পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* > 2 প্রবাসী কমিটি ভারতবর্ষের শাসন প্রণালী কিরূপে সংস্থত হইতে পারে, তাই বিদে ন করিতেছিলেন। রামমোহনরায় এই কমিটিতে নিজ মত জানাইবার জন্য একটি পুস্তিক প্রণয়ন করেন । উঠার আলোচ্য বিষয় ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দিগের উপনিবেশ স্থাপন। ো সনদের বলে ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী ভারতশাসন করিতেন, তদনুসারে ইউরোপীয়গণ অবাধে ভারতবর্ষে ভূমি ক্রয় বা বসবাস করিতে পারিতেন না। রাজা এই বিষয়ে সকলকে স্বাধীনতা দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। তাহার মতে ইউরোপীয়দিগকে এইরূপ বসবাসের স্বাধীনতা দিলে নয় প্রকার শুভফলের প্রত্য,শা করা যায়। ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকেরা ভারতের কৃষি ও অর্থঙ্কর শিল্পের উন্নতি করিবে, দেশীয়দিগের নানা কুসংস্কার দূর করিবে, গবৰ্ণমেণ্টকে অপেক্ষাকৃত সহজে শাসনবিষয়ে উন্নত প্রণালী অবলম্বন করাইতে পারিবে, দেশীয় যা বৃটিশ অত্যাচারে বাধা দিবে, দেশে শিক্ষাবিস্তার করিবে, ভারতবর্ষীয় ঘটনাবলী সম্বন্ধে বিলাতের লোককে বেসরকারী মত জানাইতে পরিবে, এবং বৈদেশিক শত্রুর আক্রমণকালে বৃটিশ গবর্ণমেণ্টকে অধিকতর বলশালী করিবে । শেষ দুই শুভ ফল এই যে, যদি ভারতবর্ষ উদারনীতি অনুসারে শাসিত হয় এবং পাৰ্ণেমেণ্ট মধোমধ্যে ইহার অবস্থার অনুসন্ধান করেন, এবং রাজপুরুষগণের ক্রিয়াকলাপ আইনের দ্বারা নিয়মিত হয়, তাড়া হইলে ভারতবর্ষ বহুকাল ইংলণ্ডের উন্নত শাসনের অধীনে থাকিয়া উপকত হইবে,এবং প্রতিদানস্বরূপ ইংলণ্ডের মহন্ধের পোষণ করিবে । কিন্তু যদি ঘটনাক্রমে ভারতবর্ষ ইংলণ্ড হইতে পৃথক হইয়া পড়ে, তাহা হইলেও ঔপনিবেশিক ও তাহাদের বংশধরগণ ভারতবর্ষকে ইউরোপের খৃষ্টান দেশসমূহের সমান উন্নত করিতে পরিবে, এবং ইহার প্রভূত ঐশ্বর্য ও লোকসংখ্যাবলে, ও ইউরোপের সাহায্যে, এশিয়ার আস্তান্ত জাতিকে জ্ঞানদানদ্বারা প্রবুদ্ধ করিয়া তুলিবে | তাহারপর কয়েকটি অসুবিধারও উল্লেখ করা হইয়াছে। ঔপনিবেশিদিগের ঔদ্ধত্য ও প্রবঞ্চনাতে বৃটিশ নামে কলঙ্ক আসিতে পারে। তজষ্ঠ রাজা প্রস্তাব করেন যে অন্ততঃ প্রথম কুড়ি বৎসর কেবল চরিত্রবান ও ধনবান শিক্ষিত ব্যক্তিগ্রিখেই বসবাস করিবার অধিকার দেওয়া ইউক, আইনের ১ম ভাগ । চক্ষে দেশী ও বিলাতী সকল প্রজাকে সমান করা হউক, এবং মফঃস্বলের আদালতসমূহে ইউরোপীয় উকীল নিযুক্ত করা হউক। তাহার পর রাজা বলেন যে কেহ কেহ মনে করেন যে যদি অনেক ভদ্র ইউরোপীয় অধিবাসীর সংসর্গে ও দৃষ্টান্তে ভারতবাসীরা ধনশালী, সমুন্নত ও জনহিতবুদ্ধি public spirite l) হইয় উঠে, তাহা হইলে ভারতবর্ষের প্রাচ্য ও প্রতীচ্য অধিবাসীর দল আমেরিকার যুক্তরাজ্যের মত বিদ্রোণী হইয়া স্বাধীনতা লাভ করিবে। তদুত্তরে রাজা বলেন, যে আমেরিকা ইংরাজের কুশাসনে বিদ্রোহী হইয়াছিল। চলনসই রকমের সুশাসন থাকিলেও কোন উপনিবেশ যে স্বাধীন হইতে চায় না, কানাডা তাহার দৃষ্টান্তস্থল। Yet as before observed, if events should occur to tsfect a separation (which may arise from many accidental causes, about which it is vain to speculate or make predictions), still a stiendly and highly advantageous c, nomercial intercourse may be kept up between two free and Christian countries, united as they will then be by resemblance of language, religion and mյ: Ո Ilէ:ր:3 অর্থাং দি ইংলণ্ড ও ভারতবর্ষ ঘটনাক্রমে পৃথক হইয়াই পড়ে, তাহা হইলেও দুটি স্বাধীন, একভাষাভাষী, তুলা, রীতিনীতি ও খৃষ্টান দেশের মধ্যে উভয়ের পক্ষেই মঙ্গলজনক বাণিজিাক আদান প্রদান চলিতে পরিবে । রাজা এই পুস্তিকাতে সাংসের সহিত সুদূর ভবিষ্যতের ভারতবর্ষকে ইংরাজীভাষী, খৃষ্টধৰ্ম্মাবলম্বী, সামাজিক বিষয়ে কতকটা ইংরাজীভাবাপন্ন, স্বাধীন এবং এশিয়ার শিক্ষাগুরুরূপে কল্পনা করিয়াছেন । দেশীয় ভাষা ও সাহিত্যগুলির পরিপুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে কালে ইংরাজীর জ্ঞানও যে ভারতবর্ষে সম্যক্ বিস্তারলাভ করিবে, তাহাতে সন্দেহ নাই। আমদের সামাজিক নানা বিষয়ে, পানাহারে, শিষ্টাচারে, পোষাকে যে ইতিমধ্যেই অনেকটা ইংরাজীভাব আসিয়াছে, তাহা ত দেখাই যাইতেছে । হয় ত মুদূর ভবিষ্ণুতে, অষ্ট্রেলিয়ার মত ইংলণ্ডের সহিত যুক্ত থাকিয়া, বা তাহা হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া, ভারতবর্ষ স্বাধীন হইতেও পারে। রাজার জাপানের অস্থায় পূৰ্ব্ব হইতে জানিবার কোন উপায় ছিল না। কিন্তু শিল্পৰিজ্ঞানে জাপান এশিয়ার (কিরৎপরিমাণে) বর্তমান ও (জারও অধিক পরিমাণে ) ভবিষ্ণুৎ শিক্ষাগুরু হইলেও, অধ্যায়