পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> と、 তষ্টল না। কুবাক্যের ত কোন কথাই নাই । ভারতের বিষয় সকলেই বিদিত ; আদালত হইতে সামা মুটে মজুরের কথা পাঠকপাঠকাগণ ভালরূপ জ্ঞাত আছেন । কিন্তু শুনিয়া আশ্চর্যা হইবেন যে, এপানে এ পম স্তু “বাক।” অর্থাৎ বোক৷ feন্ন কাহাকে ও অন্য কোন গালি দিতে শুনি নাই । এমন কি নীচ লোকের বালক বালিকারা ও ‘বাক৷” ভিন্ন অন্য গালি দেয় না । কোন কোন সময়ে “নিকুরাশি" (hout।ble) “ঘুণর পা " বলিয়! গালি দিতে শুনিয়াছি । ভারতের অশ্লীল গালি, মাত ভদলোকে উচ্চারণ করিতে পারে না, শুনিলে কণে তাত দিতে হয়, তার সঙ্গে বাকা ও নিকুরাশি এই কি প্রাচীন সভাত আ র আমার এষ্ট বর্ণনা জাপানের এই কৃষ্ঠ গালির তুলন। কর । এই কি "অসভ্য জাপান" ? যে স্থানে পাশ্চাতা সভ্যতা তিলমা এও প্রবেশ করে নাই, তথাকার পক্ষে ও সন্তা ; ইঙ্গা পাশ্চাত্য সভ্যতার ফল না ; প্রাচীনকাল হইতেই জাপানের এই অবস্থা । একতা অতি প্রাচীন কাল ইষ্টতে এথানে বিদ্যমান, তাই জাপানীরা স্বাধীন । জাপানের স্যায় রাজভক্ত দেশ পুথিবীতে বোধ হয় দ্বিতীয় নাই । এখানকার লোকের রাজাকে দেবতার তায় জ্ঞান করে । তাঙ্গাদের বিশ্বাস আড়াই হাজার বংসর পূৰ্ব্বে সমাট জিস্বে স্বৰ্গ হইতে অবতরণ করিয়াছিলেন এবং সমস্ত জাপানী তাহারত সম্মান সম্বতি । এষ্ট আড়াই হাজার বংসর একই রাজবংশ রাজত্ব করিতেছে । এরূপ দষ্টান্ত ও পৃথিবীর কোন ইতিহাসে পাওয়া সাইলে কি ? সমৃদয জাপানী সমাটের পতাকার নীচে এক তাস্থত্রে পদ্ধ হইয়াছে : তাই ইতারা দেশের জন্য প্রাণ দিতে ভয় করে না, তাই ক্ষুদ জাপানকে প্রবল পরাক্রান্ত রুশিয়া ও ভয় করে । যে কোন জাতীয় উংসবের দিনে সঙ্গরে সঙ্করে গ্রামে গ্রামে পল্লীত পল্লীতে গৃহে গৃহে এক প্রান্ত হইতে অন্য প্রাস্ত পর্যান্ত জাতীয় পতাক, সূর্যা-পতাকা, উডউীয়মান দেখিতে পাইবে । ইহাতে কি একত। প্রকাশ পায় না ? কই ভারতে এইরূপ wশু ত কখনও দেখি নাই । কখনও এরূপ ছিল কি ? একতা ভিন্ন উন্নতির আশা কোথায় ২ সুসভা ইংরাজের সংশ্রাব থাকিয়া ও বাঙ্গালা দেশে কয়টা কোম্পানী বা বণিকৃগোষ্ঠী আছে ? দরিদ্র জাপানী একাকী বাণিজ্য করিতে প্রবাসী [ ১ম ভাগ । -> করিল। একতা তাহাদিগের স্বভাব, তাই গ্রামে গ্রামে কোম্পানী দেখিতে পাওয় যায় । অসভ্য জাতি এক দিনে পারে না । তাতাদের মধ্যে এই সব গুণ ছিল কি করিতে পার । দেপ, তোমাদের কত সুবিধা । শাস্তির জন্য কোন চিন্তা করিতে হুইবেক না, বিটিশরাজ সব করি তেছেন । প স্মর জন্য, সমাজের জন্য, অর্থের জন্য এক হও, দেশ, ভারতে ও উন্নতি হয় কি না । ভারতে অর্থের অভাব নাই ; ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিরক্ষার জন্য এক কোট টাকা আদায় হইলে, শিল্পশিক্ষার জন্য কয়েক কোটা আদায় হয় না ? একতা নাই, তাই ভারতে লক্ষ লক্ষ লোকে দুর্ভিক্ষে মৃত্যুমুখে পতিত হইতেছে। বেশী নয়,দশ লক্ষ টাকা ব্যয় করিয়া একশত যুবককে নানা শিল্পে শিক্ষিত করিয়া ব্যবসায়ে নিযুক্ত কর, দেপি দেশের অবস্থা ফিরে কি না । কেবল কথাতে হইবে না, কাগো দে থাইতে হইবে । তবে সভ্য বলিয়। গণ্য হইতে পারিবে । বাঙ্গালীরা খুব বকিতে পারে, খুব লম্বা লম্ব। তেজস্ব বক্ততা করিতে পারে, কিন্তু কাযে সৰ্ব্বপশ্চাতে । শিল্প বাণিজ্য ভিন্ন দেশের উন্নতির আশ! বুথ ; বেশ চাইনা, যদি দেশের ধন দেশে রাখিতে পার, তবেই যথেষ্ট ; যদি পশ্চিমাভিমদী অর্থনদীর প্রবল সোত রোধ করিতে পার, কৃতাৰ্থ মনে করিও । বাঙ্গালী পঞ্জাবীকে পর ভাবে, বোম্বেবাসী মাদাজীকে পরদেশবাসী বলিয়া মনে করিতেছে, এই ত ভারতের একতা ! এ অবস্থায় উন্নতি সুদূরপরাগত। স্বদেশপ্রেম নাই, লোকে সংকীর্ণতায় পূৰ্ণ ; আমার স্বার্থ ভিন্ন আর কিছুই জানি না। কই ভারতে ত অনেক রকমের পূর্তী তৈয়ারী হয়, কিন্তু কয়টি বাঙ্গালী বাবু দেশী ধুতি ব্যবহার করেন ? সাধারণ লোকের কথা ছাড়িয়া দিলাম-কয়জন শিক্ষিত লোক দেশীধুতি ব্যবহার করেন ? যদি উন্নতি চাও, স্বদেশপ্রেমিক হও । ডসনের জুতা না হইলে কি সাহেব সাজ চলে না ? ভারতে কি জুতাও তৈয়ারী হয় না ? বোঙ্গে যাও, দেখিতে পাইবে, অনেকেই দেশীত ভিন্ন বিলাতী