পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । ] তেলেগু পাঠশালায় তেলেগু ৰণপরিচয় শেষ হইতে না হইতে ইংরাজি বর্ণপরিচয় আরম্ভ হয় । শুনিয়াছি তেলেগু সাহিত্য নাকি বিলক্ষণ পুষ্ট । অবশু তাহা প্রাচীন কালের । এ কালে কে কোথায় নিজের মাতৃভাষার চর্চা করিতেছে ? দূর প্রদেশে প্রবাসী বাঙ্গালী তাহার ধুতী চাদর ছাড়ে নাই। কিন্তু তেলেগুদিগের মাথায় কে এমন উৎকৃষ্ট বেশের লোভ কাইয়া দিল ? তেলেগুদিগের মাথা খোলা রাখাই রীতি ; এ বিষয়ে তেলেগু ওড়িয়া বাঙ্গালী এক * । কিন্তু আধুনিক সভ্যতার ঘোরে মাথায় ফেণ্টক্যাপ প্রচুর পরিতেছে, পাগ ডাটা বোধ করি জাতীয়তা রক্ষার নূতন উদ্যম, কেবল ইয়ঙ্গ তেলেগুর সভ্য হইবার অনুকরণ-প্রয়াস । জাতীয়ত, প্রাচীনতা রক্ষা করিতে রমণীরাই সমাজের চিরসহচরী । তেলেগুদিগের মধ্যে জেনান। নাই বটে, কিন্তু রমণীগণ প্রাচীন বেশভূষা ত্যাগ করেন নাই । জেনানায় অভ্যস্ত লোকের নিকট অজেনানা দেশের মুক্তভাবে স্বচ্ছন্দমনে নিঃসঙ্কোচে বিচরণশীলা গৃহলক্ষ্মীগণ প্রথম প্রথম বিস্ময় উৎপাদন করেন । বাঙ্গালীর মেয়ে বাড়ীর বাহির হইলেই জড়পুটুলী। কি যেন বিষম বিপদে পড়েন, কে যেন দেখিতে গাইল, কে যেন তাকাইয়া আছে, এই ভাবনাতেই শশব্যস্ত। একদিকে ত্রীড়া, অন্যদিকে পদস্খলনের, সমুচিত বস্ত্রাভাবের আশঙ্কা তাহদের মুখে স্পষ্ট দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু তাহারা যদি মরাঠী বা তেলেগু রমণীর স্বচ্ছন্দতা, নিৰ্ভয়ে গমনাগমন, মুখের ভদ্রোচিত গাম্ভীৰ্য্য দেখিতেন, তাহা হইলে অনেক শিখিতে পারিতেন। বুঝিতেন, একদিকে যেমন বাঙ্গলার নূতন স্মৃষ্টি নিউ উল্লোমানের মাধুর্য্যহীনতা, বোধ হয় লজ্জাহীনতাও, নাই ; অন্ত দিকে বালিকার সুবর্ণপুষ্পশোভিত লম্বিত বেণী, এবং যুবতী ও প্রৌঢ়ার বামনিবন্ধকৰরীর মধ্যে চাঞ্চল্যহীন গাম্ভীৰ্য্যপূর্ণ মুখও সৌন্দর্য্যবিকাশে কোন অংশে হীন নহে। তেলেগুদিগের মধ্যে ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়াদি চতুর্বর্ণ দেহের বর্ণ দেখিয়া প্রায় চিলিতে পারা যায়। গৌরবর্ণ ব্যক্তি প্রবাসী।

  • এ বিষয়ে মতভেদ আছে। কেহ কেহ বলেন, ভদ্র তেলেগু মহাब्रtझेत्र यङ्कडिब्र बखएक छक्यैव षांत्रण 4क थकांब्र नबांठनौ यथा ।

وسمالا भारखहे बांक्रन, भूम ७ ४दशवर्ण मां८जहे कृकवर्म । क्रजिब्र श्राटझ कि ना, जानि ना ; ५कखन७ ८मथि नांहे । ८शोब्रदर्म দেখিয়া ব্রাহ্মণ ঠাওরাইতে প্রায় ভুল হয় না । ব্রাহ্মণের এক প্রকার তিলক কাটিয় থাকেন, তাহ দেখিয়া ব্রাহ্মণ বলিতে সংশয় থাকে না । তেলেগু ব্ৰাহ্মণ দেখিতে সুপুরুষ, দেহও বলিষ্ঠ । ব্রাহ্মণ রমণী অবগু গৌরী, কিন্তু কিঞ্চিং লাবণ্যহীন ৰোধ হইল । বোধ হয় তেলেগু রমণী অপেক্ষ পুরুষ মুত্র । গোদাবরী হইতে প্রত্যাগমনকালে আমরা অল্পকালে বিখ্যাত ওয়ালতেরে আসিলাম । এই স্থানটি স্বাস্থ্যকর বলিয়। খ্যাতি হইয়াছে । তার উপর, সমুদ্রকুলে স্থাপিত বলিয়া লোকের দৃষ্টি সহজে পড়িয়াছে। ওয়ালতের কিন্তু দুইট—একটি পুরাতন, অপরটি নূতন, উভয়ের মধ্যে ব্যবধান প্রায় দুই মাইল । তেমনই নুতন ওয়ালতের ও বিশাখাপত্তনের মধ্যে ব্যবধান প্রায় দুই মাইল । তিনটিই সমুদ্রকুলে ; মধ্যে নুতন ওয়ালতের, দক্ষিণে বিশাখাপত্তন, উত্তরে পুরাতন ওয়ালতের । বিশাখাপত্তন শুদ্ধ নাম, তেলেগু ভাষায় বিশাখাপত্তনম্। ইংরাজিতে হইয়া গিয়াছে ভিজিগাপাটম ; সংক্ষেপে সাহেবের ভাইজাগে দাড় করাইয়াছেন । বিশাখাপত্তন জেল ; সেখানে জজ মজিষ্ট্রেট প্রভৃতির মাফিস আছে। কিন্তু সাহেবের প্রায় সকলেই নূতন ওয়ালতেরে বাস করেন । এইরূপে সাহেৰী পাড়া হইতে নুতন ওয়ালতেরের জন্ম হইয়াছে। সাহেব ভিন্ন অন্ত কোন লোকের বাস সেখানে নাই । তাহাদের ক্লব সেখানে । এই ক্লবের ম্যানেজার একজন বাঙ্গালী । তাহারই সাহায্যে নূতন ওয়ালতেরে আমরা একটি বেশ বাড়ী পাইয়াছিলাম। না পাইলে বড় কষ্টে পড়িতে হইত। বস্বতঃ সেখানে সুবিধামত বাড়ী পাওয়া ছঘট । পুরাতন ওয়ালতেরে বাড়ী পাওয়া যায়। উক্ত বাঙ্গালী ভদ্র লোকটির কথায় তেলেগু দেশে প্রবাসী বাঙ্গালীর কথা মনে হইতেছে। দেখিলাম এমন প্রসিদ্ধ স্থান নাই, যেখানে বাঙ্গালী নাই। বরমপুরে একজন বাঙ্গালী উকীল, তথায় বেশ মাস্তগণ্য । রাজামহেঙ্গীতে একজন বাঙ্গালী কবিরাজি করিতেছেন,