পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ, ৭ম সংখ্যা J দয়া বিশ্বোদর । দ্বিতীয়—চিত্তশুদ্ধি । ধৰ্ম্মভাবের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে নীচ বৃত্তি গুলির দমন হইয়া চিত্ত নিৰ্ম্মল হইতে থাকে স্বদেশপ্রেমের বিকাশে ও ঐরূপ চিত্তশুদ্ধির আরম্ভ ছয় । চিত্তের মলিনতার এবং নীচতার প্রধান অtশ্রয় দার্থপরতা। প্রকৃত স্বদেশপ্রেমের অস্কুরোদগমেই স্বাখপরতা নিৰ্ম্মল হয়। মানবচরিত্রের উৎকর্ষসাধনে স্বদেশপ্ৰেম ধৰ্ম্ম ভাবেরই পাশ্বে স্থান পাইবার যোগ্য । চরিত্রের উৎকর্ষেই মানবজীবনের সফলতা । ধৰ্ম্ম মানবচরিত্রের চরমোৎকর্ষসাধক । চরিত্রের চরমোৎকর্য জীবনের পরম লক্ষ্য । সুতরাং ধৰ্ম্ম জীবনের পরম সাধন । কিন্তু ধৰ্ম্ম ভাব কি সহজ অথবা সৰ্ব্বজনসাধা ? এ প্রশ্নের পচলিত উত্তর যাচাই হউক, “নামে রুচি” অতি অল্পসংখ্যক মাগুসের মধ্যেই লক্ষিত হয় । ভাবতের অনেক প্রধান ধৰ্ম্মোপদেষ্টা ও একথ। স্বীকার করিয়া গিয়াছেন । গীতায় শ্ৰীকৃষ্ণমুখে কথিত হইয়াছে ; “মমুয্যাণ সহস্ত্ৰেষু কণি৮২ a fত সিদ্ধয়ে । যততামপি সিদ্ধানাং কশ্চিষ্ম{ংবেত্তি তত্ত্ব ত; " , " ॥ চৈতন্যচরিতামৃতে ও কথিত হইয়াছে ;– “এহ্মাও মিতে কোন ভাগ্যপান জীব । গুরুকৃষ্ণ প্রসাদে পায় ভক্তিলতা বীজ ॥" চরিত্রের উৎকর্ষসাধনের জন্য শুধু ধৰ্ম্মভাবের মুখাপেক্ষী হইতে হইলে এই জড়বিজ্ঞানের প্রবলতার দিনে "মনুষ্যাণাং সহস্ৰেষু” কেন, দশ সহস্ৰেষু ও “কশ্চিৎ সে কল্যাণময় প্রভাবের অধীন হইতে পারে কি না, সন্দেহ। পুরুষপরম্পরাগত অভ্যাস এবং সংস্কারনিবন্ধন মানুষকে অনেক সময় অনেক সদনুষ্ঠানে নিরত এবং অসদনুষ্ঠান হইতে বিরত দেখা যায় । কিন্তু তেমন অভ্যাস এবং সংস্কার চিত্তোৎকর্ষের নিদর্শন নছে । উহা স্বভাবসিদ্ধ । উহার দ্বারা চরিত্রোংকর্ষ সাধিত হয় না। হিন্দুজাতির স্বাভাবিক মুনীতিনিষ্ঠ অনেকটা জন্মাস্তর এবং কৰ্ম্মফলে বিশ্বাসমূলক । কিন্তু এই সকল সংস্কার ধৰ্ম্মভাবের উদ্দী পক হইলেও সাক্ষাৎ সম্বন্ধে চরিত্রের উৎকর্ষ সাধন করিতে १iनि न1 ।। - ধৰ্ম্মনিষ্ঠ দ্বারা জীবনের সফলতাসম্পাদন কাৰ্য্যতঃ অত্যন্ত্রসংখ্যক মানবের সাধ্যায়ত্ত, এ কথা স্বীকার করিলে প্রবাসী । (3ףא: যদি অন্ত কোন সঙ্ক জসাধ্য ভ:বের প্রভাবে সেই উদ্দেশ্য আংশিক রূপে ও সাধিত হওয়া সম্ভব হয়, তবে সেই ভাবের नभाश्रब्रू*ौजन कि दाखिभाद्रुद्रशे-छाडिभांt ब्रहे श्रवणाকৰ্ত্তব্য নহে ? মানবচরিত্রের উপর স্বদেশপ্রেমের fক আশ্চর্য প্রভাব, পাশ্চাত্যসমাজ তাহার জলন্ত প্রমাণ । হিন্দুচরিত্রের তুলনায় ইউরোপীয় চরিত্রে ধৰ্ম্মের প্রভাব যে অপেক্ষাকৃত নুনি, ইহা বোধ হয় সৰ্ব্ববাদিসশ্নউ । কিন্তু স্বদেশপ্রেমের প্রণোদনায় ইউরোপে যে সকল মহৎকায্যের অনুষ্ঠান হইতেছে, তাহার তুলনা কোথায় ? ধৰ্ম্মভাব কয়জন হিন্দুকে প্রকৃত ত্যাগী করিতে পারিতেছে ? স্বদেশপ্রেমে উন্ম স্তু সমগ্র বয়রজাতি মাজ সৰ্ব্বভ্যাগ । আমার বিশ্বাস বৰ্ত্তমানযুগে ইউরোপীয় জনসাধারণ নৈতিক উন্নতির জন্য পুষ্টধয়ের নিকট যত ন৷ ঋণা, স্বদেশপ্রেমের নিকট ঋণী ততোধিক । এইরূপে স্বদেশপ্রেমিকের আয়ুপক্ষ হইতে ( subjective view , çafats cattn cnoi tā, stagsfত্রের—মানবচিত্বের উন্নয়নে স্বদেশপ্রেম কত কার্য্য কর । wat gvist eëtz objective view) awfort astrn সমাজের উপর স্বদেশপ্রেমের কল্যাণময় প্রভাবের তুলনাই ছয় না । ধৰ্ম্মনিষ্ঠের পরহিতৈষণা একটা গৌণকৰ্ত্তব্য। স্বদেশপ্রেমিকের পরহিতৈষণাই মুখাব্ৰত । অtয় সৰ্ব্বজনহিতৈষণা (philanthropy)—সেত পূৰ্ণবিকশিত স্বদেশপ্রেমেরই নামা স্তর । সমগ্র পৃথিবীকে যিনি স্বদেশ বলিয়া জ্ঞান করিতে শিথিয়াছেন, তাহারই স্বদেশপ্রেমের নাম সৰ্ব্বজনহিতৈষণ । মহাত্ম কাভুরের পদাঙ্গ অনুসরণ করিয়া চিত্তবৃত্তিনিচয় মধ্যে স্বদেশপ্রেমের স্থান নির্দেশ করিতে যত্ন করি, লাম। এখন, আলোচ্য স্বদেশপ্রেম পদার্থটা কি ? পাঠকগণ হয়ত মনে করিলেন, এরূপ আলোচন অনাবশ্যক । স্বদেশের হিতসাধনের বাসনার নাম স্বদেশপ্রেম, এ কথা কে ন জানে ? কিন্তু বৰ্ত্তমানকালের রাজনৈতিক আন্দোলনের সমালোচকগণ যেরূপ ভাষা প্রয়োগ করেন, তাহাতে বোধ হয়, স্বদেশপ্রেমের প্রকৃত তাৎপর্য্য সৰ্ব্বত্র বিদিত নছে। স্বদেশপ্রেম অথবা স্বদেশটিতৈষণ ইংরাজি “পেটুওটিজ ম্” কথার বঙ্গানুবাদ । দেশের কিরূপ ংি তাঙ্গুষ্ঠান