পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংখ্যা । ] কোথা দিয়ে সেথা প্রবেশিতে পাই সন্ধান লব বুঝিয়া ! ঘরে ঘরে আছে পরমায়ীর । তারে আমি ফিরি খুজিয়া । রঙ্গির রহিয়া নব বসন্তে ফুল সুগন্ধ গগনে কেঁদে ফিরে তিয়া মিলন বিগন মিলনের শুভ লগনে । আপনার যারা আছে চারিভিতে পারিনি তাদের আপনা করিতে, তালা নিশি দিসি জণ গাইছে চিতে বিরহ-বেদন সঘনে । পাশে আছে যারা তাদেরি হারায়ে ফিরে প্রাণ সারা গগনে । তৃণে পুলকিত যে মাটির ধর লুটায় আমার সামনে – সে আমারে ডাকে এমন করিয়া কেন যে, কব তা’ কেমনে । মনে হয় যেন সে ধুলির তলে যুগে যুগে আমি ছিনু তৃণে জলে, সে দুয়ার খুলি কবে কোন ছলে বাহির হয়েছি ভ্রমণে । সেই মূক মাটি মোর মুখ চেয়ে লুটায় আমার সামনে । নিশার আকাশ কেমন করিয়া তাকায় আমার পানে সে ! লক্ষ যোজন দূরের তারকা মোর নাম যেন জানে সে ! যে ভাষায় তারা করে কানাকানি সাধ্য কি আর মনে তাহা আনি; চিরদিবসের ভুলে-যাওয়া ৰাণী কোন কথা মনে আনে সে ! অনাদি উবার বন্ধ, আমার তাকায় আমার পানে সে ! প্রবাসী এ সাত-মহলা ভবনে আমার, চির জনমের ভিটাতে স্থলে জলে আমি হাজার বাধনে রাধ। যে গিঠাতে গিঠাতে । তবু হায় ভুলে যাই বারে বারে দূরে এসে ঘর চাই বাধিবারে, আপনার রাপা ঘরেতে কি পারে ঘরের বাসন মিটাতে ? প্রবাসীর বেশে কেন ফিরি হায় চির জনমের ভিটাতে ? যদি চিনি, যদি জানিবারে পাই, ধূলারে ও মানি আপন । ছোট বড় হীন সবার মাঝারে কfর চিত্ত্বের স্থাপনা ! হই যদি মাটি, তই যদি জল, হই যদি তৃণ, কষ্ট ফুল ফল, জীব সাথে যদি ফিরি ধরাতল কিছুতেই নাই ভাবনা ! যেথা যাবে সেগ। অসীম বাধনে অস্তবিষ্ঠান আপিন । বিশাল বিশ্বে চারিদিক হতে প্রতি কণা মোরে টানিছে ! আমার দুয়ারে নিখিল জগৎ শত কোটি কর হানিছে ! ওরে মাটি, তুই আমারে কি চাস ? মোর তরে জল দু’হাত বাড়াস্ ? নিঃশ্বাসে বুকে পশিয়। বাতাস চির আহবান আনিছে ! পর ভাবি যারে তারা বারে বারে সবাই আমেের টানিছে ! আছে আছে প্রেম ধূলায় ধূলায়, আনন্দ আছে নিখিলে ! মিথ্যায় ঘেরে, ছোট কণাটিরে তুচ্ছ করিয়া দেখিলে !