পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ماناوا فلا প্রবাসী । [ ४भ छांनं । ও সপ্তাহগণনা সকল চিন্তাশীল জাতির মধ্যেই বৰ্ত্তমান আছে । কিন্তু হিন্দুজাতি চিন্তাশীলতার পরাকাষ্ঠ দেখাইয়। আর ও দুইট “গ্রহ’ আবিস্কার করিয়াছিলেন । র্তাহার “নবগ্রহ’ নামধেয় একটা দেব পরিবারের স্মৃষ্টি করেন। ঐ দুইটা "গ্রহ’ আমাদের এক্ষণকার পরিচিত কোন গ্রহ নহে। তাছাদের নাম "রাহু” ও “কেতু" গণিতচর্চা হিন্দুজাতির পৈত্রিক সম্পত্তি ;—ঐ গণিত বলে তাহার “গ্রহ”দিগের গতির ক্রম নির্দেশ করিতে গিয়া দেখিতে পাইলেন যে, চন্দ্রের দমণপথ ও গতিশীল ! এক আবর্তনে চন্দ্র যে পথে চলিতেছে, তাহার পৌনঃপুনিক আবৰ্ত্তনে আর সে পথ আপন স্তানে স্থির থাকিতেছে না ; অর্থাং চন্দ্র নিয়ত একপথে চলিতেছে না। সন্দ্রের গতিপথে দুইটা বিশিষ্ট বিন্দু আছে, যেখানে পূর্ণিমা কিম্বা অমাবস্তাতে চন্দ্র অৰস্থিতি করিলেই “গ্রহণ’’ লাগে । পুণিমাতে গ্ৰহণ লাগিলে তাহ “চন্দ্রগ্রহণ” হয় এবং অমাবস্তাতে লাগিলে তাছা"গ্য গ্রহণ” হয়। কিন্তু উভয় গ্রহণই যে চন্দ্রের ভ্রমণপথে উক্ত বিশিষ্ট বিন্দুদয় দ্বারা সাধিত হয়, তাহ হিন্দু জ্যোতিষীর নিকট অজ্ঞাত রহিল না। আবার গণিতে গিয়া দেখা গেল যে, ঐ বিন্দুস্বয় নিয়ত চলিয়া যাইতেছে এবং চলিতে চলিতে কোন নিৰ্দ্দিষ্ট সময়ে একবার পৃথিবীকে আবৰ্ত্তন করিয়া আসিতেছে । ইহাদের এই গতি দেখিয়াই ইচ্ছাদিগকে দুইটা অদৃত “গ্রহ” নাম দেওয়া হইয়াছিল। পূর্ণিমা এবং অমাবস্তার দিনে ঐ অদৃগু গ্রহদ্বয় চন্দ্র কিম্বা স্বৰ্য্যের নিকটস্থ হইলেই তাহাকে “গ্রাস” করে ; ইহারই নাম “গ্রহণ"। আমরা এক্ষণে জানিয়াছি যে, ঐ বিন্দুস্বয় ক্ষেত্ৰজ্যামিতির কল্পিত বিন্দু মাত্র। ইহাদের কোন ভৌতিক অস্তিত্ব নাই । উপরোক্ত ছয়ট গ্রহের জ্ঞান বিশিষ্টীকৃত হইলে পর বহুকাল পর্যান্ত আর কোন নুতন গ্ৰহ আবিষ্কার হয় নাই । ১৭৮১ খৃষ্টাব্দে উইলিয়ম হর্শেল যন্ত্রসাহায্যে প্রথম গ্ৰহ আবিষ্কার করেন । এই আবিক্রিয়ার প্রণালী অনেকাংশে প্রাথমিক প্রণালীর স্থায় । কেবল মুক্ত নেত্রের দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তে, স্বতাঙ্ক দূরবীক্ষণ-নেত্রের প্রখর দৃষ্টিশক্তি প্রযুক্ত হইয়া, সাধারণ মুক্তদৃষ্টির অগোচর বস্তু দেখা গিয়াছে মাত্র। নতুবা এস্থলেও সেই প্রাথমিক टाँगारी 2भृङ श्हेब्राप्छ, अर्था९ अर्नक७णि ठोब्रकाब्र স্থিতি পরীক্ষা করিতে গিয়া দেখা গিয়াছিল, যে, একটা জ্যোতিষ্ক নিয়তই স্থান পরিবর্তন করিতেছে। অনেক পৰ্য্যবেক্ষণের পর ইঙ্গার গতি নিদিষ্ট হইলে ইহাকে গ্রহ বলিয়। জানা গেল । এই অাবিক্রিয়াকে অপর সকল পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী গ্রহ বিস্কারের স্তায় একটা “মা কস্মিক ঘটনা” ভিন্ন আর কিছুই বলা যায় না । এই নুতন গ্রহ আবিষ্কৃত হইবার পূৰ্ব্বে কহ কদাপি কল্পনা ও করেন নাই ষে, ঐ রূপ একটা গ্রহ থাকিতে পারে । এই অপ্রত্যাশিত আবিষ্কার প্রভূত মানসিক বলের পরিচায়ক বলিয়াই হশেলের আবিষ্কারের বিশেষত্ব ! Chamberss' Hand-book of Astronomy into গ্রন্থের প্রথম ভাগে ২৪৭ পৃষ্ঠার টকাতে লেখা আছে যে, ‘ব্রহ্মদেশে স্থধ্য, চন্দ্র, বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনি ভিন্ন, “রাচ” নামে একটা অষ্টম “অদৃগু” গ্রহের উল্লেখ পা ওয়া যায়। ব #ানন নামক জনৈক পণ্ডিত এই “রাহু’ কে হশেলাবিষ্কৃত নূতন গ্রহ মনে করিয়া হশেলের আবিষ্কারের গৌরব ক্ষুঃ করিতে প্রয়াস পাইয়াছেন " প্রবাসীর পাঠকগণ দেখিতে পাইতেছেন যে, ব্রহ্ম দেশস্থ “রtছ” হিন্দুশাস্ত্রের অঞ্চম গ্রহ ভিন্ন মার কিছুই নহে ; এৰং পূৰ্ব্বে রাহু ও কেতুর প্রসঙ্গে যtহ। বল হইয়াছে, তাহ হইতে জানিতে পারতেছেন যে, হশেলের নুতন গ্রহের সহিত রাহুর কি সম্বন্ধ থাকিতে পারে! চেম্বাসের টক যে সম্পূর্ণ ভ্ৰমাত্মক তাহ। আর পাঠকগণের বুঝিতে বাকী রহিল না । { ১২৯৯ সালের অগ্রহায়ণের ভারতীতে ‘গ্রহের নামকরণ শীর্ষক প্রবন্ধ লিখিবর বহু পূৰ্ব্বে আমি সঙ্কল্প করিয়ছিলাম, যে, হযুরোপে মাiবষ্কৃত যুরেনস ও নেপচুন গ্রহদ্বয়ের নাম বাঙ্গাণায় "রাহু” ও “কেতু’ রাধ। যাইবে, তাহা হইলে হিন্দুদিগের কাল্পনিক “নবগ্রহ’ অক্ষুণ্ণ থাকিবে । কিন্তু চেম্বাসের গ্রন্থের নুতন সংস্করণ প্রকাশিত হইলে উপরোক্ত টীক। পাঠ করিয়া আমাকে ঐ সঙ্কল্প পরিত্যাগ কfরতে হইয়াছিল ; কারণ তাছ। ন৷ হইলে অনেক ছিলুহ, ৰকাননের স্থায়, ব্রাহ ও কেতুকে প্রকৃতই বহুপূৰ্ব্বাৰিষ্কত যুরেনস এবং নেপচুন গ্রহদ্বন্ধ दणिब्रा निकांख कब्रिटष्ठ शक्लेिरठम मा !]