পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম ও ৯ম সংখ্যা । ] স্থানিশ্রেষ্ঠ রামচন্দ্র ੱਸ উন্মাদগ্ৰস্ত। এই উন্মত্ততার মত সুন্দর কল্পন। কাব্যসাহিত্যে একমাত্র বৈষ্ণব পদেই সুলভ । কদম্ববনানুরাগিনীর সংবাদ কদম্ববৃক্ষ অবগুষ্ট কিছু জানেন, ষ্ট্রে রাম চুটিয়া কদম্বরক্ষকে আলিঙ্গন করিতে করিতে বান্ত জিজ্ঞাসা করিতেছেন, অশোকের নিকট শোকাপনোদনের প্রার্থী হইয়া কাতর কণ্ঠে মিনতি করিতেছেন। কণিকার পুষ্প পাইলে সীতা তদ্বারা কণভূষণ প্রস্তুত করিতন, এজন্ত কণিকার বনের নিকট যাইয়; রামচন্দ্র কত কি ড়ি জ্ঞাস করিতেছেন । সহসা সুধকণ্টকি্তদেহে রামচন্দ্র এক বৃক্ষের নিম্নদেশ ল করিয়া প্রমাপের ন্যায় বলিতে গলেন,"fপ্রয়ে । গুণি কোথায় যাঃ তেছ ? তোমার পদ্মচক্ষুর সৃষ্টিতে অমির দিকে চাঙ্গির, পরষ্টাদশীলে । বৃক্ষের অস্থরাল কোণায় যাইতে ? একবার একটুকু দাড়াও । আমার কি আমার প্রত করুণ নাই ? এই তপোবনভূমি রিহাসের স্থান নছে” বারবার গোদাবরীর্মীরে যাইয়া পূজিতেছেন, লক্ষ্মণকে গোদাবরী গ্রারে বারংবার পাঠাতেছন, এক একবার নিরাশ চহয়। - “দান শোক সমাধিষ্ট মৃঃ ত বহুবলোহভূবং”। "বহুলিত সৰ্ব্বাঙ্গোগ বুদ্ধি বিচেতনঃ” হয়। পড়তেছেন । এই কি সেহ রাম, মিনি রাজাশোক, পতৃশোক-সমস্ত অটল বীরপুরুষের ন্যায় সহ ক,রয়াছিলেন ? আদশ পুরুষের এ কি অধঃপতন ! স্বদের হিসাবে যাই ই ইউক না কেন, মনুষ্যত্বের ঠিসাবে আমরা এস্থলে লাভ ভিন্ন ক্ষতির কোন আশঙ্ক কর না । এই বিরহকা গু গুলিতে ধে অপূৰ্ব্ব কাব্যকলা লতাই উঠিয়াছে, তাঙ্গ যুগযুগান্তরের জষ্ঠ বালাকির রামায়ণকে অমর করিয়া রাখবে। শোভাময়ী প্রকৃতির প্রান্তে এই ভ্ৰান্তিময় আত্মবিস্মৃতিপূর্ণ প্ৰলাপবাকা, ছায়াময়ী সীতামূৰ্ত্তি কল্পনা করিয় সহসা কদম্বকোরকবং কণ্টকিত শরীরে আনন্দ প্রকাশ, আমাদিগকে আর একটি লোকশ্রেষ্ঠের চিত্ৰ মনে করাইয়া দেয় । তিনি ও রামচন্দ্রের স্থায় বাঙ্গালীর পূজ্য । তিনি বন দেখিয়া পৃন্দাবন ভ্ৰম করিতেন, তিনি ও ব্যাকুলভাবে বৃক্ষ গুলিকে আলিঙ্গনে বদ্ধ করিয়া বাঞ্ছিতের তত্ত্ব জিজ্ঞাস করিতেন । তাহারও পাশ্বে অনুচর লক্ষ্মণের স্তায় গদাধর মুরারি প্রভৃতি ভক্তবৃন্দ সেই স্বৰ্গীয় স্বপ্নবিছবলতায় মুগ্ধ হইয়া দাড়াইয়া থাকিত । ఫిసిరి উন্মত্তের স্থায় বিচরণ করিতে করিতে যখন রামচন্দ্র স্বীয় হস্তের অপিত সীতার অঙ্গভূষণ কুসুমরাশির দশন পাইলেন, তখন সাশ্রনেত্রে সেই ভূলুষ্ঠিত কুসুমগুলিকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া বলিয়া উঠিলেন,~ . "মন্তে সূৰ্য্যশ্চ বায়ুশ্চ মেদিনীচ যশস্বিনী অভিরক্ষস্থ পুষ্পানি প্রকুৰ্ব্বস্তে মমপ্রিয়ং।” খুজিতে খুজিতে সঙ্গস দুই ভাই দেখিতে পাইলেন, ভগ্ন রথ ও ভগ্ন ধনু পড়িয়া আছে । রাক্ষসের বৃহৎ পদাঙ্ক ও রক্তাক্ত ভূমি দেপিয়া রাম অনুমান করিলেন, রাক্ষসকর্তৃক গীত। ভক্ষিত হইয়াছেন। তখন অশ্রুসিক্ত চক্ষু সঙ্গস তামাভ হইয়া উঠিল, কুরমান-ওষ্ঠসংপুট রাম যুগাস্তের অগ্নির স্থায় ক্রদ্ধ ইয়া উঠিলেন ; লক্ষ্মণের হস্ত ইষ্টতে সবলে ধনু গ্রহণ করিয়া পৃষ্ঠাবলম্বী জটাভার বন্ধন করিতে করিতে বলিলেন--"ন ধৰ্ম্মস্থায়তে সাত: ঈদুমান মহাবনে"; —এই অনীশ্বর সংসার তিনি স্বীয় বাণাগ্নি দ্বারা পুড়াইয়া ফেলিবেন । এই ক্রোধে ভাবী রাক্ষসৰ্ব্বসের পুৰ্ব্বাভাস দুষ্ট হয়। লক্ষ্মণের বিনয়বাকো তৃষ্ণাস্তাব অবলম্বন করিয়া রামচন্দ্র পুনরায় বালকের ন্যায় অশুরুদ্ধকণ্ঠে বিলাপ করিতে লাগিলেন। সহসা গীতজাদু মুমূর্য জটায়ুকে দেখিয়া রাম মনে করিলেন, “অনেন কিল বৈদেষ্ট ভক্ষিতা না ত্র সংশয়ঃ ।” ত ৭নই বিরাট ধনুতে জ্যা আরোপিত হইয়া লক্ষ্য স্থির হইল । এ অবস্থায় সফেন রুপির উদিগর করিতে করিতে দীনবাক্যে জটায়ু বলিতে লাগিলেন--"হে আয়ুষ্মন, তুমি যা কে এই বনে বনে মঙ্গেযধির স্থায় অন্বেষণ করিতেছ, সেই সীতা এবং আমার প্রাণ উভয়ই রাবণ চরণ করিয়াছে।” “—আমি রাক্ষদকর্তৃক পূৰ্ব্বেষ্ট নিষ্ঠত হইয়াছি, আমাকে তোমার আর হনন করা উচিত নহে” । এই অসম্ভাবিত বাৰ্ত্তায় ক্রোবোন্দীপিত রামচন্দ্র বৃহন্ধনু ত্যাগ করিয়া গৃধ রাজকে আলিঙ্গন করিয়া কাদিতে লাগিলেন,”--সেই চন্দ্রমুণী সীতা মনোহর করণবাক্যে সে সময় কি বলিদাছিলেন, তোমার মৃত্যুর কথা—আমাকে বল” । ইহার উত্তরে জটায়ু অতি সংক্ষেপে রাবণের পরিচয় দিলেন। কিন্তু কৃতাঞ্জলপুটে রামচন্দ্র গুপ্ত,কে,—“ঙ্গে তাত, আর একবার বল, যদি বলিবার শক্তি থাকে,” প্রভৃতি বলিতেছিলেন, ইতিমধ্যে জটায়ুর চক্ষু উদ্ধে উথিত হইল,—