পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>と প্রবাসী শিক্ষার পপ রুদ্ধ করিয়া দিতেছেন । সুতরাং সাধারণ পুস্তক ও পাঠাগার এবং সাহিত্যসভাগুলির প্রতি প্রবাসী বাঙ্গালীগণের দৃষ্টি বিশেষরূপে পতিত হওয়া আবশুক । মাঙ্গতে বাঙ্গালাশিক্ষার বিস্তার হয় প্রত্যেক এ ক্ষণে আর १];ठ १jrश्र বাঙ্গালী গুস্তস্থের সেই চেষ্টা করিতে হইবে । উদাসীন থাকিলে চুলিবে না । অভিভাবকগণের অযত্নে অনেক সঙ্গস স্থানের বাঙ্গাল। झश भांशे । ঠঠাদিগের কথোপকথন অনেক সময় শস্তের উদ্রেক করে । DDBBS BB BBBB BBS BBDDS DDDS DDS SDB BB BBBS ছোট ল কড় জুত পায়ে দিয়) "ক্ষোঙ্গ” হইলে অনেকে નવજાજ્ઞિદર દુ বলিয়া থাকেন, “জুতা কামড়াইতেছে" বা “কাটিতেছে"। কোন কার্যা করিতে বা কোন স্থানে মাষ্টতে ইচ্ছা ন৷ থাকিলে আমরা যেমন অস্বীকারস্তচক বাকো বলিয়া থাকি “ক’রব বৈ কি ?” “যাব বৈ কি ?” “ক’রলেম আর কি ?” কিম্বা “গেলাম আর কি " তাঙ্গার বলেন “করব থোড়াই, ” "যাব গোড়াই " নাম ধাম জি জ্ঞাসা করিলে আমরা যেমন বলি, "আমার নাম অমুক" বা ‘ আমার বাড়ী অমুক স্থান" ; তাহারা বলিবেন, "আমার নাম অমুক ছ’চ্চে" বা “আমার বাড়ী অমুক স্থানে "চে"। কোন দবা দ্বিতীয় ব্যক্তির দ্বারা তৃতীয় ব্যক্তিকে দেওয়াহ তে শুইলৈ ঠাখার বলিবেন, "উষ্ঠা তাহাকে দেয়া করিয়া দিব ।” এরূপ দৃষ্টান্ত অনেক পাওয়া থায় । যে সকল প্রবাসী বাঙ্গালীর মাতৃভাষায় বর্ণপরিচয় চয় নাই কিস্ব র্যাহার। হিন্দ স্থানী বাঙ্গালায় কথা কহিয়া থাকেন, তাঙ্গরাষ্ট কেবলম" এ অথকরী ভাস শিক্ষার একান্থ পক্ষপাতী। তাহার। প্রায়ই বলিয়া থাকেন, বাঙ্গালাভাষী ভূলিঙ্ক যাওয়া ভাল । এই শ্রেণীর বাঙ্গালীগণ হিন্দুস্তানী ভাষায় কোন শ্লেষাত্মক বা রহস্তজনক বাকোর বেশ রস গ্রহণ করেন, কিন্তু মাতৃভাষায় সেইরূপ কোন বাক্য উক্ত হইলে তাঃার মৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে পারেন না । তবে সুখের বিষয় দশবর্ষ পূৰ্ব্বে যাই দেখিয়াছি, এক্ষণে আর ততদুর নাই ; মাতৃভাষানুশীলনের বৃদ্ধিষ্ট ইগর কারণ বলিতে হইব । উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের বাঙ্গাল সাধারণ পুস্তকাগার ও সাহিতাসমিতিগুলির প্রকৃত অবস্থা কিরূপ তাঙ্ক ক্রমশ: দেখাইবার ইচ্ছা রহিল । ক্রীজ্ঞানেজমোহন দাস । ১ম ভাগ । প্রয়াগে কমলাকান্ত । আমি মাদকালে আমার দ্বিতলগৃহের একটি নির্জন কক্ষে শয়ন করিয়া নতন বঙ্গদর্শন সঙ্গর্ষে পাঠ করিতেছি। সানন্দে পাঠ করিয়া দেখিলাম, মাসিক পত্রের সমালোচনা করিতে করিতে বুদ্ধ কমলাকান্তের ভেণত কলমের উপরও সঙ্গদয় সম্পাদক মহাশয় বাসষ্ঠী পুষ্পবৃষ্টি করিয়াছেন ॥৭ আমার অতিশয় আমোদ হইল। সম্মুখে টেবিলের উপর আমার ফেণ্টেন পেনটি ( নিঝরিণী-কলম ) রক্ষিত ছিল । সেটিকে গত বাড়াইয়। তুলিয়া লষ্টয়া তার কানে কানে সাদরে বলিলাম—“তে নিঝরিণী-সুন্দরি । তুমি কোন রুক্ষ কঠিন পাহাড়ের মনঃশিলার ভিতর ফন্তুবং অন্তঃসলিলরূপিনী ছিলে ; হঠাং কমলাকা স্তৃরূপী ভগীরথের ডাকে লীলাময়ী, নৃত্যময়ী, ঝঙ্কারমর্মী, আবেগময়ী, কল্লোলিনী হইয়া মহাসাগরে ঝ পাইয়। আমিত্বের মহাপ্রসার লাভ করিলে ? ধন্য মা তুমি । ধন্য তোমার এই অনুরক্ত ভক্ত !” এই শব্দ কয়টি যেই উচ্চারণ করিয়াছি, অমনি—একি আশ্চর্যা একি মত; বিস্ময়ের ব্যাপার ! তোমরা বলিলে বিশ্বাস করিবে না, ফেণ্টেন পেনটি তিড়িৎ মিড়ি করিয়া লাক্ষাইয়া উঠিল । তাঙ্গর ভিতর হইতে একটি অপরূপ নদীকল্প বাহির হইল। সুন্দরীর আলুলায়িত কেশজালে জলমুক্ত ঝিকমিক্‌ করিতেছে । কতকগুলি শুভ্ৰ কুন্দপুষ্পই কস্তার দশন, দুইটি প্রফুল্ল ইন্দাবরই কন্যার দুইটি নয়ন, , একটি সুবৃহৎ রাজহংস কস্তার বাঙ্গন । দুইটি চক্রবাক ডানার কটুপটু শব্দে মঙ্গলধ্বনি করিতেছে। কন্যার স্বভূজে মৃণালমন্ত্রী বাশরী। কস্তা মুরলী বাজাইল ;-আমি আনন্দে অচে

  • "স্বগীয় কমলাকাস্থ শৰ্ম্ম লোকাস্তর হইতে ইহলোকে এবং বঙ্গের বঙ্গদশন হইতে প্রবাসে গেলেন, এ ইন্দ্র জাল কে ঘটtষ্টল ? মায়ানী ষ্ট{ষ্ঠার নাম গোপন করিয়; ফাকি দিতে পরিবেন না---কবির লেখনী ছাড়া এ যাদু আর কোথায় ? যে কবি অশোকমঞ্জর হইতে তাঙ্কার তরুণত এবং বধূর তৃষণঝঙ্কার হইতে তাহার রহস্তকপাটি চুরি করিয়া লইতে পারেন, তিনি যে রীতারাঠি বঙ্গদর্শন হইতে তাহার কমলাক স্তুটিকে হরণ করিয়া প্রবাসে পলাইবেন, ইহাতে আশ্চৰ্য্য হই ন। কিন্তু চোরকে যদি আমাদের বঙ্গদর্শনে বঁাধিতে পারি, তবেই উ{হায় উপযুক্ত শাস্তি হইবে।”—বঙ্গদর্শন, বৈশাখ ।