৬ষ্ঠ, ৭ম সংখ্যা । ] লোক চাষ করিতে শিখে নাই, গরু এভৃতি জন্তু পুধিতে শিখে নাই, মাটীর পাত্ৰ তৈয়ার করিতে ও শিখে নাই । হয় অস্ত্র দ্বারা কিম্বা গৰ্ত্তে ফেলিয়া পশুবধ তাহাদের জীবনের প্রধান কাৰ্য্য ছিল। পশুর মাংস হয়ত তাছার কাচ খাইত। কিন্তু তাহদের অস্ত্র প্রভৃতির সহিত কয়লা ও দগ্ধ প্রস্তরখণ্ড পাওয়া গিয়াছে । ইহাতে প্রতীতি জন্মে যে, প্রাচীন মানব অগ্নির গুণ একেবারে অনবগত ছিল না । একজন জৰ্ম্মণ পণ্ডিত * বলিয়াছেন যে মনুষ্যই একমাত্র অগ্নিপ্রজালক জন্তু । অগ্নিই সকল উচ্চ সভ্যতার মূল অগ্নির সাহাযো খাদ্যসামগ্ৰী পাক হয়, অরণ্যানী পরিষ্কৃত হয়, বৃক্ষকাও হইতে নৌকা সালতি ) প্রস্তুত হয়, যুদ্ধের জন্ত বছ। তৈয়ার চয়, জলনিবাসের জন্য কাষ্ঠস্তম্ভ'ও স্বাক্ষ করা হয় । অগ্নিতে শীতের কষ্ট নিবৃত্ত করে, গৃহমধ্যে আরাম আনিয়া দেয়, অগ্নি দেখিয়া বন্য জন্তু পলায়, অগ্নিসংযোগে লৌহাদি ধাতু নমনশীল হয়। অগ্নি জালিবার উপায় শিখা ও শক্ত নহে । আমাদের দেশে আজও হোমের সময় পুরোহিতেরা কাষ্ঠ সংঘর্ষণে অগ্নি উৎপাদন করেন। প্রাচীন মানব ও নিশ্চয়ই সংঘর্ষণে অগ্নি উৎপন্ন হয়, এ তথ্য আবিস্কার করিয়া থাকিবে । নিজের দুখান হাত ঘসিলেই গরম বোধ করিয়া থাকিবে, আর পাথরে পাথর কিবার সময় কিম্বা পাথরে গর্ত করিবার চেষ্টায় অথবা বৃক্ষশাখার সংঘর্ষণে অগ্নির আবির্ভাব দেখিয়া থাকিবে । তবে অবগু তাহারা আমাদের মত রাধিতে শিখে নাই । তাহার। ছয় মাংস আগুনে ঝলসাইয়া খাইত, নয় আমেরিকার কোন কোন আধুনিক অসভ্যজাতির স্তায় জলের মধ্যে তপ্ত প্রস্তর ফেলিয়। জল গরম করিয়া তাহাতে মাংস সিদ্ধ করিয়া লইত । মানবাবাসের প্রাচীন অবশেষের মধ্যে জস্বদের লম্ব হাড়গুলি মধাদেশে বিদীর্ণ দেখিতে পাওয়৷ ধায় । ইহা হইতে বোধ হয় যে অস্থির মজ্জা প্রাচীন বানৰের একটা প্রিয় খাদ্য ছিল। পেরিগর্ডের গুহায় রেন-হরিণের শৃঙ্গ নিৰ্ম্মিত এক রকম চামচ পাওয়া গিয়াছে, বাহা ছদ্মত হাড়ের ভিতরের সাস বাছির করিবার জন্য वाक्झङ इहेउ । ८कांम ८कांन संशंद्र यांश्वद्र झाफ़ s
- M. Hoernes, Primitive Man, p. 11. -
প্রবাসী । ミむ〉 এইরূপ মাঝখানে চেরা কিম্বা পোড়ান পাওয়া গিয়াছে । উহ। মৃষ্টে বোধ হয় যে প্রাচীন মানব মরমাংস ও ভক্ষণ করিত । ইহাতে আশ্চর্যোর বিষয় কিছু নাই, কারণ এখনও অনেক অসভ্যজাতিতে তাহ করে । জন্তু মারিয়া প্রাচীন মানবের। তাছাদের চৰ্ম্ম আচ্ছাদনের জনা বাৰ হার করিত। প্রস্তরখণ্ডের দ্বারা তাহার ভিতর মাঞ্জিত ও পরিষ্কৃত করিত, পরে পেশী বা শিরা পাকাইয়া চৰ্ম্মথ গু সেলাই করিত । ছবি দশনে বোপ হয় তাহার হাতে চামড়ার দস্তান পরিত। হাড়ের ছুচ পাওয়া গিয়াছে ; তাহা হইতে প্রমাণ হয় যে প্রাচীন মানব সেলাই করিতে শিথিয়াছিল । হরিণের শিং বোধ হয় জলপানের জন্য ব্যবহৃত হুহত । এই শৃঙ্গে নানারূপ চিত্র ও তাহার। খোদিত করিতে শিখিয়াছিল। সেই পূৰ্ব্ব প্রস্তরযুগের মানব হস্তিদন্তে ও সুন্দর ছবি অ’াকিতে শিথিয়ছিল । একটি অতিকায় হস্তীর এইরূপ হস্তিদস্তে পোদিত চিত্র অনেক পুস্তকে দেখিতে পাওয়া যায় । তাহাতে লোমপর্যাপ্ত পরিস্কার চিত্রিত হইয়াছে । ঈহ! বাতীত পশুদ স্তু গহনার জন্য ও ব্যবঙ্গত হইত। দন্তের মধ্যে ছিদ করিয়া তার তৈয়ার হষ্টত । মানব সকলস্থানেই অলঙ্কার প্রিয় ; অসভ্য মানবের ত কথাই নাই । ৯ বস্থ পরিধানের ও মূল উদ্দেশু শল্পীরাচ্ছাদন অপেক্ষ। শরীরশোভনই বেশী বোধ হয় । সেইজন্য প্রাগৈতিহাসিক গুহায় যদি ছিন্ন দন্থের হার বা কৃষ্ণ প্রস্তরের বোতাম পাওয়া যায়, তাঙ্গাইইলে তাহাতে আশ্চর্য্যাম্বিত হইবার কোন কারণ নাই । এই সময়ের মানবজীবনের সহিত গ্রীনলণ্ডের এস্কিমে। জীবনের অনেক সাদৃপ্ত লক্ষিত হয় । ক্লড সাহেব জাপনের ইয়েজোম্বীপবাসী আয়মুজাতির সহিত অতি প্রাচীন মানবের তুলনা করিয়াছেন । । উত্তর প্রস্তরযুগে আসিয়া আমরা দেখিতে পাই যে, মানুষ পূৰ্ব্বাপেক্ষা উন্নত হইয়াছে । তাহাদের অস্ত্রশস্ত্র বেশী পরিষ্কার, তাহার। দুই একটা জ ন্তু পোষ মামাইয়াছে; ( স্বইটুজরলণ্ডের হ্রদবাসীরা বোধ হয় কুকুর, শূকর, গরু, মেধ ও ছাগ পোষ মানাইয়াছিল ; ঘোড়াও এই সময়ে 99 .Ratzel, History of Jiankind, Vol. i. p . ------ س-- t Clodd, Story of Primutive ./an, p, 71.
