পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»ፃb” হয়। উপরি উক্ত প্রদর্শনীর কিছুকাল পরেই কুমারী কার্পেণ্টার ভারত দমণে কলিকাতায় আসেন। তাহার সহিত প্যারীচাঁদ, প্রভৃতি লোকের, এতদ্দেশায় গীশিক্ষা সম্বন্ধে বিশেষ আলোচনা হইয়াছিল ; এবং কুমারী কাপেণ্টার ও এ বিষয়ে বিশেষ সহানুভূতি প্রকাশ করিয়াছিলেন । বিদ্যাসাগর ও প্যারীচাদ প্রভৃতির সাহায্যে, বেথুন সাহেব বেথুন স্কুল স্থাপন করেন । তৎকালে কন্যাকে স্কুলে দে ওয়া দোধের মধ্যে পরিগণিত হইত এবং কোনও ভদ্রলোক কন্যাকে স্কুলে দিতে সাহস ও করিতেন না। প্যারীচাদের শিক্ষ। কেবল কেতাবী শিক্ষা নয় । তিনি স্বদেশীয়দিগকে সদৃষ্টা স্তু দেখাইবার জন্য, আপন কন্যাকে অবলীলাক্রমে সৰ্ব্ব প্রথম স্কুলে ভৰ্ত্তি করিয়াছিলেন, + এবং সে জন্য তিনি দেশের লোকের ধন্যবাদাহ হু ইয়াছিলেন । তিনি বেথুন সোসাইটার প্রথম সম্পাদক হইয়াছিলেন । ছোটলাট স্তার উইলিয়ম গ্রে সাহেবের সময়, প্যারীচাদের ও কলিকাতা পাবলিক লাইব্রেরী উভয়েরই অভুদয় কাল । ছোটলাট গ্রে সাহেব, ড্যামপিয়ার, ওগিলবি, ডাঃ ডফ, হেনরী গুডৗব, রামগোপাল ঘোষ প্রভূতি মহোদরে। বেল ৪টার পর লাইব্রেরীতে মিলিত হইয়া ধৰ্ম্মনীতি, রাজনীতি ও সমাজনীতির আলোচনা করিতেন । প্যারীচাদ লাইব্রেরীতে থাকার জন্য সকল প্রকার পুস্তক আয়ত্ত্বাধীন করিয়াছিলেন। এ কারণ সংবাদপত্র বা পুস্তক লিখিতে হইলে সকলেই তাহার নিকট যাইতেন এবং সকলেই ঠাহাকে "সজীব লাইব্রেরী ও সঞ্জীব মনোবিজ্ঞান’ আখ্যা দান করিয়াছিলেন । ক্রমশঃ স্যার উইলিয়ম গ্রের সহিত ঘনিষ্ঠত হওয়াতে একদিন তিনি প্যারীচাদের দুই পুত্র অমৃতলাল ও চুণিলালকে দেখিয়া ঠান্থাকে বলিয়াছিলেন, “প্যারীচাদ, তুমি যদি বল, আমি ইহাদিগকে কলিকাতার সন্নিকটে ডেপুটী মজিষ্ট্রেট করিতে পারি।” রামগোপাল ঘোষ পাশেই बनिम्नाश्प्णिन । डिनि प्लाङ्घाश्म्ना उब्रि अवाकू श्हेब्र। কহিয়াছিলেন, “কি প্যারী ! তোমার ছেলেদের শেষে • चाभत्व ७३क्र° समिब्राष्टि ग, बगैं भक्रममाझ्न ॐ#tशश्हां६ड्रद्र 4क कछाई वधून पूजब्र अषम हाजी । मष्णामक । প্রবাসী। [ ১ম ভাগ । কোম্পানির চাকুরীতে ঢোকাইবে ?” প্যারীচাঁদ স্বভা दङझे दिनग्नौ ; ८नछछ ७हे कथं थदए* किछूम* अबনত মস্তকে থাকিয়। লাট সাহেবের দিকে তাকাইয়া বলিয়াছিলেন, “আমি আপনার গবর্ণমেণ্টকে আমার পুত্রদের জন্ত ভারগ্রস্ত করিতে ইচ্ছা করি না ।” মনুষ্য অদৃষ্টের দাস ! অদ্য র্তাহারই কনিষ্ঠ পুত্র নগেন্দ্রলাল সব ডেপুটী মজিষ্ট্রেটের কৰ্ম্ম করিতেছেন ! আর একদিন ছোটলাট গ্রে সাহেব আসিয়া প্যারীচাদকে তাহার কাউন্সিলের মেম্বর হইবার জন্য জিদ করায়, তাহার কাপ এড়াইতে ন পারিয়। অগত্য স্বীকার করিয়াছিলেন। তিনি ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দের জুন মাস হইতে ১৮৭০ খৃষ্টাব্দের জুন মাস পর্য্যন্ত উক্ত বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্য ছিলেন । প্যারীচাদের প্রাণ অতি কোমল ছিল । পশুদের প্রতি কলিকাতার গাড়োয়ানদের অত্যচার দেখিয় তাহার প্রাণ কাদিয়া উঠিয়াছিল । তিনি পশুক্লেশনিবারণে বদ্ধপরিকর হইয়া “পশুক্লেশনি বারিণী’ বিল উক্ত সভায় আইনে পরিণত করান। তাছার যত্নে ও অধ্যবসায়ে ও কোলস্ ওয়ার্থ গ্রান্টের আনুকূল্যে কলিকাত সহরে পশুক্লেশানবারিণী সভা স্থাপিত হয় ; এবং তাহার বন্ধু গ্রান্টের পর তিনি অনেক দিন ঐ সভার সেক্রেটরী ছিলেন । তিনি শেষ জীবনে তাহার এই বন্ধুর আদশ জীবনচরিত লেখেন । তিনি ব্যবস্থাপক সভার সভোর পদ গ্রহণের সময় লাইব্রেরীয়ানের (Librarian) পদত্যাগ করেন, কিন্তু জীবনের শেষ দিন পয্যন্ত অবৈতনিক সম্পাদকের কৰ্ম্ম করিয়া গিয়াছেন । তিনি শেষ জীবনে লাইব্রেরীতে তেমন যাইতে পারিতেন না। তাহার যা ওয়া কম হওয়াতে, বড় একটা কোন বিদ্বান লোক লাইব্রেরীতে আসিতেন না। লর্ড লিটন একবার লাইব্রেরী পরিদশন কালে এই কথা শুনিয়া বলিয়াছিলেন, “প্যারীচাঁদ একটা জীবস্ত লাইব্রেরী ; তিনি আর তেমন আসিতে পারেন না ; কাজেই আর কেহ তেমন আসেন না ।” ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দে বিখ্যাত ওড়িশা দুর্ভিক্ষে পীড়িত লোকের কষ্টে কাতর হইয়া, প্যারীচাদ কলিকাতায় নিজ ভবনে অন্নছত্র খুলিয়াছিলেন। পোর্ট ক্যানিং কোম্পানির শেয়ারে প্যারীচাঙ্গের