পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ দুই রাত্রির ইতিহাস S দিয়া শহরের মেয়ে ও পাড়াগায়ের মেয়ের তফাৎ চেনা যায়। শিবানীকে বিজনের ভারি ভাল লাগিল । অবিনাশকে কহিল, “তুই ভাগ্যবান ।” مs = { P “লক্ষ্মীর মত বোঁ পেয়েছিল।” অবিনাশ সগৰ্ব্বে শিবানীর লজ্জানত দেহের দিকে তাকাইয়া বলিল, “যা বলেছিস্ । দেখ, নিজের ইয়ে বলে বলছি না—এই আমাদের পাড়াগায়ের মেয়ের জাতই আলাদা। আর শহরের মেয়ে—” অবিনাশ ভাতমাখা ডানহাত আর বা-হাত সামান্ত ভফাতে রাখিয়া জোড় করিয়া প্রায় কপালে ঠেকাইল—“ক্ষুরে নমস্কার ।” শহরের মেয়ে কিন্তু অবিনাশ খুব বেশী দেখে নাই । মোটে দেখিয়াছে কিনা সে-বিষয়েও সন্দেহ । বিজন মনে মনে হাসিল । বাহিরে কহিল, “ঠিক বলেছিস্ ।” অবিনাশ বিন কারণে গলার স্বর নামাইয়া কহিল, “খা রে, তোর বোঁ কেমন ? নাম কি ?” বিজন শিবানীকে শুনাইয়া কহিল—“লীলা । আর কেমন মেয়ে যদি জিজ্ঞেস করিস ভ বল্ব শহরের মেয়ে যেমন হয়ে থাকে।” “সুন্দরী ?” “মন না। তবে,” এইবার বিজন চুপি চুপি কহিল, "সেসব মেয়ের চাইতে তোর বে লাখোগুণে ভাল। তোকে ঠাট্টা ক'রে ভাগ্যবান বলি নি।” অবিনাশ তৃপ্তির হাসি হাগিল। কিন্তু মনে মনে কোথায় . যেন একটু বেদন অনুভব করিতে লাগিল। স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে বিঞ্জন লীলাকে পাইয়া স্বর্থী হয় নাই। হয়ত বেীয়ের মেজাজ কড়া। হয়ত বা বেলা আটটা পৰ্য্যস্ত বিছানায় গুইর থাকে, আর বিজনের বিছানায় চ পৌছাইয়া দিতে হয়। তাবিতেও অবিনাশ শিহরিয়া উঠিল। শিবানী रु िcङमनेि इश्ड ? কিন্তু শিবানী সে রকম মেয়েই নয়। সেই সাতসকালে উঠির ঘর লেপা, উঠান বাট দেওয়া, গোয়াল মুক্ত করা, এমনই সব হাজার রকমের কাজ। তাহার উপর ছেলেcषcबeणि दफ़ कृब्रख । ठांहांटनम्न जरुटष अङाiफ्रांब्र गद করিয়া হাসিমুখে ঘরের কাজ করিম চলিয়াছে। স্বামীর খোড়া পা লইয়া দুঃখ করিতে কেহ তাহাকে দেখে নাই । অমন স্বত্র মেয়ে, হইলই বা রং একটু ময়লা ৷ কপাল খারাপ করিয়াই না দরিদ্র খোড়া স্বামীর ঘরে পড়িয়াছে ! কিন্তু তাহার দিকে চাহিয়া দেখ, যেন কোন ভাগ্যবানের ঘরের বধু ! 曝 সে রাত্রে জ্যোৎস্নাভরা দাওয়ায় একমাদুরে পাশাপাশি গুইয়া দুই বন্ধু রাত প্রায় শেষ করিয়া ফেলিল। তাহাদের চিরদিনের সুখসম্পদের আশা, আকাঙ্ক্ষণ, সকল আশঙ্কা, সব একে একে বায়স্কোপের ছবির মত দুই জনের মনের পর্দায় ছায়া ফেলিয়া চলিল । সেই যখনকার কথা ভাল করিয়া মনেও পড়ে না, যখন প্রথম বিজনের বাবা এ-গায়ে আসিয়া বাসা বাধিলেন, সে কি আজকের কথা ? প্রায় তেইশ বছর তাহার পরে কাটিয়া গিয়াছে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, ঐ পদ্মদীঘির ধার দিয়া ধানক্ষেতের আলি বাহিয় তাহারা একসঙ্গে গ্রামের প্রাস্তে স্কুলে গিয়াছে, যখন ফিরিয়াছে তখন স্বৰ্য্য পশ্চিম-গগনের এক কোণে রঙীন মেঘের আড়ালে আত্মগোপনের চেষ্টা করিতেছেন। অবিনাশ হাসিয়া কহিল, “জনিস বিন্ধু, মনে মনে কতবার ডিট্রিক্ট ম্যাজিষ্ট্রেট হয়ে হুকুম চালিয়েছি ; খোড়। পা ভাল হয়ে গিয়েছে, সকলের সঙ্গে মাঠে ছুটোছুটি করে ফুটবল খেলছি।” "ञांद्र श्रांभि भएन भtन ७tब्रांtatन 5प्फु शृथिवॆौद्ध চারি দিকে ঘুরে বেড়িয়েছি, আটলাণ্টিকের ঝড়ের মধ্যে জাহাজে ক’রে পাড়ি দিয়েছি। কল্পনার উপরে ত কোনো ট্যাক্স নেই।” - “ভাগ্যিস নেই । নইলে এত দিন আমি দেউলে ।” উঠানের পাশে একটা গাছে সারারাত ধরিয়া ঝিকি, ডাকিয়া চলিল, ঠিক যেমন করিয়৷ ডাকিত বারো বছর আগে । এই বারো বছর অবিনাশ এইখানে কাটাইয়াছে, কই এক দিনের জঙ্গও ত তাহার ছেলেবেলার দিনগুলির কথা তেমন করিয়া মনে পড়ে নাই । আর আজ বিজু আসিয়৷ এই দরিদ্র অৰ্দ্ধশিক্ষিত স্কুল-মাষ্টারের মনের কোনু গোপন তন্ত্রীতে কি রাগিণী বাজাইয়া দিয়া গেল, যাহাতে লুপ্ত বিস্তুতপ্রায় দিনগুলি বারো বছরের বিস্মরণের