পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミbペッ কান্ত ভট্টাচাৰ্য্য মহোদয় দ্বয়ের বিশেষ যত্নে প্রভূত উৎকর্ষ লাভ করিয়াছে । সাহিত্যবিভাগে পণ্ডিত উপেন্দ্রনাথ ভক্তিতীৰ্থ দুইটা ও বাবু নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় মহাশয়, একটা ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে বক্তৃত করেন । শ্ৰীযুক্ত বাৰু ললিত কুমার রায়ের ও কতিপয় সাহিত্যামুরাগ ব্যক্তির উদ্যমে বৰ্ত্তমান বৎসরে সাহিত্য বিভাগের বিংশতি সাপ্তাহিক অধিবেশন श्हें ब्र! १िfप्रॉ६छ् । ( 'hakravarty Free insti. tuti। এর সভ্য সংখ্যা ৭০ জন ও পৃষ্ঠপোষক ইঞ্জিনিয়রবর্গ। খ্ৰীযুক্ত বাৰু বঙ্গবিহারী চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয় যেরূপ লোকদিগের শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক উন্নতিকল্পে ত্ৰতা আছেন, অদ্যান্ত কৃতবিদ্য ও ধনাঢ্য ব্যক্তিগণ এইরূপ রক্ত থাকিলে জাতীয় উন্নতি অবগুস্তাব । এতদ্ব্যতীত ** Hoo Primary Girls' School s of{{#ffe আছে । বিদ্যালয়টি ১৮৯৮ পূঃ স্থাপিত হয় । পূৰ্ব্বে বাঙ্গালীদিগের বালকবালিকাগণ মিশনরি স্কুলে বিদ্যাভ্যাস করিত । জাতীয় বিদ্যালয়ের মা বগু কতা বোধ করাতে শ্ৰীযুক্ত বাৰু হীরালাল রায়, শ্ৰীমাকণ্ডেয় প্রসাদ ভট্টাচাৰ্য্য, ঐবিশ্বনাথ সেন, শ্ৰীযদুনাথ চট্টোপাধ্যায় ও শ্ৰীসৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় প্রভৃতি ব্যক্তিগণ বিদ্যালয় সংস্থাপনে বদ্ধপরিকর হন ও ঠাই দিগের উদ্যম ও পরিশ্রমের ফলে বিষ্ঠালয় সংগঠিত হয় । লক্ষেী সহরের বাঙ্গালীবগের পোষকতায় বিদ্যালয়ট পরিচালিত হইতেছে । ছাত্র ও ছাত্রী সংখ্যা অনান ৬•জন । বান্ধবসমিতি বালকদিগের দ্বারায় গঠিত ও পরিচালিত । উহাতে প্রবন্ধাদি পঠিত হয় ও কতিপয় বাঙ্গালী সংবাদপত্রও আসে ।" -: * :-—- লাহোর হইতে শ্ৰীযুক্ত রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্ত লিখিয়াছেন— "ভারতবর্ষ ও সিংহলে সৰ্ব্বশুদ্ধ পাচট সরকারী মেডিকেল কলেজ আছে ; যথা,-কলিকাতায় একট, বম্বে একট, মাক্সাজে একট, লাহোরে একটা ও সিংহল দ্বীপে একটা । বন্ধে গ্রাণ্ট মেডিকেল কলেজ ব্যতীত অম্লান্ত সকল মেডিকেল কলেজগুলিতে প্রবেশ করিতে ছইলে এফ, এ কিম্ব তৎসমতুল্য পরীক্ষায়– পাঞ্জাব ও এলাহাবাদ ৰিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারমাডিয়েট পরীক্ষায় ) উত্তীণ হইতে হয় । এখনও বম্বে গ্রান্ট মেডিকেল প্রবাসী । [ ১ম ভাগ। কলেজ যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিক পরীক্ষায় উৰ্ত্তীণ হইয়। প্রবেশ করিবার নিয়ম প্রচলিত অাছে । পূৰ্ব্বে লাহোর মেডিকেল কলেজে ও উক্ত নিয়ম প্রচলিত থাকায় এখানে অনেক বাঙ্গালী ছাত্র আসিয়া চিকিৎসা শাস্ত্র অধ্যয়ন করিতেন । শিক্ষামুধ্যায়ী, অভিভাবকবিহীন, সুদূরপঞ্চনদপ্রদেশ প্রবাসী বাঙ্গালী ছাত্রগণের মধ্যে একতা ও সপ্তাব সংস্থাপন নিমিত্ত এখানকার মেডিকেল কলেজের ভূতপূৰ্ব্ব ছাত্র শ্ৰীযুক্ত বিমলচন্দ্র ঘোষ, এম,এ ( যিনি এখন ইংলণ্ডে অধ্যয়ন করিতেছেন ), ও ডাক্তার ঐযুক্ত গিরীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, এল, এম, এস মহোদয়গণ “ইউনিয়ন ক্লাব" ( Union club ) নামে একটা ছাত্র-সভা সংস্থাপন করেন । সেই সভাট বড় বাধ বিঘ্ন অতিক্রম করিয়া আজ অষ্টম বর্ষে পদার্পণ করিয়াছে । উক্ত সমিতিটা শুধু বাঙ্গালী মেডিকেল ছাত্রগণ দ্বারা পরিচালিত হইয়ু থাকে । এই ক্লাবে প্রতি সপ্তাহে বিজ্ঞান সম্বন্ধে একটা করিয়া ইংরেজী রচনা পাঠ করা বা বক্তৃত করা হয় । বাংসরিক উংসবোপলক্ষে কলেজের অধ্যাপক, ছাত্র ও স্থানীয় বাঙ্গালী মহোদয়গণকে আমন্ত্রণ করা হয় । সঙ্গীত, বিজ্ঞানচচ্চ, প্রতিভোজন প্রভৃতি আমোদে বাৎসরিক অধিবেশন সম্পন্ন হইয়৷ থাকে । এই ক্লাবে “প্রবাসী,” “বেঙ্গলী,” “ইণ্ডিয়ান লানসেট", প্রভৃতি মাসিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকাদি লওয়া হয় । এখানকার বাঙ্গালী মেডিকেল ছাত্ৰগণের একতা ও সদ্ভাব দেখিয়া বাঙ্গালীবিদ্বেষী বিলাতী অধ্যাপকগণও প্রশংসা না করিয়া থাকিতে পারেন না । উচ্চশ্রেণীর ছাত্রগণ এক কপদক ও গ্রহণ না করিয়া অকাতর শ্রম সহকারে স্থানীয় বাঙ্গালীদিগের চিকিৎসাদি করিয়া থাকেন। এতদ্ব্যতীত তাহারা সৎকার কার্য্যেও কম সহয়তা করেন না । বাস্তবিক, এখানকার বাঙ্গালী মেডিকেল ছাত্ৰগণের স্বদেশবাৎসল্য, চরিত্র বল, পরোপকারে একাগ্রত ও সংসাহস দেশবিদেশস্থিত বাঙ্গালীগণের অনুকরণীয়। কিন্তু দুঃখের সহিত জানাইতে হইতেছে যে, এফ,এ ব। তৎসমতুল্য পরীক্ষায় উত্তীণ হইয়া কলেজে প্রবেশ করিবার নিয়ম হওয়ায়, বাঙ্গালীদ্বেৰী সাহেব অধ্যাপকগণের তাড়নায় এবং বাঙ্গালীদিগের প্রতি এখানকার