পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२b” প্রবাসী । [ ১ম ভাগ । কাল, কিন্তু সুগঠিত ও সুন্দর মুখাবয়ববিশিষ্ট” । তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ ইতিপূৰ্ব্বে-দৃষ্ট কুটারগুলি অপেক্ষ বড় একটি পর আরও অনেক গুলি নেীক ঠাহীদের নিকট আসিয়াছিল । তাহার একটিতে মসলিনের পোষাকপর একটি দেশ লোক ছিলেন । তিনি বেশ ইংরাজী বলিতে পারিতেন । তিনি বলিলেন, তিনি একজন সরকার’, কাজের অনুসন্ধানে আtসিয়াছেন ; কেহ যদি বাধিক শতকরা লার টাকা স্বদে টাকা ধার চান, ত তিনি দিতে পারেন । * আমরা স্থন ঠাহীর সঙ্গে কথা কহিতেছিলাম, তখন একটা মুরগী জলে পড়িয়া গেল। তাঙ্গার নৌকার মাঝির কেহই মুরগীটাকে জল হইতে তুলিয়া দিতে রাজী হইল না ; কিন্তু মুরগাঁট ছুইতে সরকারের সেরূপ কোন আপত্তি দেখা গেল ন । তিনি তাঙ্গ তুলিয়া দিলেন ।” “গোল আলু বঙ্গদেশে ক্রমশঃ প্রচুর পরিমাণে জন্মিতেড়ে ও পা ওয়া যাইতেছে । অন্য ল্ল মেরূপ, তেমনি বাঙ্গল দেশে ও লোকে প্রথমতঃ গোল আলু ভালবাসিত मt ।। " শয়ের নিকট কলিকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজে ইংরাজী পড়িতাম, তখন ঠাহার মুখে শুনিয়াছিলাম, মে, লোকে প্রথম প্রথম গোল আলুকে পোটেটোজ, বলিত, তাহার পর বিলাতী আলু, তাহার পর গোল আলু এবং সব্বশেষে মালু। তিনি আমাদিগকে বলিয়াছিলেন, প্রথম প্রথম নিষ্ঠাবান হিন্দুর গোল আলু খাইতেন না, দেবতার ভোগে ৪ উহা দেওয়া হক্টত না । “আজি পাতে আমাদের জাহাজের অধ্যক্ষ কয়েকট। সামান্ত জিনিস কিনিবার জন্য নিকটস্থ গ্রামের হাটে গিয়াছিলেন । কয়েক পয়সায় তাহার প্রয়োজনীয় জিনিষ কিনিয়। তিনি সমগ্র হাটের মধ্যে এক টাকার ভাঙ্গানি পান নাই । ইহা হইতেই দেশের দারিদ্র্য, এবং জিনিষ গুলি কিরূপ সস্তা, বুঝা যাইবে ।” “আমার পত্নী তাছাদের । একটি গ্রামের অধিবাসীদের } একটি বাড়ী দেখিতে উংসুক ছিলেন । কিন্তু তাহার। তাছাকে বাড়ীর ভিতর যাইতে দিতে অনিচ্ছ। প্রকাশ করিল। পরিশেষে এক বৃদ্ধ, বোধ হয় আমদিগকে তাহার নিজের দ্বার হইতে তাড়াইবার জন্য, আমাদিগকে একটা ভাল বাড়ী দেখাইবে বলিল । আমরা তাহার আমরা যখন e প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারী মহা বাড়ীর নিকট গেলাম। কিন্তু তাহার উঠানে ঢুকিতে না চকিতেই লোকেরা আসিয়া আমাদিগকে নিৰ্ব্বন্ধসহ কারে অগ্রসর হক্টতে নিষেধ করিল ” এখন যদি বিষপপত্নী কোন বাঙ্গালীর অন্তঃপুর দেখিতে চান, তাহাহইলে তিনি বোধ হয় কোন আপত্তি করিবেন না ! ফোর্ট উইলিয়ম দুর্গের মধ্যে হীবরের বাসভবন নিদিষ্ট হইয়াছিল । বাটীর আসবাব ও পরিচারকবর্গের বৰ্ণনার মধ্যে দুটি বিষয় উল্লেখযোগ্য । কলিকাতায় তখন ৪ কেরোসীন তৈল বা বহৃত হইতে আরম্ভ হয় নাই । বিষপের গৃহে নারিকেল তৈল পুড়িত। পরিচারকগণের মধ্যে ‘সরকারে’র সম্বন্ধে তিনি লিখিয়াছেন, “লোকটি সুন্দর ও দীর্ঘাকতি, শ্বেত মসলিন পরিচ্ছদপরিহিত । সে বেশ ইংরাজী বলিতে পারিত এবং একখানি বাঙ্গল খবরের কাগজ সম্পাদন করিত ৷’’ পণ্ডিত মহেন্দ্রনাথ বিদ্যানিধি বোধ করি এই ‘সরকার-সম্পাদক’টির পরিচয় দিতে সমর্থ হইবেন । এসব বিষয়ের তিনি খুব সন্ধান রাখেন । কলিকাতার ময়দানে এবং দুর্গের মধ্যে তখন অনেক হাড়গিলা পক্ষী দেখা যাইত । তাছার মানুষ দেখিলে সরিয়া যাইত না, বরং “আমাদিগকে প্রায় ধাক্কা দিয়া পথ হইতে সরাইয়া দিত " কলিকাতা তখন অত্যন্ত দুৰ্গন্ধময় অপরিস্কার সহর ছিল । “হিন্দুদের মধ্যে নরহত্য প্রায়ই ঘটে । অধিকাংশ খুনই ঈর্ষামূলক নারীবধ এবং অলঙ্কারের লোভে শিশুবধ । তিন মাসের মধ্যে বাঙ্গল প্রদেশে যে ৩৬টা খুনের সংবাদ পা ওয়া গিয়াছিল, তাহার মধ্যে ১৭টা গহনার লোভে শিশু বধ ।” তৎকালে গবণর জেনারেল ও অন্তান্ত বড় সাহেবের অনেক সময়ে হাতী চড়িয়া একস্তান হইতে স্তানাস্তরে যাইতেন । “হাতীর সম্বন্ধে একটি কথা শুনিয়া আমি বড় আমোদ পাইয়াছিলাম। হাতী যখন চলিতে থাকে, তখন একজন লোক তাহার পাশে পাশে স্থাটিয়া যাইতে থাকে এবং তাহাকে কোথায় পা ফেলিতে হইবে বলিয়া দেয় । কখনও বলে, “সাবধান’, কখনও বলে এখানে প ফেলে না, কখনও বলে ‘রাস্তাটা বড় উচুনীচু বা