৪র্থ সংখ্যা । ]
- অভিমানটাই উটা রকমের । চাকরীর চেয়ে যে ব্যবসা বড়, এ কথা ন বুঝিলে ধনবৃদ্ধি হইবে কোথা হইতে ? ই রাজের এ কথা বুঝে, তাঙ্গাদের ধন ও বাড়িতেছে । হাইকোটের জজগিরি অপেক্ষ বড় বণিক হু ওয়া অনেক ভাল, এ কথা বুঝিতে পারিলে ত ধন বাড়িবে। বাঙ্গালীর সব আছে, কেবল এই বৃদ্ধি নাই, সেই জন্য বাঙ্গালী পাসি মাড়োধারাল সমকক্ষ হইতে পারিল না । আমাদের দেশে লোকে ত শুধু ধনী হইতে চায় না, সেই সঙ্গে সঙ্গে বুনিয়াদী বড় মান্য হইতে চায়, বংশমর্যাদার জন্ত অস্থির গুইয়৷ উঠে । বিলাতে যেমন বিঃার ও বকন বেচিয়া অনেকে লর্ড হয়, এ দেশে ও অনেকে টাকা পাইয়। রাজা রায় বাঙ্গুরীর জঙ্গ DBB BBBB BSBBu DDD BBBS BB SBBB BBB থাকে, বখশ ও থাকে, এ দেশে না থাকে টাকা, না থাকে : টাকা ও পরসাম কমে থাকে না, উপাধি ও থাকে ন। বিলাতে যেমন এই সকল নতন লর্ডকে । sc-protul ৷starts বলে আমাদের দেশে ও তেমনি তন রাজা রায় বারকে আ লট। ফলিয়। কলাগাছ বলে । কিন্তু আমাদেপ যেমন গোড়ায় গলদ বিলাতে তাঙ্গা নাই । এষ্ট পাতাঙ্গর দন্ত চামড়ার কারবাল করিয়া টাকা করে । ছেলেরা
সে কারবার বন্ধ করিয়৷ দিয়াছে । তাeাদের সাক্ষাতে সে কথা বলিলে তাতার বিরক্ত হয় । টাকাটা চিরকাল তাচ - দের বশে আছে, তাতারা দশ বিশ পুরুমে বড় মানুষ, এ কথ। বলিলে খুলী হয় । পীতাম্বরের বাপ ৫ টাকার সরকারী করিত বলিলে হয় ত সে লোকের আর মুখদর্শন করে না | পীতাম্বরের পুর্বপুরুষের সুন্দরবনের স্বাধীন রাজ ছিল, এমন কথা কেচ বলিলে তাঙ্গাকে পেট পুরিয়া সন্দেশ খাওয়ায় । বিলাতে টমস্ হল ওয়ে এক গুলি করিয়া বুহুং ধনী হইয়াগেল, তাতার পুল ও তাতাই করিতেছে, বসিয়া পৈত্রিক সম্পত্তি গাইতে চায় না । অধিক কথায় কাজ কি, স্বয়ং রথচাইল্ডের পুরুষানুক্রমে টেবিলে বসিয়া কেরানীর মত থাটিয়া আসিতেছে, ময়ূরের মত পেখম ধরিয়া, ঘুরিয়া নাচিয়া আপনাদিগকে কৃতার্থ মনে করে না । আমাদের দেশে জল বরং বাধা যায় কিন্তু ধন বাধা যায় ন। টাকাটা নে ভোজবাজীর মত আসে যায়। নন্দন প্রবাসী S 8 S সে মাস কয়েকের মধ্যেই মরিয়া গেল, বংসর দুই পরে বাড়ীর ইট কাঠ বিক্ৰী তই য়া গেল, যেমন সমভূমি ছিল আবার তেমনি হইল। আলাদিনের অট্টালিকাকে ইহার ধনবুদ্ধি হয় কখন, ন ইংরাজের এক পর আর উপকথা বলা যায় না । মখন পুরুমালু ক্রমে অর্থ উপাৰ্জ্জন রুদ্ধি হয় । একট। ঠেীস এমন কত পঞ্চম চলিতেছে । আমাদের মনের পৈত্রিক সম্পত্ত্বি হয় লোকে অপব্যয় করে না হয় তাঃাকে প্রাণপণে ঠাকড়িয়া ধরিয়া থাকে । যদি বাড়ে ত কেবল রূপণতার গুণে, উপার্জনের বলে নয় । তিন পুরুমে সমান ভাবে উপাৰ্জন করিতেছে এমন আমাদের দেশে ত কষ্ট দেখিতে পা ওয়া যায় না। কলিকাতায় লোকে বিশ্বাস করে না যে, কাতার ও ঘরে ধন অধিক দিন থাকে। যদি কেঃ গাড়ী ঘোড়ার অধিক ধূমধাম করে মনি লোকে বলে উঠার বাড়ী রাধা পড়িয়াছে । কথাট। যাহার বড় মানুষ্ঠা করে, তাঙ্গার খায়ের ই সে গঠন নাই । মিথ্যা ও নয় । অনেক পথ আবিষ্কার করে বটে কিন্তু উপার্জনের কোন উপায় করে না। কলসী ষ্টতে জল ঢালিতে দেখিয়া যদি লোকে অনুমান করে, যে, কলসী শৃঙ্গ হইবে, তাঙ্গ হইলে তাঙ্গাদিগকে দে সি দে ওয়া যায় না । কথাট। তাই আমি ভাবিয়। দেfপলাম। ধনবৃদ্ধির জন্য যে সকল গুণ থাক। আবশ্বক আমাদের তাঙ্গ কিছুই নাই, সুতরাং সে সম্ভাবনা ও নষ্ট । তপে অর্থনাশের নানা উপায়
- হ" রাজ পনীর। যেমন থাকে আমাদের দেশের ধনীর সেইরূপ থাকিতে শিপিতেছেন, অথচ এ জ্ঞান নাই যে ইংলt গুর কিল্প। আমেরিকার একটা বড় ধনী অামাদের সব ধনী গুলিকে কয় করিয়া পকেটে পুরিলে কেত টের ও পায় ন} । ইলেণ্ডে এক লক্ষ টাকায় একটা ঘোড়া বিক্রয় হয় ; আমাদের দেশে কয়টা পনীর ঘরে এক লক্ষ টাক আছে ? আপাত দৃষ্টিতে সাঙ্গ ধনবৃদ্ধি বোধ হয়, চার্টডেভিস সাহেবের চক্ষে যাত পড়িয়াছিল, তাত ধনক্ষয় মাত্র, বহুরূপীর ন্যায় নানা মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া চঞ্চলা লক্ষ্মী কত লোককে ছাড়িয়া যাইতেছেন ।
