিয়া সংশোধন করিতে হইবে— ধৰ্ম্মবিষয়ে নিজ নিরপেক্ষতাঘোষক ব্রিটিশ গবষ্মেণ্টের আমলে ইহ সরকারী বিজ্ঞপ্তিতে লিখিত হইয়াছে !!! এইরূপ সংশোধন হইলে অমুসলমানদের দুঃখ ও অন্ধবিধা হইবে, কিন্তু ইহা নিশ্চিত, যে, তাহারা ধরাপৃষ্ঠ হইতে লুপ্ত হইবে না এবং অহাদের সংস্কৃতি বা কৃষ্টিও লুপ্ত হুইবে না ; যদিও ইহাও ঠিক, যে, তাহদের মন আনন্দ ও শাস্তির সাগরে চিরময় হইবে না । সেকগুৱা শিক্ষা-বোর্ড গবশ্লেষ্ট একটি সেকণ্ডরী শিক্ষা-বোর্ড করিয়া উচ্চবিদ্যালয়গুলির উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা লোপ করিতে চান, এবং অবশু বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাটিক পরীক্ষাও উঠাইয়৷ দিতে চান। ইহা হইলে উচ্চ-বিদ্যালয়গুলির সংখ্যা ইচ্ছামত কমান সহজ হইবে। তৎসমুদ্ৰয়ের শেষ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীও কম হইবে, কলেজে পড়িতে ছাত্রছাত্রী কম যাইবে, ইত্যাদি। অন্ত কোন কোন প্রদেশে সেকওরী বোর্ড আছে, সত্য। কিন্তু অন্ত সব প্রদেশে গবক্সেণ্টই শিক্ষার জন্ত বেশী খরচ করেন, বেসরকারী লোকেরা বা সমিতিসমূহ তার চেয়ে কম করে। ' ( অবগু গবন্মেন্টের টাকাও দেশের লোকেরাই ট্যান্সের আকারে দিছে।) সেই জঙ্গ তার সেকওরী বাের্ড তত অশোভন নহে, ইহা বঙ্গে যত অশোভন হুইবে । বঙ্গে
