পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আণশ্বিন বিবিধ প্রসঙ্গ—শিক্ষণ-মন্ত্রীর একটি ভাল অভিপ্রায় । ఎSS জামেনীতে আছেন। কন্যা ইন্দির সঙ্গে আছেন। সম্প্রতি সংবাদ আসিয়াছে, যে, শ্ৰীমতী কমল নেহরুর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। সেই কারণে গবন্মেণ্ট পণ্ডিত জবাহরলাল নেহরুকে পত্নীকে দেখিতে যাইবার নিমিত্ত স্থবিবেচনাপূৰ্ব্বক কারাগার হইতে মুক্তি দিয়াছেন। পণ্ডিতজীর পূজনীয় মাতাও এলাহাবাদে খুব পীড়িত। র্তাহাকে দেখিয় তিনি অবিলম্বে আকাশপথে এরোপ্লেন-যোগে ইউরোপ অভিমুখে যাত্রা করিয়াছেন । শ্রীমতী কমলা নেহরুর সংবাদের জন্য অগণিত ভারতীয় উংকৃষ্টত হইয়া থাকিবে । স্বৰ্গীয় পণ্ডিত মোতীলাল নেহরু জীবদ্দশায় স্বদেশের কল্যাণার্থ দুঃখ বরণ করেন। র্তাহার পরিবারস্থ সকলে-পত্নী, পুত্র, পুত্রবধূ, কন্যাদ্বয় ও এক জামাতা, তাহার পথের পথিক হন । এরূপ একমন একপ্রাণ পরিবার অধিক দেখা যায় না। সংস্কৃত কলেজ কি বিপন্ন ? শতাধিক বৎসর পূৰ্ব্বে কোম্পানীর আমলে সংস্কৃত কলেজ স্থাপিত হয়। ইহার আসন্ন মৃত্যুর গুজব ইতিপূৰ্ব্বেও রটিয়াছিল । খবরের কাগজে আবার সেইরূপ গুজব দেগিয়াছি। গুজব বলিতেছি এই জন্ত, যে, কর্তৃপক্ষের নিকট সংবাদপত্রসমূহ এখনও কোন খাটি খবর পান নাই। র কাগজে যাহ বাহির হইয়াছে, তাহা কতকটা এইরূপ । iত কলেজের বি-এ শ্রেণীর ছাত্রেরা সব আধুনিক "modern" ) বিষয় প্রেসিডেন্সী কলেজে পড়িবে, অর্থাং সংস্কৃত ছাড়া আর সব বিষয় প্রেসিডেন্সী কলেজে পড়িবে। কতকটা ন্যায়পরায়ণতা দেখাইবার নিমিত্ত গুজব ইহাও বলিতেছেন, যে, ইসলামিয়া কলেজের বি-এ অনাসের ছাত্রের ' প্রেসিডেন্সী কলেজে পড়িবে। এরূপ দ্যায়পরায়ণত আমরা চাই না ; আমরা এরূপ বলি না, এরূপ চাই না, যে, যেহেতু সংস্কৃত কলেজকে অঙ্গহীন ও পঙ্গু করা হইতেছে, অতএব ইস্লামিয়া কলেজকে সমান ভাবে অঙ্গহীন ও পঙ্গু করা হউক । আমরা বলি, ইসলামিয়া কলেজ যেমন আছে তেমনি থাক এবং উহার শ্ৰীবৃদ্ধি হউক। কিন্তু কেবল হিন্দুদের জন্য এই একটি সরকারী কলেজ আছে, কেবল হিন্দুদের জন্য গবন্মেণ্ট যত খরচ করেন, কেবল মুসলমানদের জন্য তাহার অনুন ১৫১৬ গুণ খরচ করেন, তথাপি হিন্দুদের সংস্কৃতির রক্ষক এই একটি মাত্র সরকারী কলেজ কেন পূর্ণাঙ্গ থাকিতে পাইবে না ? যখন ১৯২৪ সালে সংস্কৃত কলেজের শতবার্ষিক উৎসব হয়, তখন তৎকালীন গবর্ণর স্পষ্ট ভাষায় এই প্রতিশ্রুতি দেন, যে, সংস্কৃত কলেজের অখণ্ডত্ব ও পূর্ণাঙ্গতা কখনও বিনষ্ট করা হইবে না। অবশু জানি, র্তাহ অপেক্ষ উচ্চপদস্থ রাজপুরুষের—এমন কি সম্রাজী সম্রাটের –প্রতিশ্রুতিরও নাকি কোন মূল্য নাই, কেবল পালেমেন্টের প্রতিশ্রুতির ও আইনের মূল্য আছে,ইহা পালেমেণ্টে কথিত হইয়াছে। কিন্তু তাহ হইলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া কেন ? কাছাকাছি দুটা কলেজ থাকিলেই ঘে একটাকে আর একটার শাখা বানাইতে হইবে বা একটাকে অঙ্গহীন করিতে এবং কালক্রমে বিলুপ্ত করিতে হইবে, ইহার কোন যুক্তিযুক্ততা নাই। আমরা ত অক্সফোর্ড কেজি দেখিয়াছি। সেখানে কাছাকাছি অনেক কলেজ আছে, কোনটা খুব বড়, কোনটা খুব ছোট ; কষ্ট কোনটাকে ত ভাঙিয়া দেওয়া হয় না। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের একটা “ব্যক্তিত্ব”, একটা ভাবধার চিন্তাধারা, একটা আদর্শ, আছে, বা থাকা উচিত। তাহ রক্ষিত হওয়া আবশ্যক। সেগুলি ত দোকান নয়, যে, কোনট হইতে চাল, কোনটা হইতে ডাল, কোনটা হইতে নলঙ্ক তেল, কোনটা হইতে বা মুড়িমুড়কি কিনিলেই হইল । প্রেসিডেন্সী কলেজের ও তাহাতে শিক্ষালাভার্থীদের দিক্‌টাও দেখ চাই। এই কলেজ যদি পূর্ণমাত্রায় নিজস্ব ছাত্র না পান, তাহ হইলে সকল ছাত্রের উপর একটি আদশের ছাপ কেমন করিয়া দিবেন ? আর, যাহার। পুরা বেতন দিয়া প্রেসিডেন্সী কলেজে পড়িতে চায়, অন্য দুষ্ট কলেজের ছাত্র আমদানী করিয়া তাহাদের জন্য স্থানের অকুলান ঘটাইবার ন্যায্যত কোথায়? এই প্রকারে প্রেসিডেন্সী কলেজের ছাত্রবেতনলভ্য আয় কমাইবার হায্যতাই বা কোথায় ? শিক্ষামন্ত্রীর একটি ভাল অভিপ্রায় - “ শুনিলাম, শিক্ষামন্ত্রী তাহার শিক্ষা-জীমটি সম্বন্ধে আলোচনা করিবার নিমিত্ত মৌলবী আবদুল করিম, সৰু নীলরতন সরকার, সরপ্রফুল্লচন্দ্র রায়, শ্ৰীযুক্ত যতীন্দ্রনাথ বস্ত ও