পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NU G আমি যাত চাই, নারিব বুঝাতে, বুঝিতে নারিনু ভালো ! শুধু আনমনে, নিরজন রাতে দেখেছিনু ক্ষীণ আলো । অবসন্ন মন, পড়িয় রচিল কাজ । স্বাদশ আমার, ই’ল ন সাধন , চলিন, --বিদায় আজ । দেষ্ট ভেঙ্গে আসে, তা তাতের স্তর সত(-রত্ন-আবিষ্কার রঙ্গিল পড়িয়া ; দেখে গেল পুনি তা’র । শিল্প-কলা জ্ঞান- সাধনার, আর হ’ল নাকে অবসর ; দারিদ্র্য, হীনতা, দুঃখ ঘুচা’বার, দিন গেল অতঃপর । কবিতায় গাথি আদশ প্রাণের রাগিব স্বজন-মাঝে ; ঘুচিল সে সাধ । মা হ'ল গানের সফলত কোন কাজে । o শু পহ লয় ৮ ل কিছুই হ'ল মা ! হ'বে না কিছুষ্ট, ভগ্নতনু মন নিয়ে ! ভাবনাই সার ; কল্পনায় ছুই বিশ্বপ্রাণ প্রাণ দিয়ে । ঙ্গে বিশ্বদেবতা । ফলহীন সেবা বল, কি হে গ্ৰাহ হ’বে ? কে বুঝাবে তত্ত্ব ? শান্তি দিবে কেবা, কোথা, দেব ! যাই তবে ? যে আকাঙ্ক্ষা দিয়ে এ প্রাণ গঠিয়ে, ধরায় পাঠায়েছিলে , না জানি কেন বা, ভেঙ্গে সব দিয়ে, শূন্ত হাতে ডেকে নিলে । রঙ্গিল তেমন ;- , প্রবাসী | ১ম ভাগ । V জাপানপ্রবাসীর পত্র। --প্রবাসী" নাম দেখিবামাত্র প্রবাসীদের মনে কিছু না কিছু লিখিবার ইচ্ছা হইবার কথা । ইণ্ডিয়ান মেসেঞ্জার ও সঞ্জীবনীতে প্রবাসীর স্তচনা পাঠ করিবামাত্র কিছু লিপিতে বলবর্তী ইচ্ছার উদ্রেক তষ্টয়াছিল। এত দিন পরে আজ তাছাই কার্য্যে পরিণত হইতেছে । বাল্যকালে কবির কবিতা পাঠে “অসভ্য জাপান” এই যে এক ধারণা বদ্ধমূল হইয়াছিল, তাঙ্গ সহজে ত্যাগ করিতে পারিতেছি না। এখানে আসিবার পূৰ্ব্বের ত কোন কথাই নাই, এমন কি এখানে আসিবার পরেও এই ধারণা সুম্পষ্টভাবে বর্তমান ছিল । এখন পাঠকপাঠিকাদের অনেকেই হয় ত জাপানকে আর অসভ্য বলেন না ; কারণ সেই চীন-জাপানের যুদ্ধ অনেকেই ভূলেন নাই । আবার এই বৎসরের চীন উৎপাতে জাপান কিরূপ কার্যা করিয়াছে, তাত হয় ত এপন ও সংবাদপত্রে পাঠ করিতেছেন ; সৰ্ব্বশেষে সে দিন যে প্রবলপরাক্রান্ত রুসরাজ কেবলমাত্র ক্ষুদ্র জাপানের দৃঢ় প্রতিবাদে গুপ্তসন্ধিতে মাঞ্চ রিয়া প্রদেশ অধিকারাশা পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছেন, তাহা বোধ হয় সকলের মনে জাজ্বল্যমান রহিয়াছে । প্রথম প্রতিবাদে রুসরাজ ক্রুদ্ধ হইয় উত্তর পাঠাইলেন, “রুশিয়া-চীনে সন্ধি ; রুশিয়া তৃতীয় শক্তির সঙ্গে তর্ক করিতে রাজি নন।” জাপান কি করিলেন ? গোপনে যুদ্ধের সব আয়োজন করিতে প্রবৃত্ত হইয়া, অধিকতর দৃঢ় প্রতিবাদ রুশিয়ার নিকট প্রেরণ করিলেন । রুসরাজ আর উপেক্ষা করিতে সাহস করিলেন না ;—সকলেই বিদিত আছেন রুসরাজ গুপ্তসন্ধি ত্যাগ করিতে বাধা হইলেন । ইহা পড়িয়া অনেকে হয় ত মনে করিবেন, যে আমি পশুশক্তির পরিমাণ অনুসারে সভ্যতার তারতম্যের বিচার করি, কিন্তু আমি সে দলের লোক নহি । আমি স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে বলি যদ্বারা পৃথিবী নরশোণিতে কলঙ্কিত হয়, চীনেই হউক, আর দক্ষিণ আফ্রিকাতে বা মানিলাতেই হউক, তাহা সভ্যতার পরিচায়ক নহে। সস্তপ্ত হৃদয়ে বলিতে হয়, মানবজাতি এখনও সভ্যতার উচ্চসোপালে আরোহণ করে নাই। যত দিন পর্য্যস্ত |