পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بوساد . প্রবালী । [ ৫ম সংখ্যা । তাহার দুই একজন অrীয় সেখানে কণ্টাক্টরী করেন। সেখানে স্কুলের আসিষ্টাণ্ট ইনস্পেক্টর একজন বাঙ্গালী । বিশাখাপত্তনে ঈষ্টকোষ্ট টেডিং কোম্পানী নামে বাঙ্গালীর দোকান, ওয়ালতেরে ক্লবের ম্যানেজার বাঙ্গালী ছাড়া আরও কয়েকজন আছেন । দক্ষিণে বেজ ওয়াডায় নাকি একটি ছোটখাট বাঙ্গালী পাড়া হইয়াছে । তেলেগুর বাঙ্গালীfদগকে সবিশেষ শ্রদ্ধা করে । শিক্ষিত তেলেগুরা মনে করে, বাঙ্গালী এক অদ্বিতীয় জাতি । গোদাবরীতে কোন তেলেগু ভদ্র লোককে বাঙ্গালীর প্রতি অতিরিক্ত শ্রদ্ধাবান দেখিলাম। পাছে এই শ্রদ্ধা গিয়া শেষে ঘৃণা মাসে, তাই তাহাকে একটু সতর্ক করিয়া দেওয়া আবশ্যক মনে হইল । তিনি দুই চারিজন বাঙ্গালীকে জানেন বা কাগজে র্তাহীদের সুনাম পাঠ করিয়াছেন । কিন্তু বাঙ্গালীর মধ্যে লিলক্ষণ কাপুরুষ, দুরাচার আছে, সকলেই সাধুচরিত্র ও দেশানুরাগী নহে। হায়, এই শেষোক্ত কথা প্রবাসী কয়েকজন বাঙ্গালীর সম্বন্ধে শুনিতে পাইলাম। র্তাহারা নিজেদের এমন অযাচিত মানসন্ত্রম হেলায় হারাইয়াছেন যে, সঙ্গে সঙ্গে বাঙ্গালী জাতির নামে কলঙ্ক আনিয়াছেন । সুরেন্দ্র বাবুর প্রশংসা গোদাবরীতে যে যুবা কোরাণীর নিকট শুনি, না জানি কোন কোন প্রবাসী বাঙ্গালীর কুৎসিৎ চরিত্র শুনিলে তিনি কত মৰ্ম্মাহত হইবেন । প্রবাসী বাঙ্গালীর কত দায়িত্ব আছে, যিনি তাহ সম্যক হৃদয়ঙ্গম করিতে অক্ষম, তিনি যেন কোথা ও দীর্ঘকাল প্রবাসে না কাটান । সমাজবন্ধনের বাহিরে গিয়া যথেচ্ছাচারের প্রলোভন ত্যাগ করা সকলের সাধ্য নয়, কিন্তু তা বলিয়া নিজের মান সন্ত্রম থেtয়াইয় ফল কি ? তেলেগুদিগের প্রতি কোন বাঙ্গালীর ঘৃণার ভাব দেখিলাম । নিজের উন্নতির পথ রোধ করিতেছেন, তাহা বুঝিয়া দেখ। কৰ্ত্তব্য । বস্তু তঃ তেলেগুরা অতিশয় বিনয়ী । রেল ষ্টেসনের কেরাণী ও ষ্টেসন মাষ্টার হইতে আফিসের ছোট বড় কৰ্ম্মচারী, স্বাধীন জমিদার, উকীল—যাহারই সহিত কথা কহিয়াছি, তাহারই বিনয়নম্রতায় পরিতুষ্ট হইয়াছি। অবশু ইংরাজীতে কথাবাৰ্ত্ত হইয়াছে, কিন্তু প্রায় প্রত্যেক কথাতেই Sir শব্দ ব্যবহার করিতে শুনিয়াছি । ইহা দ্বারা তিনি যে . বাঙ্গালী অশিষ্টাচার করিয়া মনে করে, Spirit দেখাইলাম, কিন্তু শিষ্টাচারের সহিত Spirit শোভা পায়, অন্তত্র মুখস্ত লাঠ্যৌষধম মনে আসে । কি কথা বলিতে বলিতে কি কথায় আসিয়া পড়িয়াছি। বলিতেছিলাম, ওয়ালতের স্থানটি মনোরম ৷ সহরের জনতা কোলাহল দুর্গন্ধ নাই, সমুদ্রের বাতাসে গ্রীষ্মকালের মশা পর্য্যস্ত তিষ্ঠিতে পারে না । পাহাড় জঙ্গল স্থানে স্থানে প্রকৃতির মনোহারী ভাব জাগাইয়ু৷ তুলে । সহরের ভিতরে প্রকৃতির দুইটি গম্ভীর বিষয়ের অভাব ঘটে । সেখানে অকুল সমুদ্র বা উচ্চ পাহাড় থাকে না । পুরীতে সমুদ্র অাছে বটে, কিন্তু পাহাড়ের গায়ে সমুদ্র নাই । আছে কেবল বালুকা। পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্র একাধারে দেখিতে হইলে ওয়ালতেরে যাইতে হয় । গ্রীষ্ম নাই, কটকে যখন ১০৪° ফা গরম বাতাস ছুটিতে থাকে, তখন ওয়ালতেরে ৯৪° ফা। ওয়ালতের জায়গা বেশ, কিন্তু সেই জলকষ্ট । মাইল দুই মাইল দূরস্থিত সমুদ্রের নিকটের কুয়া হইতে ব্যবহারের সমস্ত জল সংগ্ৰহ করিতে হয়। তার উপর ওয়ালতেরে হাট বাজার নাই, দুই মাইল দূরে বিশাখাপত্তনে না গেলে খাদ্যসামগ্ৰী কিছুই পাওয়া যায় না। খাদ্যসামগ্ৰী যে আমাদের পছন্দসই, তাহাও বলা যায় না। একটা কথা বলিতে ভুলিয়াছি। তেলেগু শূদ্র ভিন্ন ব্রাহ্মণ বৈশ্যের মৎস্য মাংস ভোজন করেন না। অনেকে ভাতের পরিবর্তে এক বেলা ‘মাণ্ডিয়ার” জাউ খাইয় থাকেন । বিশাখাপত্তনের বিকৃত নাম ভাইজাগ, সংক্ষিপ্ত বলিয়া ঐ নাম চলিত বলিতে হইবে । পূৰ্ব্বে সমূদ্রতটে নাকি বিশাখেশ্বরীর মন্দির ছিল, এখন তাহ রত্নাকর নিজের গর্ভে টানিয়া লইয়াছেন । বিশাখাদেবীর নিমিত্ত বিশাখাপত্তন নামের উৎপত্তি । ওয়ালতের হইতে সমুদ্রতট দিয়া বিশাখাপত্তনে যাইতে পাকা রাস্ত আছে, বামে সমুদ্রের তরঙ্গভঙ্গ, দক্ষিণে তাল বন ও রোপিত নারিকেল গাছ । বস্তুতঃ দক্ষিণ দেশটাকে এক এক সময় তালগাছের দেশ বলিয়। মনে হয় । তালগাছ গুলির জন্ম বৃথা হয় নাই, তাহাদের মুণ্ডিত মস্তক দেখিলেই বোধ হয়, তেলেগুর शां८छ्ब्र यcथांनबूख बावशंब्र कब्रिब्रl थt८क ।