পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা । ] اه ۹۰ میسیتهیه متحسير عجیه কাশ্মীরী স্ত্রীলোক দেখিয়াছিলাম, কিন্তু এক বেশের প্রভেদ বাতীত আর কোন প্রভেদ লক্ষা করি নাই ! কাশ্মীরী পুরুষকে দেখিবর জন্য কাশ্মীরে যাইতে হয় না, কাবলী পাঠানদিগের মত ভাঙ্গর সর্বত্র ছাইয়া পড়িয়ছে। বরাহমল পার হইয়। প্রভেদ লক্ষিত হইতে লাগিল । টঙ্গার শব্দ শুনিয়া ধান্ত অগল; অপর ক্ষেত্র হইতে একটি অথবা দুইটি স্বীrলাক উঠিয়া চাহিয়৷ দেখে, আমনি একটা রূপের ছবি চক্ষের উপর দিয়: চলিয়া যায়। পরিধানে আপাদস্বন্ধ একটা বুক্ত ২ আলখাল্লা জাম', প্রয় মলিন - হাতা গুলা হাতের অপেক্ষা অনেক বড়, মাথায় কাপড়ের টুপি ৷ তই এক বার অবসর পাঠয়। ভাল করিয়৷ দেখিলাম সেরূপ বর্ণ ভারতবর্ষে দেখিতে পাওয়া যায় না, কিন্তু কিছু অধিক লাল, অঙ্গ কিছু স্থল, লাবণ্যের অভাব, মুখের শ্রী কিছু ককশ । ইহারা সব মুসলমান । একজন ইংরাজ আমাকে একবার বলিয়াছিলেন, কাশ্মীরের সুন্দরাদিগের মে এত প্রশংসা শুনিতে পাওয়া যায়, তিনি কাশ্মীরে তাহার কিছু দেখেন নাই । ভালিলাম, ইংরাজ তবে সত্য বলিয়ছিলেন । কিন্তু কাশ্মীরের স্ত্রীলোকের রূপ আমি তখন ও দেখি নাই । ধান্তক্ষেত্রে অথবা নৌকায় সে রূপ দেখিতে পাওয়া যায় ল) । কিন্তু কুংসিত নরনারীর সংখ্যা বিরল ৷ হৈ সকলেই লক্ষ্য করে । শ্রীনগরে পহুছিতে স্তর্গ অস্ত গেল। মীর ক! কতল iামক স্থানে নৌকা ছিল, সেইখানে টঙ্গা দাড়াইল । এষ্ট কিল নৌকাকে নেযুচ ( house bont ) বলে । দেখিতে ঠক বাড়ীর মত, বজরার অপেক্ষা অনেক শ্রেষ্ঠ । ঘর গুলি বশ বড় বড়, সজ্জিত, বৃষ্টি পড়িলে কোন ভয় নাই, তবে ড় হইলে সে জলগুহ ত্যাগ করিয়া পলায়ন করাই পরামর্শ । ঝির তাড়াতাড়ি নৌকা টানিয়া ডাঙ্গায় তোলে, কিন্তু ডু ইলেই নে কা উণ্টিয়া যায় ; কারণ হাউসবোটের লী তক্তার ন্যায় সমান, জলের উপর ভাসিয়া থাকে। দীতে জল এত অল্প যে আমাদের দেশের মত নৌকার ল) গঠিত হইলে নৌকা চলিতেই পারে না । তলা নাই লয়৷ কাশ্মীরের নৌকা এক হাত জলেও ভাসে। পাকের ঠ স্বতন্ত্র ডিঙ্গী, আর বেড়াইবার জন্ত একটি ছোট বোট, {গকে শিকারী বলে । প্রবাসী X o & সঙ্গরের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রাস্ত পৰ্য্যস্থ ৭টা সেতু আছে । ভূমিকম্পে অনেক গৃষ্ট নষ্ট হইয়া গিয়াছে। রাজপ্রাসাদকে শেরগড়ী বলে ; ভূমিকম্পে ইহারও অধিকাংশ নষ্ট হইয়া যায় ; অতএব নন্তন আটালিকা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে । শেরগড়ী ঠিক নদীর উপর । BBB SBBB S BBBB tSBBBS BB BBBS রাজধানীর প্রথম সোনার্স উপলব্ধি করিতে লাগিলাম । নদীর স্রোত এত মন যে দেখিতে প্রায় পুষ্করিণীর মত । তীরে শ্বেতকাম সফেদ বৃক্ষ, জলে কালে ছায়া পড়িয়াছে। দরে, রেসিডেন্সীর পশ্চাতে তথত সুলেমান নামক পৰ্ব্বত রাজধানীর প্রহরী স্বরূপে দাড়াইয়। রতিয়াছে। স্বপ্নের মায়াপুরীর ন্যায় জোংরালোকিত সেই বিচির দশু কখন ভুলিব না । রাত্রে অন্তর আচারের নিমন্ত্রণ ছিল । প্রায় এগারটা হইল । ফিরিতে রাত্রি জলপথেই গমনাগমন করিতে হয় । ডিঙ্গীতে ফিরিয়া আসিতেছি এমন সময় সঙ্গীতধ্বনি শুনিতে পাইলাম। আর একটি ডিঙ্গীতে স্ত্রীলোকে গায়িতেছে । কাশ্মীরী ভাষায় গান, অর্থ বুঝিতে পারা যায় না, কিন্তু সুর সেই জ্যোৎস্নাময়ী নিশীথের মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে পশিতেছিল । লিতস্তার স্যায় অলস রাগিণ, সে গানে অলস আকাঙ্গ, দূর ষ্টতে অলস আদান শত তষ্টতেছিল । চতুদিকের আনন্দের মৰ্ম্মবেদন সঙ্গীতে উচ্ছ,সিত হইয়। শ্রোতার মৰ্ম্ম স্পশ করিতেছিল । কৌমুদী-অঙ্গরার ত প্রকৃতির সেই মনোমোচন রূপ, এবং সঙ্গীতের সেই বেদনময় উন্মাদন একত্র মিশিয়া প্ৰাণে এক অভিনব বাকুলত উৎপাদন করিতেছিল । পর দিবস সতর দেfদতে বাহির হইলাম । নদীর জলে বালক বালিকা পেল করিতেছে, স্ত্রীলোকের বাসন মাঞ্জিতেছে, পুরুষেরা স্নান আঙ্গিক করিতেছে । পণ্ডিত, অর্থাং ব্রাহ্মণ, ও মুসলমান, এই দুই জাতি । বাদশাঠী আমলে বোধ হয় জোর করিয়৷ কাশ্মীরবাসীকে মুসলমান করা হয়, কারণ গুলাম মহম্মদ ভট্ট (ভট্ট ) এরূপ নাম কাশ্মীরে এখন ও প্রচলিত আছে । ভট্ট লে কোন জাতি তাত। কাহাকে ও বুঝাইতে হয় না । এক এক জন পণ্ডিতকে দেখিলে বাস্তবিক প্রাচীন ঋষিদিগকে স্মরণ হয় | তপ্ত