পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»१२ গোবিন্দ অধিকারী ব্রাহ্মণ এবং বৈষ্ণৰ ছিলেল। গোবিন্দ অধিকারী মহাশয়ের কালে, বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের “থাস যাত্রা’ আর ছিল না, এখন এ আর নাই । বাঙ্গাল সাহিত্যের দ্বিতীয় যুগে আমরা ছত্রিশ জন যাত্রাওয়ালার নাম পাইয়াছি । ইঙ্গাদের প্রত্যেকেই অল্প বা অধিক পরিমাণে বাঙ্গালা ভাষার উৎকর্ষ সাধন পক্ষে সহায়তা করিয়াছেন । এই ছত্রিশ জনের মধ্যে, সেখ ককাউল্লা, বিশ্বনাথ মাল, রামময় দাস, রাজনারায়ণ দাস, লোকনাথ রঞ্জক ( লোক ধোবা ), মহেশ ঠাকুর, কাস্তি তেলি, রঘু ( রোগ ) তামুলী প্রভৃতির নাম উল্লেখযোগ্য । সেখ বকাউল্লা বোকো সেথ' বলিয়া খ্যাত । ইনি মুসলমান ; ইহার পিতা মাতাও মুসলমান ছিলেন । ইনি মুসলমান হইয়াও বাঙ্গাল ভাধায় অসাধারণ অধিকার লাভ করিয়াছিলেন । ইহঁীর গীতাদি বঙ্গসাহিত্যের অন্যতম অলস্কার। কাস্তি তেলি, রোগে তামুলী, লোক ধোবা, বিশো মাল প্রভৃতির বাঙ্গালায় অধিকার এবং বঙ্গ সাহিত্যের সহিত সম্পর্ক কম ছিল না । লোকা ধোবার ~ কি সুন্দর, শুনিতে সুন্দর, বিদ্যাকুমার মনোহর । ছলে বলে কৌশলে, মালিনীয়ে ফাকি দিলে, উভয়ের মন অন্তঃশীলে, 4.३ नी श्रृं , ८शभन् । প্রভৃতি গীত, কবিতাশক্তির সুন্দর পরিচায়ক । বকাউল্লা সেখের— বললে কি হয় পুরুষ যেমন নারী তেমন নয় ॥ নfরীর গুণ শুন বলি, आभभि कालों भू७भालौ, স্বামীর বুকে পদ দিয়ে मू[म९३ कfद्रश्न ; । বললে কি হয় পুরুষ যেমন নাই তেমন নয়। অথবা “ৰলগে সীতে, এ দুরন্ত শীতে, এ বনে আসিতে’ ইত্যাদি গীত অতি মনোহর, অতি সুন্দর। এই সময়ে সুন্দর দাস নামে এক উড়িয়া কবির আবির্ভাব হইয়াছিল। এই উড়িষ্যাৰালী কায়স্থের বাঙ্গtলা ভাষায় অতি আশ্চৰ্য্য অধিকার ছিল। তাহার গীত ও কবিতা পৃথিবীর যে কোনও ভাষার অলঙ্কারস্বরূপ ৰলিয়া গৃহীত হইতে পারে। আমাদের “বাঙ্গালী ভাষ, ও বাঙ্গাল সাহিত্যের প্রবাসী । [ »भ छांभं । উৎপত্তি, উৎকর্ষ ও বিস্তৃতির ইতিহাস’ নামক বিপুলৰপু গ্রন্থে এ সকল গীতের আলোচনা করা যাইবে । ঐ গ্রন্থ এখনও সম্পূর্ণ হয় নাই । সুন্দরদাস উড়ের এক বাঙ্গালী বাদ্যকর ছিল ; তাহার নাম অক্ষয় ঘোষ । অক্ষয় জাতিতে গোয়াল, কিন্তু যেমন ‘‘বাজিয়ে” তেমনি “গাইয়ে” । কেবল তাহাই নহে, অক্ষয় ঘোষ অত্যন্ত সুব্যক্ত ছিলেন এবং তাহার বাঙ্গাল লিখিবার ক্ষমতাও বেশ ছিল । তাহার তৎকালীয় বাঙ্গালার একটু নমুনা দিতেছি— "এতাবৎ কালের উপদ্রবাবলীর বিবরণমাল উপযুক্ত কালে ব্রাহ্মণ বৃন্দের শ্রুতিগোচর না হক্টবায় কাকতালীয় স্থায়সূত্র মাফিক্ তদা, নাগুন গোস্বামীপুঞ্জ বে-কায়দা প্রাপ্তি নিবন্ধন গোলমালে হয় রাণ, পশfণ হই বায় বণিত বিষয় দুইটার বিশেষ ব্যাখ্য। একেবারেই অসম্ভবBB BBBS BBSBBS ggB BBBB BBBBBB BB BBB BBS বুদ্ধদের ক্ষণিক স্থিতি ও ক্ষণিক অস্তদ্ধানের স্থায় সে কথা ক্ষণে। মধ্যেই জাগ্রত হইয়। উঠিষার বছল কারণ দৃপ্তমান হইয়াছিল। অনস্ত গাকাশ ভাঙ্গিয় পড়ার পর আর কি বসুন্ধর সলিলে অপূর্ণ থাকিবে ?” ইত্যাদি ইত্যাদি । এই অক্ষয় ঘোষ সংস্কৃত শিক্ষা করিয়াছিলেন । ইহার নিবাস বদ্ধমান জেলায় ছিল । অক্ষয়ের অনেক কবিতা আমাদের নিকটে আছে । অক্ষয়ের “চিড়ে মুড়কী” কবিতা বাঙ্গাল ভাষায় এক নুতন জিনিষ । এই কবিতার অদ্ধাংশ পাইয়াছি, বাকি এখনও পাই নাই । সমগ্র ন৷ পাইলে ইহার প্রকাশে মজা নাই, এজন্ত তাহার নমুনা দিলাম না। ইন্দ্র বাবুর “পঞ্চানন্দ” মাসিক পত্র আকারে যখন প্রথম প্রকাশিত হয়, তখন উহাতে “মুড়ি’ নামে এক কবিতা প্রকাশিত হইয়াছিল। ঐ কবিতার পদবিস্তাসে এবং সৌন্দৰ্য্য ও মাধুর্য্যে মোহিত হইয়। মুরসিক ইন্দ্রনাথ বাবু, লেখককে “ঈশ্বর গুপ্তের জীবন্ত শিষ্ণু” বলিয়া পরিচয় দিয়াছিলেন । ঐ মুড়ির কবিতার সুলেখকের সহায়তায় অক্ষয় ঘোষের অনেক কবিতা আমর। সংগ্ৰহ করিতে সমর্থ হইয়াছি । চি ড়ে মুড়কীর পদ্য মুড়ীর পদ্য হইতে স্বতন্ত্র হইলেও মুড়ীর পদ্যকে উহার একটু নমুনা স্বরূপ বলা যাইতে পারে । এই অসাধারণ মুড়ীর কবিতার ভূমিকা এইরূপ ধন্য ধন্য মুড়ি তুমি ! আসি এই বঙ্গভূমি, ठेकाँब्रिकू दत्रयांमौ** { কাঙ্গাল বিষয়ী যত, সদা তব অনুগত, কছু হব তাপসের মন ।