পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা । ] বাসে না ? $1, ভালবাসে বই কি । বালাকালে বাগানে গিয় দুই জনে কত শেফালি, মল্লিকা, টগর, জাতি ও যু’ই ফুলে নিজ নিজ কোচড় পূর্ণ করিত। হেমচন্দ্র যখন নাগাল পষ্টত না, তখন নিজ স্কন্ধের উপর বালিকাকে তুলিত ও বলিত, "গাছে আচ্ছ। করিয়া নাড়া দাও।” শুল শুদ পুষ্পে ধরিত্রীদেষ্ট আচ্ছন্ন হইত। কি শুভ্র ফুল কি শুভ্ৰ হৃদয় । কি শুন আনন্দ । যখন শোভা সাত বছরের কন্যা ছিল, তখন একদিন হেমচন্দ্র শোভার পিতৃভবনে হাসিতে হাসিতে উপস্থিত হইল । হেমচন্দ্রের মাথায় একটা সুবৃহৎ ধামা । শোভার ম, জিজ্ঞাসা করিল, “হেমচন্দ, তোমার মাথায় ও কি ?” হেমচন্দ্র সঙ্গাস্তে বলিল, “এতে জাতি, যুই, মল্লিকা, করবী, পদ্মকরবী, সকল রকমেরই ফল আছে । আর এর ভিতর আছে, পাহাড়ি গোলাপ, মস্ত প্রকাগু গোলাপ ।” চন্দ্র ধীরে ধীরে ধামাটি ভূমিতে নামাইল। একি ! সত্য সত্যই যে পাতাড়ি গোলাপ । ষ্টেম এক রশি জাতি সূৰ্গী শুল পুষ্পরাশি--তাতার মধ্য হইতে পাগড়ি গোলাপ গিল পিল করিয়া হাসিয়া বাহির হইয়া বলিল, “আমি শোভা নষ্ট – আমি পাহাড়ি গোলাপ ।” সকলে বালকবালিকার স্বচ্ছ আনন্দে আমোদ অনুভব করিয়া হাসিতে লাগিল । আর একদিন শোভা নদীতে স্নান করিতে গিয়াছিল । তথন শোভার বয়স ত্রয়োদশ । একট। রাক্ষসাকার বিকট কচ্ছপ শোভার পা ধরিয়াছিল। হেমচন্দ্র রাক্ষসটার সঠিত মল্লযুদ্ধ করিয়া মুচ্ছ গত শোভাকে উদ্ধার করিয়াছিল। সে কথা ও শোভার মনে পড়িল । ভইয়া হেমচন্দ তাঙ্গর বহিনী শোভাকে কি ভাল বাসে না ? অবশুই ভাল বাসে । হায় সরল ঈদয়ের নির্ভর । ছাদে বসিয়া শোভা তন্ময়চিত্তে হেমচন্দ্রের ভাবনা ভাবিতেছে, এমন সময়ে শোভার ক্ষুদ্র ভ্রাতা রামচন্দ্ৰ আসিয়া উপস্থিত হইল । রামচন্দ্র সাতবছরের বালক । তাতার ইস্তে একটি ময়না । সে ঈষৎ দুঃখিতস্বরে বলিল “বর্তিন শোভা, এ ময়না ভারি দুষ্ট ; ডাক্‌চে না, কথা ক’চ্ছে না । আমি এত বলচি, বল রামচন্দ্ৰঞ্জীকি জয়, কিছুতেই ব’লবে * " শোভা স্নেহে বলিল, “ভইয়া, ও পার্থীটার আর দোষ কি ? ও সমস্ত দিন তোমার কাছে একশো বুলি বলেছে— উৰও তো প্রাণ আছে। ওকে এখন খাচায় পুরে রাণ, ও প্রবাসী >ミ> আরাম করুক।” দুষ্ট রামচন্দ্র বলিল, “কেন পড়বে না, অবিশুি পড় বে। বল "রামচন্দ্ৰঞ্জীকি জয়’ ! ও যদি না পড়ে, কাটি দিয়ে ওকে বুলি বলাব। পড় ময়না, পড়।” শোভা ভয় দেখাইয়। বলিল, “জান চ্ছে। 2 ও রাণীজির ময়না ও সেদিন তোমার জালায় অস্তির ও ‘য়ে ময়না রাণীজির বাটীতে - যেখান থেকে এসেছিল —উড়ে গিয়েছিল । রাণীজি কোন বিপদ হ’য়েচে ভেবে ছুটে আমাদের দেখতে এলেন । এবার আর এসে হাসবেন না । এবার এসে নিশ্চিত তোমাকে বেঁধে নিয়ে যাবেন, আর কয়েদখানায় পুরে তোমাকে ফেলে রাগ্‌বেন।” বালক অঙ্গ মনে বলিল, “ ঐ শোন, বঙ্গিন, নীচে ফুলওয়ালী এসে বলচে চাই ফলের মালা চাই । আমি নীচে যাই । আমি একগাছি মালা নিজের গলায় দিব । আর একগাছি আমার ময়নার গলায় দিব।” এই বলিয়া চঞ্চল বালক চুটিয়া নীচের দিকে চলিল । মেমন তেমন লোকের ময়ম নয় । 기 어fTF7 | "চাই ফলের মালা, "চাই ফলের মালা" বলিতে বলিতে, ফুল ওয়ালী ছাদে যেখানে শোভাসুন্দরী ধ্যানমগ্ন ছিলেন; আসিয়া উপস্থিত হইল। "ওমা, বতিন শোভা, তুমি এখানে ? আমি তোমাকে নীচে জাতিপাতি ক’রে খুজেছি । শেষে রামচন্দ্রের মুখে শুনলাম তুমি ছাদে আছ । তাই তাড়াতাড়ি ওপরে এলাম । মাঙ্গ, কেমন চাদের আলে। ! কি সুন্দর স্তান : চাদ সুন্দর, তুমি সুন্দর, আর তোমার জন্তে এই যে কয়গাছি হরশিঙ্গারের ( শিউলীফুলের ) মালা এনেছি, এগুলি ও সুন্দর। এ মথুরানগরীতে তুষ্টজন তরশিঙ্গারের মালা ভাল বাসে, রাণীজি, আর আমার বর্তিন শোভা । বাড়ব । কেমন মানিয়েছে । জয় রাধা জীকি জয় ।” ফুল ওয়ালীর বয়স ১৯১০ হইবে । সে কুমারী ও সুন্দরী । কেমন সুন্দরা ? আ: তাঙ্গ ও কি বলিতে হইবে ? ত!ঙ্গকে দেখিলে বোধ হয়, যে দেশে লাল টুকটুকে ডালিম ও বেদান রাশি রাশি উৎপন্ন হয়, সেই দেশের কোনও রেন্দ্রকিরণপরিপক্ক ফলরাশিপূর্ণ নয়নাভিরাম উষ্ঠানে তাঙ্গর জন্ম হয় । তাতার উৎসবময়ী মুখ ঐীর প্রতি নেত্রপাত করিলেই বোধ হয় যে দেশে কমলালেবু ও সস্থরার পুষ্পসৌরভে দিগস্থ আমোদিত 亨阿、 rਸਨੇ )ח ס הראל, חדא"חדrf( י דיזיה"ל היחידה"