পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন আগেকার যে-কোন সময় অপেক্ষা অতঃপর আমাদের কৰ্ত্তব্য ও দায়িত্ব হইবে।’ টু এডুকেট আওষ্টার মাষ্টাস” বচনটি ঐতিহাসিক। লর্ড পামার্সটন যখন দ্বিতীয়বার ইংলণ্ডের প্রধান মন্ত্রী হন, ভাইকাউণ্ট শেরব্রুক নামে পরিচিত রবার্ট লো তখন কাৰ্য্যতঃ " শিক্ষাবিভাগের কৰ্ত্ত হন । “We must educate our masters,” “winifors আমাদের প্রভূগণকে শিক্ষা দিতে হইবে,” এই কথাগুলি উক্ত ভাইকাউণ্ট শেরব্রুক বলিয়ছিলেন বলিয়া সাধারণতঃ উদ্ধৃত হয় । কিন্তু তিনি বাস্তবিক তাহার একটি বক্তৃতায় বলিয়াছিলেন, future masters to learn their letters”,” “winto ভবিষ্যৎ প্রভূদিগকে বর্ণমালা চিনিতে লওয়ান দরকার।” যাহা হউক, উভয় বাক্যের ভাব একই। বক্তা ইহা বিশেষ করিয়া ১৮৬৬ সালের সংস্কার আইন ( Reform Act ) পাস হওয়া উপলক্ষ্যে বলেন। তাহাতে বিলাতে ভোটদাতার সংখ্যা বাড়ে, এবং সবাই জানে ইংলণ্ডের ভোটদাতার যেবার যে রাজনৈতিক দলের লোককে বেশী সংখ্যায় পালেমেণ্টের সভ্য নির্বাচন করে, সেবার সেই দল হয় গবন্মেণ্ট । স্বতরাং ভোটদাতারাই গবন্মেন্টের স্রষ্টা, তাহারাই প্রভু। ছোটরা প্রাপ্তবয়স্ক হইয়া রাজনীতি বুঝিয়া ভোট দিয়া প্ৰভু হইবে, জন্য বিলাতে তাহাদিগকে “ভবিষ্যৎ প্রভু’ বলা হইয়া ‘It is necessary “to induce our ৰিৰিখ প্রসঙ্গ-শিক্ষা-বিবৃতিতে আর একটা লম্বাচোঁড় কথা } ছিল । এ সব কথা ইংলণ্ডে সাজে, স্বশাসক জাতিদের স্বাধীন দেশে স্লাজে । ভারতবর্ষের প্রভু বেচারা ভোটদাতারা ত নহে, প্রতু ইংরেজরা। র্তাহাদিগকে শিক্ষা দিবার কথা মুখে বলা দূরে থাকু, কোন ভারতীয়ের কল্পনা করাও উচিত নয়। কারণ, শিক্ষা দেওয়ার অর্থ কেবলমাত্র একটি নয়। “প্রত্যেক বাঙালী শিশু যথাশক্তি বড় হইবে” ! ১লা আগষ্টের বিবৃতিটিতে অনেক গালভরা কথা আছে। একটি এই – , “. . . the Government in the Ministry of Education tare genuinely anxious that something should be olone to better the conditions of education and so to train up the future generations that every Bengali child may reach, according to his aptitude and irrespectivo of his parents' position, the full measure of intellectual and moral achievement...... zy অর্থাৎ গবন্মেন্টের শিক্ষামন্ত্রী খাটি আগ্রহাম্বিত এল্প শিক্ষা দিতে, যাহাঁতে প্রত্যেক বাঙালী শিশু তাহার مة جة صممة لا لا విరివి পিতামাতার অবস্থানির্বিশেষে জ্ঞান ও চরিত্রের দিক দিয়া তাহার শক্তিসাধ্য অনুযায়ী পূর্ণ কৃতিত্বে পৌছিতে পারে। কাহার কোন বিষয়ে আগ্রহ তাহার বিচারক অন্তর্দশী ঈশ্বর। আমরা মানুষ, অন্যের মনে কি আছে জানি না । সুতরাং সে বিষয়ে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করিতেছি না । আমরা দেখিতেছি, বিবৃতিটি চায় বঙ্গের গ্রাম্য forsal oligfrīzR-TR-fffè (“rural-minded” ) gą, এবং তাহদের "urban bias” ( শহরের দিকে ঝোক ) না জন্মে। সেই জন্য গ্রাম্য শিশুদিগকে প্রাথমিক শিক্ষা, উৰ্দ্ধপক্ষে মধ্য-বাংলা বিদ্যালয়ে শিক্ষ, দিবার প্রস্তাব বিবৃতিটিতে আছে। আমরা বিন্দুমাত্রও বিশ্বাস করি না, যে, ইহাতে “প্রত্যেক বাঙালী শিশু” বা কোনও বাঙালী শিশু জ্ঞানবুদ্ধি ও চারিত্রিক কৃতিত্বের চরম সীমায় পৌছিতে পারিবে। প্রত্যেক শিশু ত পরিবেই না, খুব মেধাবী শিশুরা পরিবে না, মাঝারি রকমের শিশুরাও পরিবে না, এবং তাহদের সংখ্যাই প্রত্যেক দেশে বেশী । আমরা আগে লিখিয়াছি, বঙ্গে হাজারকরা ৯২৬৫ জন গ্রামে বাস করে । বঙ্গের গ্রাম্য লোকদিগের জন্য কেবল প্রাথমিক ( বা উদ্ধৃপক্ষে মধ্য-বাংলা ) বিদ্যালয়ের শিক্ষাই চরম মনে করিলে ও তাঁহারই ব্যবস্থা করিলে বুদ্ধিবিদ্যা ও অন্যবিধ সব দিক দিয়া শতকরা ৯৩ জন বাঙালীকে খাট করা হইবে, বামন করা হইবে । শিক্ষা-বিবৃতিতে আর একটা লম্বাচোঁড়া কথা ১লা আগষ্টের বিবৃতিতে আছে – “All the schools have been cast in the same mould and directed to the same end, so that, individual aptitudes and gifts have often bcon crushell, out and the potential soldier, explorer, saint a businoss man, invontor, farmer or artisan have generally been transformed into potential clorks.” তাৎপৰ্য্য। সব স্কুলগুগ এক ছাচে ঢাল হওয়ার এবং একই লক্ষের দিকে তাদের গতি হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের আলাদা আলাদা প্রকৃতিদত্ত ক্ষমতা পিষ্ট হইয়া নষ্ট হইয়াছে, এবং যাহার হয় ত যোদ্ধ, ভৌগোলিক অনুসন্ধাতা ও আবিষ্কারক, সাধুসন্ত, বড় কারবারী, বৈজ্ঞানিক যন্ত্র উদ্ভাবক, বড় কৃষিজীবী, ব৷ কারিগর হইতে পারিত, তাছারা যাহাতে হয়ত্ত কেরানী হইতেও পারে এইরূপ শিক্ষা পাইতেছে । উত্তম - কথা । কিন্তু বঙ্গীয় শিক্ষাদপ্তরের প্রস্তাবিত ( প্রধানতঃ গ্রাম্য ) শিক্ষাপ্রণালীতে মানুষ সেনানী, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রোস্তাবক, ভৌগোলিক আবিষ্কারক কি প্রকারে বনিয়া