পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ, ৭ম সংখ্যা । ] পরিপুর তালুকের অন্তর্গত ভোসে গ্রামে মহাদেবের বাসস্থান । ইনি ঋগ্বেদী ব্রাহ্মণ ছিলেন । হরিবাঈ যখন পুনা নগরে তাহার পিতৃগৃহে ছিলেন, সেই সময় যশোধন্তের জন্ম হয় । ১৭৩৭শকের ( ১৮১৫ খৃষ্টাব্দের ) ভাদ্র মাসে ইনি ভূমিষ্ঠ হয়েন । চারি বৎসর বয়সে যশোবন্ত তাহার সমবয়স্কদের সহিত খেলা করিতে আরম্ভ করিলেন । তাহার হৃদয় করুণারসে পূর্ণ ছিল । সমবয়স্কদের মধ্যে যদি কেহ কোন প্রকার আঘাত পাইত, তিনি যত্নের সহিত তাহার শু শ্ৰুষা করিতেন । সাত বৎসর বয়সে তাহাতে দেবভক্তির লক্ষণ প্রকাশ পাইল । তিনি প্রতিদিন স্নান করিয়া পুজার ঘরে বসিতেন এবং তঁাচার পিতা ও মাতা iব প্রণালীতে পূজা করেন, মনোযোগপূৰ্ব্ব ক দেখিতেন । পুজা শেষ হইলে দেবতার চরণামৃত ও প্ৰসাদ লইয়া ঘরের বাহির হইতেন । ভোজনের পর বয়স্যদের সহিত খেলা করিবার সময় যশো বস্তু কোন শিলার উপরে ফুল ও জল দান করিতেন, এবং অন্যান্য বালকদের লইয়া সেই শিলাটার সমক্ষে বিঠ ঠল , বিঠ, ঠল বলিয়া করতালি দিতেন এবং মহা আনন্দে নু তা করিতেন । অষ্টম বৎসর বয়সে তিনি তাঙ্গার ভাবী উন্নতির আভাস দেখাইয়াছিলেন । তাহার লেখাপড়ার প্রতি বিশেষ যত্ন ছিল । তাহার সদয় যেমন দয়াতে পূর্ণ ছিল, তাহার আত্মা ও সেইরূপ সত্যেতে প্রতিষ্ঠিত ছিল । তাছার বয়স্যদের মধ্যে কাহার ও কোন দ্রব্যের অভাব হইলে তিনি সাধ্যমত তাহ পূর্ণ করিতেন । মহাদেব ইহ জানিতে পারিয়া তাহার পুলকে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি তাহা গোপন করিতেন না এবং স্পষ্টাঙ্গরে বলিতেন যে, কষ্ট পাইতেছিল বলিয়। তিনি তাহাদের সাহায্য করিয়াছেন । যশোবস্তু তাছার পিতামা তার বড় বাধ্য ছিলেন । তিনি আগ্রহের সহিত তাহদের আজ্ঞ। পালন করিতেন । তাহার কোন বয়স্য তাহাকে গালি দিলে কিম্ব প্রহার করিলে তিনি তাহার প্রতিহিংসা করিতেন না । স্থিরভাবে সমুদয় সহ করিতেন, এবং এ সম্বন্ধে তাহার পিতামাতাকে ও কোন তাই?

  • দক্ষিণাত্যে নীকৃষ্ণ ঠি ঠল নামে অঙিfঃ ১ ।

প্রবাসী । ২৭৩ কথা বলিতেন না । তা হার এই সকল অসাধারণ কার্য্য কখন কখন তাহার প্রতিবেশিগণ জানিতে পারিতেন । তাহ'র বালকটর ব্যবহারে পরিতুষ্ট হইতেন, এবং তিনি যে ভবিষ্ণুতে একজন মহাপুরুষ হইবেন, তাছা তাহারা বুঝিতে পারিয়াছিলেন । এই সময় তাহার যজ্ঞোপবীত সংস্কার হইয়াছিল । এখন হইতে তিনি ব্রাহ্মণের কৰ্ত্তব্য নিত্যকৰ্ম্ম সকল নিয়মপুৰ্ব্বক করিতে. লাগিলেন । একাদশ বৎসর বয়ঃ ক্রমে, তিনি লেখাপড়ায় অনেকদূর অগ্রসর হইয়াছিলেন । ইহার পর বৎসর তাহার বিবাহ হয় । এষ্ট সময় হইহে যশোবস্ত তাহার পি তাকে বিসয় কার্য্যে সাহায্য করিতে লাগিলেন । তিনি মল্পকাল মধ্যেই হিসাব আদি প্রস্তুত করিতে সক্ষম হইলেন । তদন স্তুর তাহার মাতুল ঠাহীকে লইয়! কোপন নামক গ্রামে গমন করিলেন, এবং তঁtহার চেষ্টায় তিনি তথাকার মামলেদারের কার্য্যালয়ে দশ টাকা বেতনে কারকুনের পদে নিযুক্ত হইলেন। তখন তাহার বয়ঃক্রম ১৬ বৎসর। যশোবন্ত দক্ষতার সহিত কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতে লাগিলেন, এবং ক্রমে ক্রমে তাহার বেতন ও বৃদ্ধি হইতে লাগিল । অবশেষে ১৮৫১ খৃষ্টাব্দে তিনি ৮০ টাকা বেতনে চাল্লিসগাও তালুকের মামলেদারের পদ পাইলেন । এই পদে ঠাচার বেতন বৃদ্ধি হইতে লাগিল । ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে তিনি ১৭৫ টাকা বেতনে, এক গুল নামক তালুকে গমন করিলেন । এখানে তিনি চারি বৎসর অবস্থিতি করিয়াছিলেন । সপোৰম্ভ রাওয়ের সদগুণ সকল এই স্থানে সম্পূর্ণরূপে ফুষ্টি পাইয়াছিল। তাহার ধীরতা, নম্রত, পরদুঃখ-কাতরত, উদারতা, সদাচার, ঈশ্বরনিষ্ঠ এবং বৈরাগ্য দেখি। আপামরসাধারণে র্তাহার প্রতি ভক্তি প্রকাশ করিত । তিনি সকলের সহিত সদালাপ করিতেন । কাহারও প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করিতেন না । তিনি যেমন একদিকে লোকের প্রিয় হইয়াছিলেন, অন্যদিকে গবর্নমেন্ট ও উপহার প্রতি তেমনই সস্তুষ্ট ছিলেন । যশোবং রাও লোভশূন্ত ও পক্ষপাতশূন্ত হইয়া অতি দক্ষতার সহিত মামলেদারের কার্য নিৰ্ব্বাহ করিতেন। সিপাহীবিদ্রোচের সময় তিনি রাজপুরুষগণকে বিশেল, রূপে