পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অণশ্বিন বিৰিখ প্রসঙ্গ—চায়ের বিজ্ঞাপন పెప్పి যাহা করিতেছে, সেই রকম চেষ্ট অন্যদিগকেও করিতে হইবে ; অসমীয়াদের মধ্যে বিশেষ চঞ্চল্য হইয়াছে ৷ ‘অসমীয়া পত্রিকায় - جه. বাৰু রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি কটাক্ষ করিয়৷ বলিয়াছেন যে ইহা নতুবা শুধু কমুনিষ্টদমন ফলপ্র ·হুইবে না । স্বারা ঠাহার বৃহত্ত্বর বঙ্গের পরিকল্পন। বাস্তবে পরিণত হইবে । এই প্রস্তাবিত শাখা প্রাথমিক-বিদ্যালয়ে জাদুমন্ত্র ? বৰ্ত্তমানে যে-সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, শিক্ষণবিভাগ বলিতেছেন, যে, তাহাতে তিন বৎসর পড়িয়াও বালকবালিকার লিখনপঠনক্ষম হয় না। ঐ সব বিদ্যালয় রোজ ৪ ঘণ্টা করিয়া বসে। কিন্তু শিক্ষাবিভাগের প্রস্তাবিত শাখা প্রাইমারী বিদ্যালয়গুলি রোজ দু-ঘণ্ট বসিবে এবং তাহাতে ছেলেমেয়ের দু-বংসর মাত্র পড়িবে । অথচ তাহারা মনে করেন, বৰ্ত্তমান বিদ্যালয়ে তিন বৎসর ধরিয়া প্রত্যহ চারি ঘণ্ট। করিয়া শিক্ষা পাইয়। ছাত্রছাত্রীর যতটা অগ্রসর হক্টতে পারে ন, তাহাদের প্রস্তাবিত শাখাবিদ্যালয়গুলিতে প্রত্যহ দু-ঘণ্ট শিক্ষা দুই বৎসর পাইয় তাহ অপেক্ষ বেশী অগ্রসর হইতে পরিবে। তাঙ্গর কি কোন জাতময় জানেন যাহার বলে ঈহ ঘটিবে ? - - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপিকা இது; আনদের বিষয়, যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষায় যিনি প্রথম স্থান অধিকার করিয়৷ উত্তীর্ণ হইয়ছিলেন, সেই কুমারী করুণাকণা গুপ্ত তথায় ইতিহাসের লকচারার নিযুক্ত হইয়াছেন। ইনি ছাত্রীরূপে যেরূপ কৃতী ইয়াছিলেন, অধ্যাপিকারূপেও সেই সিদ্ধিলাভ করুম, আমাদের অভিলাষ এইরূপ । কলিকাতা কর্পোরেশ্বন ও ট্রামওয়ে গুজব রটিয়াছে, কলিকাতা মিউনিসিপালিট কলিকাতার ট্রামওয়েগুলি কিনিয়া লইবেন । লইলে খুব ভাল হয় । পৃথিবীর অনেক বড় শহরের ট্রাম ও বাস্ তথাকার মিউনিসিপ্যালিটীর সম্পত্তি। কলিকাতাতেও তাহা হইলে লাভের টাকাটা দেশে থাকিবে । অসমীয়া ভ্রাতাদের জ্ঞাতব্য “সঞ্জীবনী” লিখিয়াছেন – আসামে বাঙ্গালী বিশ্বেৰ তেজপুরের বাঙ্গালী অধিবাসিগণ একটি বাঙ্গাল হাইস্কুল খুলিতেছেন, শিক্ষ-বিভাগের ডিরেক্টর সেই প্রস্তাব অনুমোদন করিয়াছেন। জাসামে বাঙ্গালীর স্কুল হওয়াতে স্কুল খুলিবর বিরুদ্ধে আসামের সর্বত্র আন্দোলন করিবার চেষ্টা হইতেছে। রায় বাহাদুর আনন্দচন্দ্র আগরওয়াল এই স্কুল স্থাপন সমর্থন করাতে অসমীয়াগণ কুদ্ধ হইয়াছে । - অসমীয় ভ্রাতাদের জানা উচিত, বিহার, প্রদেশে বাঙ্গাল স্কুল অনেক আছে। সুতরাং স্থাপনে ভীত হইবার কিছু নাই । যুক্তপ্রদেশ প্রভৃতি তেজপুরে এই স্কুল গোরক্ষপুরে প্রবাসী-বঙ্গসাহিত্য-সম্মেলন গোরক্ষপুরে স্বৰ্গীয় কবি অতুল প্রসাদ সেন মহাশয়ের সভাপতিত্ত্বে প্রবাসী-বঙ্গসাহিত্য-সম্মেলনের যে স্মরণীয় অধিবেশন হইয়াছিল, তাহার মুদ্রিত কাৰ্য্যবিবরণ একথও পাইয়াছি । কাৰ্য্যবিবরণটি স্থলিখিত । লোকে যাহা বাহ! জানিতে চায়, ইহাতে তাহ আছে । . সিংহভূমকে উড়িষ্যাভুক্ত করিবার চেষ্টা উৎকলের অন্তঃপাতী ভদ্রকের কতকগুলি লোক সিংহভূমের জনসাধারণের মধ্যে উৎকলীয় ভাষ চালাইয়৷ উহার্কে উড়িষ্যার অন্তর্গত করিবার চেষ্টায় আছেন। যাহা যাহ। অধুনা বাস্তবিক উড়িষ্যার অংশ উৎকলীয়ের তাহ তাহা পাইয়াছেন । যাহা এখন উড়িষ্যা নহে, তাহাকে উড়িষ্য বানাইবার চেষ্টা না করাই ভাল । চায়ের বিজ্ঞাপন আমাদের বিজ্ঞাপন-কৰ্ম্মচারীকে বল আছে, কি কি রকমের বিজ্ঞাপন তিনি লইবেন না । চায়ের বিজ্ঞাপন লইতে তাহাকে অতীত কালে কখনও নিষেধ করা হয় নাই, বৰ্ত্তমানেও করা হয় নাই । অন্য বিজ্ঞাপনের জন্য যে হারে আমরা টাকা পাই, চায়ের জন্তও সেই হারে পাই । আমি স্বয়ং চা-পানে অভ্যন্ত নহি, এবং সৰ্ব্বসাধারণ চা-পানে অভ্যস্ত হয়, ইহাও আমি চাই না। কিন্তু চাকে আমি মদ, তাড়ি, আফিং, গাজা প্রভৃতির সমশ্রেণীস্থ মনে করি না বলিয়৷ তাহার বিজ্ঞাপন ছাপিতে আমি নিষেধ করি নাই, করিবও না। অন্য সব বিজ্ঞাপনের মত চায়ের বিজ্ঞাপনে যাহা লেখা থাকে, তাহার সত্যাসত্যতার দায়িত্ব লইতে আমি অসমর্থ। দায়িত্ব বিজ্ঞাপনদাতাদের।