পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭ e এতদ্ব্যতীত, পরমহংস রামকৃষ্ণদেব, মহা কেশবচন্দ্র সেন, রাজেন্দ্রলাল মিত্র, রামগোপাল ঘোষ, কৃষ্ণদাস পাল, স্বারকানাথ মিত্র, হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায়, এবং জীবিত ও মৃত আরো বহু কৃতকৰ্ম্ম পুরুষ বাঙ্গালীজাতিকে সম্মানিত ও সন্মানাহঁ করিয়াছেন । ইহঁাদের কৃতিত্বে এখন বাঙ্গালীজাতি পৃথিবীর নিকট পরিচিত হইয়াছে । সত্য বটে, ইংরেজরাজত্বে প্রেমাবতার চৈতন্যদেবের ন্যায় ধৰ্ম্মসংস্থাপক অথবা নৰদ্বীপের প্রাচীন নৈয়াল্লিকদের ন্যায় দাশনিক জন্মগ্রহণ করেন নাই ; কিন্তু বিগত শতবীতে বঙ্গদেশে সেসকল প্রতিভাশালী লোকের জন্ম হইস্বাছে, তাহাদের অনেকে পৃথিবীর উন্নত দেশসমূহের শ্ৰেষ্ঠ লোকদিগের সমকক্ষ । ইংরেজরাজত্বে ভারতের অন্য কোন প্রদেশই এরূপ প্রতিভাবিকাশে সমর্থ হইয়াছে বলিয়া বোধ হয় না। পাসীদিগের স্বাভাবিক প্রবণতা ও পশ্চিমোপকুলের প্রাকৃতিক সুবিধা বশতঃ বোম্বাই প্রদেশ শিল্প বাণিজ্যে প্রভূত উন্নতি লাভ করিয়াছে ; তথাপি ধনবত্তায় রত্ন প্রস্থ বাঙ্গলাই ভারতে প্রথমস্থানীয় । বিশেষতঃ অধুনা শিল্পবাণিজ্যে বাঙ্গালী যুবকদিগের দৃষ্টি যে ভাবে আকৃষ্ট হইতেছে, তাহাতে বোধ হয় সেবিষয়ে শীঘ্রই বাঙ্গলায় নবযুগের প্রবর্তন হইবে । এই সুকল চিস্ত করিয়া মনে হয়, অন্যান্য প্রদেশ সম্বন্ধে যাহাই হউক, ইংরেজরাজত্বে বাঙ্গালীজাতির ক্রমোন্নতিই হইতেছে, এবং ইংরেজ গবৰ্ণমেণ্ট বাঙ্গালীদের নিকট যত কৃতজ্ঞতার পাত্র, ভারতবর্ষের অন্য কোন জাতির নিকট তত নহে । এস্থলে এ কথা ও বক্তব্য যে, বাঙ্গালী জাতির স্বাভাবিক প্রতিভা না থাকিলে কখনও এই উন্নতি সম্ভৰ হইত ন। দেড় শত বৎসরে অসভ্যকে সুসভ্য করা যায় না ; ক্ষীণমস্তিষ্ক বৰ্ব্বরকে সুশিক্ষিত তীক্ষ্ণধী নাগরিকে পরিণত করা যায় না । সাওতালের এখনও সেই অসভ্য সাওভালই আছে। ফলতঃ ইতিপূৰ্ব্বে আর্য্যবংশীয় উচ্চশ্রেণীস্থ বাঙ্গালীর শক্তি সংগ্ৰহ করিতেছিলেন ; নিম্নশ্রেণী:স্ত অনেকে ও তাহীদের সভ্যতার অধীনে দীর্ঘকাল ৰাস-নিবন্ধন অনেক উন্নতি লাভ করিয়াছিলেন । ইংরেজ গবৰ্ণমেণ্ট घप्लेनांझरम दांशांशैौरन ब्र कङक७णि वि८*ष शबिथी कब्रिग्ना 、磁秘,《、^*恩*些芝学婴数心*_*逊空*竺°一涯 প্রবাসী । দিয়া সেই শক্তি-বিকাশের অবসর দিয়াছেন , তাই অতি অল্প সময়ের মধ্যে অজ্ঞাতপূৰ্ব্ব বাঙ্গালী জাতি ভারতবর্ষের শীর্ষস্থান অধিকার করিয়াছে । ইংরেজ রাজত্বে ২াঙ্গালীদিগের অনন্তসাধারণ সুবিধা গুলি কি, এখন একে একে তাহারই উল্লেখ করিব । - প্রথমতঃ, ইংরেজের অধীনেই বঙ্গবাসিগণ জাতিত্ব লাভ করিয়াছে । শিখ, রাজপুত, মারাঠা প্রভৃতি জাতি ইংরেজাধিকারের পূৰ্ব্বেই নুনাধিক পরিমাণে জাতিত্বের লক্ষণাত্রাস্ত হইয়া উঠিয়াছিল ; কিন্তু বাঙ্গালীর অদৃষ্ট্রে তাহ ঘটে নাই । বঙ্গবাসিগণ চিরকালই বহুধাবিচ্ছিন্ন জনসমষ্টি মাত্র । রাজনৈতিক ভাবে সমগ্র বাঙ্গলা কখন ? একীভূত হয় নাই । মুসলমানদিগের আধিপত্যও সমধিক প্রসার লাভ করে নাই। পূৰ্ব্বে ও উত্তরে সুবিস্তৃত ত্রিপুরা ও কুচবিহার রাজ্য চিরকাল আপনাদের অক্ষুণ্ণত। রক্ষা করিয়াছে । আরাকান রাজ্য ও পূৰ্ব্বে বঙ্গদেশের কতকাংশ আত্মসাং করিয়া রাখিয়াছিল । তদ্ব্যতীত বাঙ্গলার নানা অংশে তেজোদৃপ্ত স্বাধীন ও অন্ধস্বাধীন ভূস্বামিগণ নিরস্তুর বিদ্রোহানল প্রজ্জ্বলিত করিয়। মুসলমান সুবাদারদিগকে উত্তেজিত করিতেন । শোণিত বা সমাজবন্ধন বিষয়ে উত্তরে কোচ, গারে), ম্যাচ প্রভৃতি, পূৰ্ব্বে টিপরা, কুকি প্রভূতি, চট্টগ্রাম অঞ্চলে মগ, পশ্চিমে সাওতাল এবং বাঙ্গলার নানস্থানবিহারী অস্থায়ি নিবাস বেদিয়া ও বকুয়া প্রভৃতির সহিত ব্রাহ্মণ বৈদ্যাদির যত প্রভেদ, ইয়ুরোপের কোন দুই জাতির মধ্যে তত পার্থক্য নাই । ইহাদের ভাষা, ধৰ্ম্ম প্রভৃতি ও বহু পরিমাণে বিভিন্ন ছিল । এখন ও ইহার মিশিয়া যায় নাই ; কিন্তু ইংরেজরাজই সৰ্ব্বপ্রথমে বাঙ্গলায় একচ্ছত্র রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন ; এবং তাঙ্কারই ফলে উক্ত সমস্ত অসভ্য ও অন্ধসভ্য জাতি উন্নত হিন্দুদিগের সভ্যতা গ্রহণ করিতেছে, এবং তাছাদের সহিত এক সুবৃহৎ জাতিতে পরিণত হইতে চলিয়াছে । আইন, ভাষা, শিক্ষা প্রভৃতির সাম্যসাধন দ্বারা ইংরেজ গবর্ণমেণ্ট বাঙ্গলার এই এক বিশেষ উপকার সাধন করিয়াছেন । এ বিষয়ে শিখ, রাজপুত, মারাঠা প্রভৃতি জাতি ইংরেজের নিকট এতদূর ર૧ नtइ !